Ajker Patrika

ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার না হলে দুর্গাপূজা বর্জনের ঘোষণা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯: ০০
ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার না হলে দুর্গাপূজা বর্জনের ঘোষণা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে আসন্ন দুর্গাপূজা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় হিন্দু নেতারা। 

আজ সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা মোড় চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিও জানানো হয়। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সনাতন ধর্মের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে পুলিশের সহায়তায় আপস-মীমাংসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু হিন্দুসমাজ যদি এমন ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পায়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব।’ 

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে প্রতিবাদস্বরূপ আসন্ন দুর্গাপূজা থেকে বিরত থাকবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রতিটা পূজামণ্ডপে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। 

এ সময় উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্মরণ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ দাস, উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের সদস্যসচিব অভিজিৎ ঘোষসহ অন্যান্যরা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সনাতন ধর্মের লোকজন বিভিন্ন প্রতিবাদ লেখাযুক্ত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। 

উল্লেখ্য, উপজেলার ধুবলিয়া এলাকায় খালেক নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং একই গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক স্কুলছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে আবু সামার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মোতালেবকে আটক করে পুলিশ। শনিবার সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীটিকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ভুক্তভোগীসহ সবার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে জবানবন্দি নথিভুক্ত করে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ও সহযোগী মোতালেবকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠায় থানা-পুলিশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত