Ajker Patrika

পাপাকে খুঁজছে সারাফ, বাবার স্মৃতি ছাড়াই বড় হবে সারা

আমিনুল ইসলাম নাবিল
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৩, ০১: ০০
পাপাকে খুঁজছে সারাফ, বাবার স্মৃতি ছাড়াই বড় হবে সারা

শিশু সারাফ ও সারাকে নিয়ে অকূলপাথারে ইলমা আক্তার রিয়া (২৮)। চোখের জলে বুক ভেসে যাচ্ছে। সাজানো-গোছানো সংসারে হঠাৎ নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। 

ইলমা আক্তার রিয়া সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণে নিহত সম্রাটের (৩৫) স্ত্রী। বাবা মারা গেছেন রিয়ার শিশুকালে। সম্রাটও তাঁর দুই কচি সন্তানকে রেখে বিদায় নিলেন। রিয়াকেও করে গেলেন অভিভাবকহীন। পুরান ঢাকার মালিটোলায় বাবার বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে নীরবে চোখের পানি ফেলছেন রিয়া।

ঘটনার দিনও প্রতিদিনের মতো দুপুরের খাবার খেয়ে তাগাদার (বকেয়া টাকা সংগ্রহ) উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন সম্রাট, কথা ছিল সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেই স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হবেন। সম্রাট দুপুরের খাবার খেয়ে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রিয়ার খালাতো ভাই তাঁকে ফোনকল করে বলেন, ‘আনিকা এজেন্সি ধ্বংস হয়ে গেছে!’ সম্রাট এই সিরামিকস প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

এই খবর শুনেই পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে থাকেন রিয়া। ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধু ধ্বংসস্তূপ দেখে ভড়কে যান। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের কাছে রাস্তায় তন্ন তন্ন করে খুঁজছিলেন সম্রাটের জুতা, চশমা অথবা অন্য কোনো চিহ্ন।

ঘটনার দিন সবার শেষে সম্রাটের লাশ ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনেন তাঁর বন্ধু ও স্বজনেরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্রাটের মরদেহ বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি সবশেষে ঢোকে। আর সঙ্গে সঙ্গে স্বামী বেঁচে আছেন বলে মনে যে ক্ষীণ আশা বেঁধেছিলেন রিয়া, সেটিরও সমাপ্তি ঘটে। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে মালিটোলায় রিয়ার বাবার বাড়িতে গিয়ে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিয়া বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে ভাই।আমার পাঁচ বছরের ছেলে ও ছয় মাসের মেয়েটা এতিম হয়া গেসে! এ বছরই ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে।’ 

সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রিয়া বলেন, ‘দুপুরে সম্রাটকে বিদায় দিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাতে যাই। কিছুক্ষণ পরেই আমার খালাতো ভাই ফোনে বিস্ফোরণের কথা জানায়। প্রথমে ঘটনাস্থল ও পরে মেডিকেলে যাই। মেডিকেলে পাগলের মতো খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। রাতের দিকে সবশেষে যে অ্যাম্বুলেন্সটি ঢোকে সেখানেই ছিল সম্রাট।’ 

সিদ্দিক বাজারে দুর্ঘটনায় নিহত সম্রাট

প্রতিদিন তাগাদা শেষে আরও পরে দোকানে যেতেন সম্রাট। কিন্তু পরদিন শবে বরাতের ছুটি থাকায় দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে কিছুটা আগেই গিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপে নিথর সম্রাটের হাতে তাগাদার টাকা মুষ্টিবদ্ধ ছিল। দোকান ম্যানেজারের বরাত দিয়ে রিয়া বলেন, ‘তাগাদার টাকাটা দেওয়ার জন্যই দোকানে ঢুকেছিল সম্রাট। টাকাটা দিয়েই আসরের নামাজে যাওয়ার কথা ছিল।’ 

রিয়া বলেন, দুপুরের খাবার খাওয়ার পর সম্রাটকে আর দোকানে যেতে দিতে চাননি তিনি। কিন্তু দোকান মালিক তাঁকে সেদিনে কালেকশন নিয়ে দোকানে যাওয়ার জন্য তাগাদা দেন। সেদিন জোর করলে আজ এভাবে স্বামীকে হারাতে হতো না—এই আক্ষেপ হয়তো কখনো ফুরাবে না রিয়ার! 

ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন সম্রাট। এরপর চাচা মোহাম্মদ বাবুই তাঁকে লালনপালন করেন। বিস্ফোরণের খবর শোনার পর ওই দোকানের এক কর্মচারীকে ফোন দেন বাবু। সেই কর্মচারী জানান, তিনি চা আনতে বাইরে বের হন। আর কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণ ঘটে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। বেরিয়ে আসার সময় তিনি সম্রাটকে দোকানে দেখেননি। 

এই কথা শুনে বাবু আশ্বস্ত হয়েছিলেন, ভাতিজা নিরাপদেই আছে। কিন্তু ফোনে সম্রাটকে পাওয়া যাচ্ছিল না। লোকেশন ট্র্যাক করে সম্রাটের অবস্থান ঘটনাস্থলেই দেখা যাচ্ছিল। তখনই বাবুর হৃৎস্পন্দন বাড়তে থাকে। হন্যে হয়ে ভাতিজাকে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে রাত ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সে সম্রাটের ক্ষতবিক্ষত নিথর দেহ আবিষ্কার করেন! 

মোহাম্মদ বাবু জানান, সম্রাট স্যানিটারি আইটেমের দোকানে কাজ করতেন। সে কারণে বিস্ফোরণে সিরামিকস ও কাচের টুকরা তাঁর শরীরে ঢুকেছে। আবার পিলারের নিচে চাপা পড়ার কারণে হাড়ও ভেঙে গেছে। 

এই দুর্ঘটনায় একই এলাকার আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোমিন উদ্দিন সুমন। সুমন ও সম্রাট সম্পর্কে চাচাতো ভাই। সুমনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আনিকা এজেন্সিতে ৭-৮ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন সম্রাট। ঘটনার পরদিন বুধবার (৮ মার্চ) ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সুমনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টায় সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন—কুমিল্লার মো. সুমন (২১), বরিশালের ইসহাক মৃধা (৩৫), যাত্রাবাড়ীর মুনসুর হোসেন (৪০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া ও মো. ইদ্রিস মীর (৬০), পুরান ঢাকার মো. ইসমাইল (৪২), ব্যবসায়ী মোমিন উদ্দিন সুমন ও সম্রাট, চাঁদপুরের আল আমিন (২৩), কেরানীগঞ্জের রাহাত (১৮), চকবাজারের মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও নদী বেগম (৩৬), মুন্সিগঞ্জের মাঈন উদ্দিন (৫০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), হাফেজ মো. মুসা, পুরান ঢাকার বংশালের নাজমুল হোসেন (২৫), আকৃতি বেগম (৭০), হৃদয় ও আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫) মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নোয়াখালীর রবিন হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান স্বপন ও ইয়াসিন আরাফাত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাউজানে সিএনজি-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, সবজি ব্যবসায়ী নিহত; আহত ৩

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাজিম উদ্দীন (৪০) নামের এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের অদুদিয়া সড়কের আতুন্নিরঘাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজিম উদ্দীন চিকদাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান আলী তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে মুরগির বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান আসার সময় নতুন হাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানটি সড়ক থেকে ছিটকে ধানখেতে পড়ে যায়।

এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রী নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত নাজিমের সঙ্গে থাকা মানিক নামের এক যুবক জানান, নাজিম উদ্দীন ভোরে সবজি কেনার জন্য নতুন হাট থেকে অটোরিকশায় করে চট্টগ্রাম নগরীতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাভার্ড ভ্যানটি রং সাইডে এসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। নিহত নাজিম উদ্দীন চার কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর রাউজান থানা-পুলিশ গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আবু হানিফ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শাহাদাত হোসেন। নিহত আবু হানিফ (৩০) পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, দুপুরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করেন। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়।

নিহত ব্যক্তির মেজ বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে বাসায় এসেই ভাইয়েরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তা-ও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে, সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়া যায়। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীরে (হানিফ) ভেতরে বসায়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই।’

হানিফ খানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানান নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা।

নিহত ব্যক্তির বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করলে তারে শাস্তি দিব আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেলল কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।’

এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: বড় ভাইয়ের মামলা, আসামি মাহিরসহ ৩

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে: শামীম বিন সাঈদী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।

শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’

উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত