Ajker Patrika

জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার বিচার শুরু

জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ অভিযোগ গঠন করেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ জুন দিন ধার্য করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. সাবরিনার আইনজীবী ওসমান গনি। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো বলেও তিনি জানান। 

এ দিকে অভিযোগ গঠন করার পর সাবরিনা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। 

গত বছর ডিসেম্বরে সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়—ডাক্তার সাবরিনা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দ্বিতীয় এনআইডি কার্ড সৃষ্টি করেন। প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। পরে গত বছর ২২ ডিসেম্বর সাবরিনার অপরাধ আমলে নেন আদালত। 

 ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় বলা হয়—মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তার দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে—জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল। দ্বিতীয় এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৮৩ সাল। ১৯৯১ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন। ডা. সাবরিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রথম এনআইডির তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরি করেন, যা আইনগত অপরাধ। 

চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন সাবরিনা। গত বছর ওই মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত