শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল নদীতে কাজ করছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে পুলিশ।
নিখোঁজ ওই যুবকের নাম মো. মামুন (১৯)। তিনি উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই মাসুম।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে নিখোঁজ যুবকের স্বজনেরা শীতলক্ষ্যা নদীর বরামা গুদারা ঘাটে জড়ো হয়ে রয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় নদীর পাড়ে শতাধিক মানুষের ভিড় দেখা যায়। উপস্থিত প্রায় সকলের নজর মাঝ নদীর দিকে। অনেকেই বলছেন মাঝ নদীতে গিয়ে ডুবে গেছে মামুন।
নিখোঁজ মামুনের বড় ভাই মাসুম অভিযোগ করে বলেন, “মামুন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইফতার আনতে বাড়ির কাছে দোকানে যায়। সেখানে একজন পুলিশ স্থানীয় ইনফরমার রওশনের কাছে মামলায় অভিযুক্ত মামুনের বাড়ির ঠিকানা জানতে চায়। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রওশন বলেছে, ‘এই সেই মামুন’। তখন মামুন পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌড় দেয়। দৌড় দিয়ে পালানোর সময় নদীর তীরে জঙ্গলে তাঁকে ধরে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। পরে ওঁরা মামুনকে নদীতে ফেলে দেয়। ”
তিনি আরও বলেন, শ্রীপুর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহমেদসহ সাদা পোশাকে দুজন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় দুজন সোর্স নিয়ে একাধিক বার বিভিন্ন মামলার অজুহাতে মামুনকে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। চাহিদামতো টাকাপয়সা না দিতে পারলে বিভিন্ন মামলায় মামুনকে আসামি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার বিকেলে বরামা গুদারাঘাট এলাকায় মামুনকে পেয়ে ধাওয়া করে। এরপর জঙ্গলের ভেতর নিয়ে মারধর করে নদীর ফেলে দেয়। এরপর আমার ভাই শীতলক্ষ্যা নদীর মাঝে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হয়।
অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের এএসআই শাকিল আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তদন্তে যান শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘একজন যুবক নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কীভাবে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’
এদিকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসে উপস্থিত হয়েছি। প্রস্তুতি নিয়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে নদীতে সন্ধান শুরু করি। এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, নদীতে জোয়ার ভাটার কারণে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর নিখোঁজের বিষয়টি জানায় তাঁর স্বজনেরা। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল যুবকের সন্ধান পেতে নদীতে কাজ করছে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল নদীতে কাজ করছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে পুলিশ।
নিখোঁজ ওই যুবকের নাম মো. মামুন (১৯)। তিনি উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই মাসুম।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে নিখোঁজ যুবকের স্বজনেরা শীতলক্ষ্যা নদীর বরামা গুদারা ঘাটে জড়ো হয়ে রয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় নদীর পাড়ে শতাধিক মানুষের ভিড় দেখা যায়। উপস্থিত প্রায় সকলের নজর মাঝ নদীর দিকে। অনেকেই বলছেন মাঝ নদীতে গিয়ে ডুবে গেছে মামুন।
নিখোঁজ মামুনের বড় ভাই মাসুম অভিযোগ করে বলেন, “মামুন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইফতার আনতে বাড়ির কাছে দোকানে যায়। সেখানে একজন পুলিশ স্থানীয় ইনফরমার রওশনের কাছে মামলায় অভিযুক্ত মামুনের বাড়ির ঠিকানা জানতে চায়। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রওশন বলেছে, ‘এই সেই মামুন’। তখন মামুন পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌড় দেয়। দৌড় দিয়ে পালানোর সময় নদীর তীরে জঙ্গলে তাঁকে ধরে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। পরে ওঁরা মামুনকে নদীতে ফেলে দেয়। ”
তিনি আরও বলেন, শ্রীপুর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহমেদসহ সাদা পোশাকে দুজন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় দুজন সোর্স নিয়ে একাধিক বার বিভিন্ন মামলার অজুহাতে মামুনকে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। চাহিদামতো টাকাপয়সা না দিতে পারলে বিভিন্ন মামলায় মামুনকে আসামি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার বিকেলে বরামা গুদারাঘাট এলাকায় মামুনকে পেয়ে ধাওয়া করে। এরপর জঙ্গলের ভেতর নিয়ে মারধর করে নদীর ফেলে দেয়। এরপর আমার ভাই শীতলক্ষ্যা নদীর মাঝে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হয়।
অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের এএসআই শাকিল আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তদন্তে যান শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘একজন যুবক নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কীভাবে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’
এদিকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসে উপস্থিত হয়েছি। প্রস্তুতি নিয়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে নদীতে সন্ধান শুরু করি। এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, নদীতে জোয়ার ভাটার কারণে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর নিখোঁজের বিষয়টি জানায় তাঁর স্বজনেরা। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল যুবকের সন্ধান পেতে নদীতে কাজ করছে।’
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই রায় ঘোষণা করবেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
২ মিনিট আগে১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর সংলগ্ন এলাকা। তপ্ত দুপুরে মিছিলে যোগ দেন ছাত্রসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তাঁদের একজন আব্দুল জব্বার। মিছিল এগোতে পুলিশের গুলিতে...
২৪ মিনিট আগেনোয়াখালী পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এরশাদ উল্যাহ (২৮) ও নাজমা আক্তার (৩৯) নামের দুজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাইজদী হাউজিং বালুর মাঠের ডা. রেজাউল করিম বারী ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁদের আটক...
৩২ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলার মামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার গ্রেপ্তার শাহআলম বিশ্বাসকে আদালতে পাঠানো হয়। এ মামলায় শাহআলম বিশ্বাসের নাম এজাহারে না থাকলেও তাঁকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে