Ajker Patrika

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে বাড়ি ছাড়া করলেন শিক্ষক

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

গাজীপুরের শ্রীপুর চাহিদামতো যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার স্ত্রী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) শ্রীপুরের বরকুল গ্রামের আ. হুদাল মিয়ার ছেলে। তিনি মুলাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, গত পাঁচ বছর পূর্বে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ওই ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুই বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই অভিযুক্ত বেশ কয়েকবার যৌতুকে জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ দিয়েছিলেন। মেয়ের সুখর কথা ভেবে তাঁর বাবা জমি বিক্রি কর ৬ লাখ টাকা তুলে দেন মেয়ের জামাইয়ের হাতে। বিভিন্নভাবে সে টাকা নষ্ট করে সম্প্রতি তিনি আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এবার তাঁর এই দাবি মেটাতে অস্বীকৃতি জানান শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এই জেরে গত ৭ জানুয়ারি ভাড়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে বের করে দেন জাহাঙ্গীর আলম।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামী বিভিন্ন কারণে তাকে মারধর ও নানাভাবে নির্যাতন করেন আসছেন তাঁর স্বামী। শরীরে স্বামীর নির্যাতনের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ছেলের জন্মের পর সব সহ্য করলেও এখন যৌতুকের জন্য বাড়ি থেকে তাঁর শিশুসহ বের করে দিয়েছে তাঁর স্বামী। এরপর তিনি ভগ্নিপতির বাড়িতে আশ্রয় থাকলেও ফের গত ১৯ জানুয়ারি দলবল নিয়ে গিয়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন তাঁর স্বামী। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ ওঠা সত্যিই হতাশাজনক। শিক্ষা অফিস এ বিষয়ে তদন্ত করবে। তদন্ত দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তে প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত