Ajker Patrika

নরসিংদীতে ভুয়া উপপরিদর্শক আটক

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে ভুয়া উপপরিদর্শক আটক

নরসিংদীতে এক ভুয়া পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে শহরের তরোয়া এলাকার জেলখানা মোড় থেকে তাঁকে আটক করা হয়। 

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসিম মিয়া। 

আটক ব্যক্তির নাম হারুন ওরফে বাবুল (৩৫)। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার বাগমারী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। নিজেকে সাভারের আশুলিয়া হাইওয়ের উপপরিদর্শক পরিচয় দিতেন তিনি।

পুলিশ জানায়, গত ৩ জুন ট্রেনে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ব্যক্তির। সে সময় ওই নারীর ফোন নম্বর নেন তিনি। একপর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে ওই নারীর অনেকগুলো ব্যাগ থেকে একটি ব্যাগ নিয়ে নেমে যান ওই ব্যক্তি। গত ৬ জুন ওই নারীকে ফোন করে জানান তার একটি ব্যাগ পেয়েছেন তিনি। এদিকে ওই নারী জানান ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন।

ফোন পেয়ে হারানো ব্যাগ আনতে ওই নারী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে একপর্যায়ে ওয়াশরুম যেতে যান। তখন তাঁকে জেলা শহরের জেলখানা মোড়ের হলি লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ওই নারী বাইরে হারুনের কাছে তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ এবং আগের ব্যাগটি রেখে ওয়াশরুমে যান। বাইরে বের হয়ে দেখেন ওই ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁর ব্যাগে নগদ ১৫ হাজার টাকা, চার আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও তাঁর ব্যবহৃত সীমসহ একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিল। পরে ওই নারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানান। 

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা থেকে তাঁর ছবি স্থানীয় সাংবাদিকদের দেন। আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় অনলাইন পোর্টালের শিরোনাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক  শাহাদাৎ হোসেন রাজু জেলখানার মোড়ে গেলে ভুয়া পুলিশ হারুনকে দেখতে পান। এ সময় তিনি দায়িত্বরত নরসিংদী ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবুল বাসার আকন্দ, সার্জেন্ট শামীম আহমেদ এবং এসআই মো. মোস্তফা কামালকে ঘটনাটি অবহিত করলে তারা হারুনকে আটক করেন। পরে তাঁকে হলি লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিহ্নিত করেন। 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হারুন প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি লেজার লাইট, একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তাঁকে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সাংবাদিক রাজু বলেন, ‘তাকে জেলখানার মোড়ে দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে মোবাইলে থাকা ছবি দেখে নিশ্চিত হয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে জানালে তারা তাকে আটক করে।’

নরসিংদী সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক নাসিম মিয়া বলেন, হারুনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় আসার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত