Ajker Patrika

শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে: ডিবি

অনলাইন ডেস্ক
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত ৫ আগস্টের পর জামিনে জেল থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায়, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে পিচ্চি হেলাল-ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নতুন করে অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কারও কারও বিরুদ্ধে হয়েছে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ চাঁদাবাজির মামলা। তবে তাদের অবস্থানের বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘পিচ্চি হেলাল বা ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রুপের যে-ই থাকুক তাঁদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে এসব গ্রুপের কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তবে আমাদের শতভাগ চেষ্টা চলছে। পেলেই গ্রেপ্তার করব।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ছিনতাইকারীরা আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যা যা দরকার পুলিশ তা করছে। শিগগির নগরবাসী সুফল পাবে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।

এর আগে ডিবির কয়েকটি অভিযানে আসামি গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে মিনহাজ নামের এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।

এ ঘটনায় আগে দুজনকে এবং গতকাল শুক্রবার পটুয়াখালী থেকে মাহফুজ সরকার, জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন, সাব্বির সরকার, আশিক ও সোহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে মিনহাজকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গত ২১ জানুয়ারি পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারের চালক মোহাম্মদ সাজু মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কুমিল্লা থেকে রোকন মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন ডিবির এই কর্মকর্তা।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সেদিন সাজু মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে মোবাইলটি মতিঝিল এলাকার এক লোকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেদিন তাঁর সঙ্গে আসিফুজ্জামান লিসান, মোহাম্মদ মিজান ও মোহাম্মদ সজীব ছিলেন। ইতিমধ্যে লিসান ও সজীব মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারি আদাবরে চাপাতির কোপে সুমন শেখ নামে এক যুবকের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলমগীর, শাহজাহান, তরিকুল ইসলাম ও রাহাত হোসেন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার রামপুরা এলাকায় শামীম হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁর বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় ছিনতাই ও ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় সাতটি মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত