Ajker Patrika

দলবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার দুই আসামিকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন- নরসিংদীর মাধবদীর দীঘিরপাড় গ্রামের মো. কামালের ছেলে মেহেদী (২০) ও একই গ্রামের আ. গাফফারের ছেলে সুজন (২১)।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে আগাম জামিন চাইতে আসলে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগী তরুণীর প্রতিবেশী। গত বছরের ৭ আগস্ট প্রতিবেশীদের বাড়িতে ছোটো বোনকে খুঁজতে গেলে মেহেদী ও সুজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ধারন করে। এরপর ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও ৫–৬ বার ধর্ষণ করে তারা। চলতি বছর ১৫ মার্চ তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায় ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা।

ওই ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল মেহেদী ও সুমনসহ ৬ জনকে আসামি করে নরসিংদীর নারী ও শিশু নিতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছিলেন মেহেদী ও সুজন।

আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ আগাম জামিনের যোগ্য না। ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকায় হাইকোর্ট তাদের জামিন না দিয়ে শাহবাগ থানা-পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত