Ajker Patrika

লকডাউন উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে উপচে পড়া ভিড়

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ২০: ৫০
লকডাউন উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে উপচে পড়া ভিড়

মুন্সিগঞ্জ : চলমান লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।  

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি অটোরিক্সা, পিকআপ ভ্যান ও পায়ে হেঁটে আসতে থাকে যাত্রীরা ।এতে ঘাট এলাকায় ভোররাত থেকেই বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে অপর দিক থেকে বাড়তে থাকে ঢাকামুখী গার্মেন্টস কর্মীসহ নানা পেশাজীবী যাত্রীদের চাপ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী এসব মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।     

কথা হয় ঢাকামুখী গার্মেন্টস কর্মী ফাতেমা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে গ্রামের  বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সামনে ঈদ, আর্থিক সংকটে পড়ে যাওয়ায় আবারও ঢাকায় ফিরছি। তবে পথে পথে শিকার হতে হয়েছে নানা বিড়ম্বনা।

শিউলি আক্তার, মীরা পারভীন, জান্নাত বেগমসহ বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মী বলেন, লকডাউনের কারণে তাদের কারখানা বন্ধ হলেও এখন আবার মালিকরা কর্মস্থলে ফিরতে তাগিদ দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে করোনা ঝুঁকি নিয়েই ঢাকায় ফিরছে।  

ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে ঘাট এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে সকাল থেকে চলাচল করতে দেখা গেছে স্প্রিড বোর্ডসহ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। আর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরিতে গাদাগাদি করে নেয়া হয়েছে দ্বিগুণ যাত্রী।

ফেরিতে পারাপারের অপেক্ষমান যাত্রী রাকিবুল ইসলাম জানান, লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়েছি। আর্থিক সংকটের কারণে গ্রামের বাড়ি বরিশালে চলে যাচ্ছি।  

শুধু তিনিই নন কিন্ডারগার্ডেন স্কুল শিক্ষক নাজমুল হাসান, ঢাকা সদরঘাটের ফল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম,  দিনমজুর শফিক,আকবর,সোহেল ও সবজি বিক্রেতা আলামিনের মত আরও অনেকেই আর্থিক সমস্যার কারণে নিরুপায় হয়ে ফিরে যাচ্ছেন গ্রামের পথে।   

তবে চলমান করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের সুযোগ নিয়ে স্পিড বোর্ড, ফেরিতে যাত্রীদের কাছ থেকে থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত বাড়তি ভাড়া। এতে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘাট পারাপারে অপেক্ষমান যাত্রীদের।   

ছবি: আজকের পত্রিকাঘাটে আগত যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি ঘাট সংশ্লিষ্টদের।

তবে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জি এম সিরাজুল কবির জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নদীতে বাড়তি টহল ব্যবস্থা করা হয়েছে।তাঁরা ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন। এছাড়াও মাক্স পড়াসহ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। এছাড়াও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে স্প্রিড বোর্ডসহ ইঞ্জিন চালিত ট্রলার চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে দায়সারা মন্তব্য করেন তিনি।    

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত