নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে আলাদা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষণা করতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ১৫ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামোতে তারা থাকতে চান না বলেও জানিয়েছেন।
আজ শনিবার রাতে কলেজের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর কলেজকে আলাদা স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাবে ঘোষণা করতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে গঠিত প্ল্যাটফর্ম তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে দ্বিচারিতার স্বীকার হয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এমন কোনো দপ্তর, অফিস, দায়িত্বশীল ব্যক্তি নেই যাদের কাছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পৌঁছানো হয়নি। কিন্তু এই রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ভয়াল সিন্ডিকেটের রাঘববোয়ালরা বসে আছে তাদের ষড়যন্ত্র ও স্বার্থান্বেষী আচরণই তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’
বেলাল হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা এ দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ভাঙতে তিতুমীরকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে কাগজপত্র ও স্মারকলিপি পাঠানোসহ রাজপথে আন্দোলন করেছি। ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চললেও গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান আমাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেন। ৭ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।’
গত ১৯ নভেম্বর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষণায় সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও গত কয়েক মাসে সে কমিটি রিপোর্ট দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে ধরেন বেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইউজিসির পক্ষ থেকে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা চিঠি পেয়েছে আগামীকাল রোববার তারা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা যেন সেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি এবং সেখানে তারা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঘোষণা করবে। আমরা তিতুমীরের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী সেটি প্রত্যাখ্যান করছি।’
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘দ্বিচারিতা করছে’ অভিযোগ করে করে ‘এ বিষয়ে নালিশ দিতে’ ও ‘দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে আলোচনা করতে’ প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাবি করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ মোট সাত দাবিতে অনশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা অবরোধে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি অনশনরত ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলক্রসিং ও সড়ক আটকে অবস্থান নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানানো হলেও মন্ত্রণালয়ে পক্ষ থেকে অন্যান্য দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা লাগাতার অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১. ছাত্র-শিক্ষক এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে।
২. এই ছাত্র-শিক্ষক-মন্ত্রণালয় প্রতিনিধির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করতে হবে।
৩.২০২৪-২৫ সেশন থেকে আন্তর্জাতিক মানের ন্যূনতম দুটি সাবজেক্ট আইন বিভাগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগ সংযোজন করতে হবে।
৪. ন্যূনতম ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাঠাতে হবে।
৫.১৫১ জন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. আন্তর্জাতিক মানের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এবং গবেষণাগার নির্মাণ ও শতভাগ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতে পার্শ্ববর্তী টিঅ্যান্ডটি এবং রাজউকের জমি হস্তান্তর করতে হবে এবং পরিবহন সংকট নিরসন করতে ন্যূনতম ২০টি দোতলা বিআরটিসি বাস বরাদ্দ দিতে হবে।
রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে আলাদা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষণা করতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ১৫ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামোতে তারা থাকতে চান না বলেও জানিয়েছেন।
আজ শনিবার রাতে কলেজের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর কলেজকে আলাদা স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাবে ঘোষণা করতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে গঠিত প্ল্যাটফর্ম তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে দ্বিচারিতার স্বীকার হয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এমন কোনো দপ্তর, অফিস, দায়িত্বশীল ব্যক্তি নেই যাদের কাছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পৌঁছানো হয়নি। কিন্তু এই রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ভয়াল সিন্ডিকেটের রাঘববোয়ালরা বসে আছে তাদের ষড়যন্ত্র ও স্বার্থান্বেষী আচরণই তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’
বেলাল হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা এ দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ভাঙতে তিতুমীরকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে কাগজপত্র ও স্মারকলিপি পাঠানোসহ রাজপথে আন্দোলন করেছি। ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চললেও গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান আমাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেন। ৭ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।’
গত ১৯ নভেম্বর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষণায় সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও গত কয়েক মাসে সে কমিটি রিপোর্ট দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে ধরেন বেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইউজিসির পক্ষ থেকে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা চিঠি পেয়েছে আগামীকাল রোববার তারা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা যেন সেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি এবং সেখানে তারা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঘোষণা করবে। আমরা তিতুমীরের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী সেটি প্রত্যাখ্যান করছি।’
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘দ্বিচারিতা করছে’ অভিযোগ করে করে ‘এ বিষয়ে নালিশ দিতে’ ও ‘দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে আলোচনা করতে’ প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাবি করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ মোট সাত দাবিতে অনশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা অবরোধে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি অনশনরত ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলক্রসিং ও সড়ক আটকে অবস্থান নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানানো হলেও মন্ত্রণালয়ে পক্ষ থেকে অন্যান্য দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা লাগাতার অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১. ছাত্র-শিক্ষক এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে।
২. এই ছাত্র-শিক্ষক-মন্ত্রণালয় প্রতিনিধির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করতে হবে।
৩.২০২৪-২৫ সেশন থেকে আন্তর্জাতিক মানের ন্যূনতম দুটি সাবজেক্ট আইন বিভাগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগ সংযোজন করতে হবে।
৪. ন্যূনতম ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাঠাতে হবে।
৫.১৫১ জন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. আন্তর্জাতিক মানের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এবং গবেষণাগার নির্মাণ ও শতভাগ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতে পার্শ্ববর্তী টিঅ্যান্ডটি এবং রাজউকের জমি হস্তান্তর করতে হবে এবং পরিবহন সংকট নিরসন করতে ন্যূনতম ২০টি দোতলা বিআরটিসি বাস বরাদ্দ দিতে হবে।
কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে।
৩ মিনিট আগেসারা দেশে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ২০টা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বা ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে নানা জটিলতায় ৫টির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৯টি চলছে টেনেটুনে। ভালোভাবে চলছে মাত্র ৬টি অবতরণ কেন্দ্র।
১ ঘণ্টা আগেবাঙালি মোটিফ, ভিন্ন ধরনের নকশা, ব্যতিক্রমী কাপড় আর সাশ্রয়ী দামে আজিজ সুপার মার্কেটের কাপড়ের ব্র্যান্ডগুলো হয়ে উঠেছিল বেশ পরিচিত। ঈদ, বৈশাখ, বর্ষা, বসন্ত উৎসবকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট নকশা করা কাপড়ের খোঁজে এসব ব্র্যান্ডে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যেত। কিন্তু এবার ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতাদের সেই আগ্রহ খুব একটা নেই।
১ ঘণ্টা আগেনানা পদের বাহারি ইফতারসামগ্রীর জন্য সিলেট অঞ্চলের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। আর তারই দুই অপরিহার্য অনুষঙ্গ পাতলা খিচুড়ি ও আখনি। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে সিলেটিদের এ দুটি খাবারের অন্তত একটি চাই-ই চাই।
২ ঘণ্টা আগে