Ajker Patrika

স্বামীকে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ: পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ, র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীকে আটকে নির্যাতন করে সেই ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি নাজমুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীকে আটকে নির্যাতন করে সেই ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি নাজমুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীকে আটকে নির্যাতন করে সেই ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-১১। ঘটনার ৮ দিন পর গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় মামলা করার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লার লামাপাড়া নিজ বাড়ি থেকে মামলার প্রধান আসামি নাজমুল ইসলাম ও গাজীপুর থেকে নাজমুলের বন্ধু রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ৭টায় র‍্যাব-১১-এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১-এর সিও লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মামলা করার খবর পেতেই আমাদের গোয়েন্দা টিম কাজ শুরু করে। দুপুরে জানতে পারি মামলার প্রধান আসামি নাজমুল বাড়িতেই রয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় র‍্যাব-১-এর সহযোগিতায় গাজীপুর থেকে আরেক আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে আমাদের টিম।’

পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা গ্রহণে পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলেন, ৪ দিন ধরে ধর্ষণবিরোধী অবস্থান করে আসছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে এক গৃহবধূ এসে জানান যে, তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর মামলা নিচ্ছে না ও কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর মঙ্গলবার রাতে মামলা নেওয়া হয়। বুধবার তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। অথচ ঘটনার পরপরই বাদী ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা না হলে ফতুল্লা থানার ওসি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপির পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

গ্রেপ্তার অপর আসামি রনি। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার অপর আসামি রনি। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘মামলার বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। যেই অভিযোগ উঠেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি এমনটি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত