নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরে শুধু অক্টোবর মাসেই ৩৭১ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করার সময় নাজমা ইয়াসমিন বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে যে ধরনের ফোন আসে, সেই তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নারীকে হয়রানি, নিপীড়ন আর সহিংসতার অভিযোগ জানাতে বা সাহায্য চেয়ে ফোন কলের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ ধরনের কল এসেছে মোট ১৩ হাজার ৪১৬টি, যেখানে ২০২১ সালে পুরো বছরজুড়ে এমন কলের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১৬৯টি। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৬১টি।’ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সংবাদপত্রভিত্তিক জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০৭ জন নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে কর্মস্থলে ৩৯ জন এবং কর্মস্থলের বাইরে ৬৮ জন নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে মোট ৩ হাজার ৬৭ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ৩৭১ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের গত মার্চ মাসে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হন ৬৪ দশমিক ৯২ শতাংশ নারী। এই সংখ্যাটি অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর হয়রানির মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন। রেল ও রেলস্টেশন, রাইড শেয়ারিং সেবা, নিজেদের আত্মীয়স্বজনের কাছে শরীরের গড়ন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হন নারীরা। এ ধরনের নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বিলসের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘হয়রানি যে শুধুই যৌন হয়, এমন না। একজন নারী বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। কর্মক্ষেত্রে, বাসে, রাস্তাঘাটে এমনকি পরিবারেও। কর্মজীবী নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আমাদের দেশে ভালো ডে কেয়ার নেই। মাদ্রাসাগুলোতে ছেলে শিশুরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’ সঠিক আইনের প্রয়োগ না করা গেলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। শুধু আইন দিয়েই সমাজে নারীদের প্রতি করা অমানবিক আচরণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য আমাদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করেন নাজমা ইয়াসমিন।
কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন করতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেন উপস্থিত বক্তারা। তাঁরা আরও বলেন, কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকেরা যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষিত নন। তাঁদের সুরক্ষিত করতে আদালতের নির্দেশনা যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে জন্য সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করার দাবি জানান বক্তারা।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশন-১৯০ এর যথাযথ প্রয়োগসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন মুকুট, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুর, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সানজীদ সুলতানা প্রমুখ।
চলতি বছরে শুধু অক্টোবর মাসেই ৩৭১ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করার সময় নাজমা ইয়াসমিন বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে যে ধরনের ফোন আসে, সেই তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নারীকে হয়রানি, নিপীড়ন আর সহিংসতার অভিযোগ জানাতে বা সাহায্য চেয়ে ফোন কলের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ ধরনের কল এসেছে মোট ১৩ হাজার ৪১৬টি, যেখানে ২০২১ সালে পুরো বছরজুড়ে এমন কলের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১৬৯টি। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৬১টি।’ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সংবাদপত্রভিত্তিক জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০৭ জন নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে কর্মস্থলে ৩৯ জন এবং কর্মস্থলের বাইরে ৬৮ জন নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে মোট ৩ হাজার ৬৭ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ৩৭১ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের গত মার্চ মাসে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হন ৬৪ দশমিক ৯২ শতাংশ নারী। এই সংখ্যাটি অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর হয়রানির মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন। রেল ও রেলস্টেশন, রাইড শেয়ারিং সেবা, নিজেদের আত্মীয়স্বজনের কাছে শরীরের গড়ন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হন নারীরা। এ ধরনের নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বিলসের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘হয়রানি যে শুধুই যৌন হয়, এমন না। একজন নারী বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। কর্মক্ষেত্রে, বাসে, রাস্তাঘাটে এমনকি পরিবারেও। কর্মজীবী নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আমাদের দেশে ভালো ডে কেয়ার নেই। মাদ্রাসাগুলোতে ছেলে শিশুরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’ সঠিক আইনের প্রয়োগ না করা গেলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। শুধু আইন দিয়েই সমাজে নারীদের প্রতি করা অমানবিক আচরণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য আমাদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করেন নাজমা ইয়াসমিন।
কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন করতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেন উপস্থিত বক্তারা। তাঁরা আরও বলেন, কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকেরা যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষিত নন। তাঁদের সুরক্ষিত করতে আদালতের নির্দেশনা যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে জন্য সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করার দাবি জানান বক্তারা।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশন-১৯০ এর যথাযথ প্রয়োগসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন মুকুট, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুর, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সানজীদ সুলতানা প্রমুখ।
হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম পর্যটন-প্রচারণামূলক ম্যারাথন ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ রান ২০২৫’। ম্যারাথনটির আয়োজনে নেতৃত্ব দিচ্ছে এটিজেএফবি, পৃষ্ঠপোষক রিদম গ্রুপ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
৬ মিনিট আগেপটুয়াখালীর দুমকীতে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির মনিরুজ্জামান মনির (৪২) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজ রোববার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগে‘বুঝলে বুঝ, না বুঝলে খেয়ে নে তরমুজ।’—ফেসবুকে নিজের বদলির বিষয়টি তরমুজ খেয়ে বোঝার পরামর্শমূলক পোস্ট দিয়ে মুছে ফেলেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান। আজ রোববার বিকেল ৫টা ২৪ মিনিটে পোস্টটি মুছে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
১৩ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলায় হারিয়ে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পরে পার্সিয়ান প্রজাতির সেই পোষা বিড়ালটি ফিরে পেয়েছেন মালিক মো. সানাউল্লাহ। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে বিড়ালটি তার মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন এক ব্যক্তি। মা বিড়াল পেয়ে মহাখুশি ছানাগুলো, মালিক ও প্রতিবেশীরা। মা বিড়াল হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনে ওই বাড়িতে বিড়ালছানাগ
১৮ মিনিট আগে