নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া শুনানি শেষ করেন। তিনিও অভিযুক্ত ২৫ আসামিকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে দাবি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার আগামীকাল সোমবার আরও শুনানি করবেন। তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবেন।
গত ২৩ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ২৯ আগস্ট আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। পরে ৮ সেপ্টেম্বর আবার অভিযোগ গঠন করায় যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত বছর ১৫ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর করোনার কারণে বিচারকাজ বন্ধ ছিল। গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মাত্র কয়েকটি কার্যদিবসের মধ্যে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেন। তিন আসামির পক্ষে মোট ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। ২০ সেপ্টেম্বর বিচারক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আবার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। চার্জশিটভুক্ত সব আসামি বুয়েটের ছাত্র ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলার তদন্ত চলাকালীন ২১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু। পরে গত বছর ১২ জানুয়ারি অমত্য ইসলাম ওরফে মোর্শেদ নামে একজন আত্মসমর্পণ করেন। তাঁরা সবাই কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েটশিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে জানা গেছে, রাত ১০টা থেকে একটানা রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং দড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। কিলঘুষি, লাথিও মারা হয়। এভাবে আবরারকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি। তাঁরা হলেন ইফতি মোশাররফ হোসেন সকাল, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মো. মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস শাদাত ও তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া শুনানি শেষ করেন। তিনিও অভিযুক্ত ২৫ আসামিকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে দাবি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার আগামীকাল সোমবার আরও শুনানি করবেন। তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবেন।
গত ২৩ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ২৯ আগস্ট আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। পরে ৮ সেপ্টেম্বর আবার অভিযোগ গঠন করায় যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত বছর ১৫ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর করোনার কারণে বিচারকাজ বন্ধ ছিল। গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মাত্র কয়েকটি কার্যদিবসের মধ্যে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেন। তিন আসামির পক্ষে মোট ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। ২০ সেপ্টেম্বর বিচারক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আবার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। চার্জশিটভুক্ত সব আসামি বুয়েটের ছাত্র ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলার তদন্ত চলাকালীন ২১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু। পরে গত বছর ১২ জানুয়ারি অমত্য ইসলাম ওরফে মোর্শেদ নামে একজন আত্মসমর্পণ করেন। তাঁরা সবাই কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েটশিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে জানা গেছে, রাত ১০টা থেকে একটানা রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং দড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। কিলঘুষি, লাথিও মারা হয়। এভাবে আবরারকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি। তাঁরা হলেন ইফতি মোশাররফ হোসেন সকাল, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মো. মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস শাদাত ও তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর।
বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ তাঁদের চার ভাইয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন নিষেধাজ্ঞা জারির এই নির্দেশ দেন।
৪ মিনিট আগেজাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে কুমিল্লার লাকসামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৫০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বুধবার উপজেলার মোহাম্মদপুর বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার রবিউল হোসেন রবুর চাচির ঘর থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযুক্ত ডিলারকে ছয়
৬ মিনিট আগেরাজশাহীর সার্কিট হাউসসংলগ্ন সড়কে নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগেজামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় অসময়ে ভাঙছে যমুনা নদী। তীব্র ভাঙনে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছেন শত শত মানুষ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
১২ মিনিট আগে