নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
নিখোঁজের দুই মাস পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের নাম রেহেনা পারভীন (৩৭)। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম পাতিলঝাপ গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে।
লাশ উদ্ধারের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে সব বের হয়ে আসবে।’
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের ছোট রাজাপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আওলাদ হোসেনের (৪৭) সঙ্গে রেহেনার বিয়ে হয়। এর আগে থেকেই রেহেনা অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেন। তাঁদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। পরিবারের সব সদস্য অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
রেহেনা পারভীনের মা আইরিন আক্তার বলেন, ‘রেহেনা তার ছেলে আহাদ নূরকে (১৩) নিয়ে গত ৬ জুন বাংলাদেশে এসে আমাদের বাড়িতে ওঠে। গত ২৯ জুন রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেন বাংলাদেশে আসে। পরদিন আওলাদ আমাদের বাড়িতে আসে। ওই দিনই রেহেনা ও তার ছেলেকে আওলাদ ছোট রাজাপড়া এলাকায় বাড়িতে নিয়ে যায়।’
আইরিন আক্তার আরও বলেন, ‘গত ৩ জুলাই বিকেলে রেহেনা আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে জানায় তার স্বামী আওলাদ হোসেন, চাচাশ্বশুর আমজাদ হোসেন (৬৪), ননদ পাপিয়া আক্তার (৩৬) ও মাকসুদা বেগম (৪৪) তাঁকে মারধর করেছেন। চিকিৎসার জন্য আওলাদ রেহেনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। এরপর থেকে মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজ না পেয়ে ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। পরে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাম্বাসিতে গিয়ে জানতে পারি আমার মেয়ে নির্ধারিত তারিখে অস্ট্রেলিয়া যায়নি। তবে তার স্বামী আওলাদ ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে।’
মেয়ে ও নাতিকে ছাড়া আওলাদের অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ায় আইরিন আক্তারের সন্দেহ হয়। তিনি বলেন, ‘আওলাদের বোন পাপিয়া আক্তার ও মাকসুদা বেগমের কাছে মেয়ের বিষয়ে জানতে চাই। তারা আমার নাতিকে (আহাদ নূর) তাদের কাছে থাকার কথা জানালেও মেয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। গত ৮ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। মামলায় রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেন, চাচাশ্বশুর আমজাদ হোসেন, ননদ পাপিয়া আক্তার ও মাকসুদা বেগমকে আসামি করি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
নিহত রেহেনার ভাই রবিন বলেন, ‘দেশ ও দেশের বাইরে আমার বোনের নামে অনেক সম্পদ রয়েছে। ওই সম্পদই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে বলেন, ‘গত ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ও মামলার সূত্র ধরে পাপিয়া ও আমজাদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মনোদিয়া চৌরাপাড়া গ্রামে পাপিয়া আক্তারের নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় রেহেনা পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
নিখোঁজের দুই মাস পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের নাম রেহেনা পারভীন (৩৭)। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম পাতিলঝাপ গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে।
লাশ উদ্ধারের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে সব বের হয়ে আসবে।’
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের ছোট রাজাপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আওলাদ হোসেনের (৪৭) সঙ্গে রেহেনার বিয়ে হয়। এর আগে থেকেই রেহেনা অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেন। তাঁদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। পরিবারের সব সদস্য অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
রেহেনা পারভীনের মা আইরিন আক্তার বলেন, ‘রেহেনা তার ছেলে আহাদ নূরকে (১৩) নিয়ে গত ৬ জুন বাংলাদেশে এসে আমাদের বাড়িতে ওঠে। গত ২৯ জুন রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেন বাংলাদেশে আসে। পরদিন আওলাদ আমাদের বাড়িতে আসে। ওই দিনই রেহেনা ও তার ছেলেকে আওলাদ ছোট রাজাপড়া এলাকায় বাড়িতে নিয়ে যায়।’
আইরিন আক্তার আরও বলেন, ‘গত ৩ জুলাই বিকেলে রেহেনা আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে জানায় তার স্বামী আওলাদ হোসেন, চাচাশ্বশুর আমজাদ হোসেন (৬৪), ননদ পাপিয়া আক্তার (৩৬) ও মাকসুদা বেগম (৪৪) তাঁকে মারধর করেছেন। চিকিৎসার জন্য আওলাদ রেহেনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। এরপর থেকে মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজ না পেয়ে ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। পরে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাম্বাসিতে গিয়ে জানতে পারি আমার মেয়ে নির্ধারিত তারিখে অস্ট্রেলিয়া যায়নি। তবে তার স্বামী আওলাদ ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে।’
মেয়ে ও নাতিকে ছাড়া আওলাদের অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ায় আইরিন আক্তারের সন্দেহ হয়। তিনি বলেন, ‘আওলাদের বোন পাপিয়া আক্তার ও মাকসুদা বেগমের কাছে মেয়ের বিষয়ে জানতে চাই। তারা আমার নাতিকে (আহাদ নূর) তাদের কাছে থাকার কথা জানালেও মেয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। গত ৮ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। মামলায় রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেন, চাচাশ্বশুর আমজাদ হোসেন, ননদ পাপিয়া আক্তার ও মাকসুদা বেগমকে আসামি করি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
নিহত রেহেনার ভাই রবিন বলেন, ‘দেশ ও দেশের বাইরে আমার বোনের নামে অনেক সম্পদ রয়েছে। ওই সম্পদই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে বলেন, ‘গত ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ও মামলার সূত্র ধরে পাপিয়া ও আমজাদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মনোদিয়া চৌরাপাড়া গ্রামে পাপিয়া আক্তারের নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় রেহেনা পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
১৪ মিনিট আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
৩৮ মিনিট আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
৪২ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
১ ঘণ্টা আগে