ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাটখেত থেকে রেখা আক্তার (১৩) নামে কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙ্গা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে এক কিশোরকে (১৬) আটক করা হয়েছে। সে পর্নোগ্রাফি আসক্তি থেকে ধর্ষণের পর কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আটক কিশোর নিহতের সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
আজ সোমবার ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার পৌর এলাকার হোগলাডাঙ্গী গ্রামের একটি পাটখেত থেকে ওই কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে। পরদিন শনিবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন নিহতের মা মেরিনা বেগম। ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আটক কিশোরের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘ওই কিশোর পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল। তার ব্যবহৃত স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফির অনেকগুলো ক্লিপ পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন মেয়েটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় তাকে কাপড় পরিবর্তন করতে দেখে এই কিশোর। একপর্যায়ে সে মেয়েটির কাছে যায় এবং পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখার জন্য মেয়েটিকে প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে ফুসলিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী পাটখেতে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে ভিডিওগুলো দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি তার বাবাকে বিষয়টি বলে দেওয়ার কথা জানায়। এ সময় সে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু মেয়েটি বারবার ঘটনাটি বলে দেওয়ার কথা বললে একপর্যায়ে মেয়েটির পরনের কাপড় গলায় পেঁচিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট চেপে ধরে রাখে এবং মেয়েটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘মেয়েটি সবকিছু থেকেই নাজুক ছিল। স্বাভাবিক মানুষের যে বিবেকবুদ্ধি থাকে, সেটি তার ছিল না। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ধরনের। যে কারণে সে শারীরিক শক্তিতেও দুর্বল থাকায় ছেলেটি একাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
অভিযুক্তের বাবা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন বলে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তার বাবাই প্রথমে লাশটি দেখতে পায়। ঘটনার দিন ওই ছেলের পরিবারের সদস্যরা একটি মিলাদে গিয়েছিল। শুধু এই ছেলে এবং তার বাবা বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু ছেলের বাবা আমাদের জানায়, তারা ঘটনার সময় মিলাদে গিয়েছিলেন। পরে বিকেলে লাশটি দেখতে পায় বলে সবাইকে জানায়। এটি আমাদের কাছে সন্দেহ হয়। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই আমরা তদন্তকাজ শুরু করি। এরপর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এ ঘটনায় আইনগতভাবে ছেলের বাবা দোষী থাকলে তাঁকেও আসামি করা হবে।’
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহেনশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাটখেত থেকে রেখা আক্তার (১৩) নামে কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙ্গা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে এক কিশোরকে (১৬) আটক করা হয়েছে। সে পর্নোগ্রাফি আসক্তি থেকে ধর্ষণের পর কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আটক কিশোর নিহতের সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
আজ সোমবার ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার পৌর এলাকার হোগলাডাঙ্গী গ্রামের একটি পাটখেত থেকে ওই কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে। পরদিন শনিবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন নিহতের মা মেরিনা বেগম। ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আটক কিশোরের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘ওই কিশোর পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল। তার ব্যবহৃত স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফির অনেকগুলো ক্লিপ পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন মেয়েটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় তাকে কাপড় পরিবর্তন করতে দেখে এই কিশোর। একপর্যায়ে সে মেয়েটির কাছে যায় এবং পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখার জন্য মেয়েটিকে প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে ফুসলিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী পাটখেতে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে ভিডিওগুলো দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি তার বাবাকে বিষয়টি বলে দেওয়ার কথা জানায়। এ সময় সে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু মেয়েটি বারবার ঘটনাটি বলে দেওয়ার কথা বললে একপর্যায়ে মেয়েটির পরনের কাপড় গলায় পেঁচিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট চেপে ধরে রাখে এবং মেয়েটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘মেয়েটি সবকিছু থেকেই নাজুক ছিল। স্বাভাবিক মানুষের যে বিবেকবুদ্ধি থাকে, সেটি তার ছিল না। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ধরনের। যে কারণে সে শারীরিক শক্তিতেও দুর্বল থাকায় ছেলেটি একাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
অভিযুক্তের বাবা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন বলে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তার বাবাই প্রথমে লাশটি দেখতে পায়। ঘটনার দিন ওই ছেলের পরিবারের সদস্যরা একটি মিলাদে গিয়েছিল। শুধু এই ছেলে এবং তার বাবা বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু ছেলের বাবা আমাদের জানায়, তারা ঘটনার সময় মিলাদে গিয়েছিলেন। পরে বিকেলে লাশটি দেখতে পায় বলে সবাইকে জানায়। এটি আমাদের কাছে সন্দেহ হয়। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই আমরা তদন্তকাজ শুরু করি। এরপর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এ ঘটনায় আইনগতভাবে ছেলের বাবা দোষী থাকলে তাঁকেও আসামি করা হবে।’
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহেনশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ডা. সুমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তিনি সংগঠনটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের নামে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি গ্যালারির নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সেই গ্যালারিতে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামফলক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশ খারাপ না, এক খারাপ লোকের পাল্লায় পড়ে, এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফাত হুসাইন।
৩ ঘণ্টা আগে