গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে চতুর্থ দিনের দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ সোমবার সকালে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এতে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার তারা একই দাবিতে অবরোধ করে। পরে শুক্রবার বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করে। রাতে সড়ক ছেড়ে দিলেও পরদিন রোববারও তারা সড়ক অবরোধ করেছিল। রোববার দিনভর আন্দোলন করেও কারও কোনো সাড়া পাননি। পরে রাত ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে বাড়ি চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় একই দাবিতে তারা সোমবারও একই মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভেতরে এসব কারখানার মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের বেতন সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারছে না।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকেরা জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় একচল্লিশ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসের তাদের বেতনের পরিমাণ হয় ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতি মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু কারখানার শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বেতন এখনো পায়নি। যার কারণে তারা গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে।
শিল্প পুলিশ ও মহানগর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
শ্রমিকেরা বলছে, বকেয়া বেতন প্রদানে আশ্বাস না পেলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যাবে না।
সড়ক অবরোধ করায় ওই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে পায়ে হেঁটে, ব্যাটারি রিকশা করে, কেউ বা সুবিধা মতো বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করছেন। উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প পথে গাজীপুরের ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করছে।
বেক্সিমকোর শ্রমিক আজিজুল বলেন, ‘বেতনটা সময় মতো পেলে কেউ আর আন্দোলনে যাবে না। বেতন দিক আমরা কাজে চলে যাব।’
শ্রমিক রাজিয়া আক্তার বলেন, ‘বেতন না দিলে আইজকা আর সড়ক থাইকা যাইতাছি না। সড়ক বন্ধ না করলে সরকারের টনক নড়ে না। হেরা আমাগো কথা হোনবার চায় না।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা সকাল ৯টা থেকে সড়ক অবরোধ শুরু করে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে চতুর্থ দিনের দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ সোমবার সকালে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এতে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার তারা একই দাবিতে অবরোধ করে। পরে শুক্রবার বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করে। রাতে সড়ক ছেড়ে দিলেও পরদিন রোববারও তারা সড়ক অবরোধ করেছিল। রোববার দিনভর আন্দোলন করেও কারও কোনো সাড়া পাননি। পরে রাত ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে বাড়ি চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় একই দাবিতে তারা সোমবারও একই মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভেতরে এসব কারখানার মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের বেতন সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারছে না।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকেরা জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় একচল্লিশ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসের তাদের বেতনের পরিমাণ হয় ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতি মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু কারখানার শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বেতন এখনো পায়নি। যার কারণে তারা গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে।
শিল্প পুলিশ ও মহানগর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
শ্রমিকেরা বলছে, বকেয়া বেতন প্রদানে আশ্বাস না পেলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যাবে না।
সড়ক অবরোধ করায় ওই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে পায়ে হেঁটে, ব্যাটারি রিকশা করে, কেউ বা সুবিধা মতো বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করছেন। উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প পথে গাজীপুরের ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করছে।
বেক্সিমকোর শ্রমিক আজিজুল বলেন, ‘বেতনটা সময় মতো পেলে কেউ আর আন্দোলনে যাবে না। বেতন দিক আমরা কাজে চলে যাব।’
শ্রমিক রাজিয়া আক্তার বলেন, ‘বেতন না দিলে আইজকা আর সড়ক থাইকা যাইতাছি না। সড়ক বন্ধ না করলে সরকারের টনক নড়ে না। হেরা আমাগো কথা হোনবার চায় না।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা সকাল ৯টা থেকে সড়ক অবরোধ শুরু করে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে