Ajker Patrika

কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা তাঁদের কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ভোলায় হতাহতের জন্য প্রকারান্তরে তারাই দায়ী এবং তাঁদের এ দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা উচিত।’

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতার ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি লাশের রাজনীতি করে। তাঁদের অপরাধপ্রীতি ও লাশের রাজনীতির বলি হচ্ছে ভোলার নিহত দুই কর্মী। বিএনপি তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছিল এবং কারও কারও হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে পুলিশের ওপর গুলি করা হয়েছে এবং পুলিশ সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষের সহায়-সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান নেতৃত্ব তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’

বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিতো এখন ফাঁকা মাঠে আন্দোলন করছে, এখন শোকের মাস আগস্ট, সামনে শোক দিবস, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা যখন মাঠে নামব, তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।’

এর আগে বেতার মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, মরহুম কামরুজ্জামান কখনো রাগান্বিত না হওয়া একজন ভালো মানুষ এবং বেতারের জন্য নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ছিলেন। মন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের শোক সহ্যশক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন তার বক্তব্যে প্রয়াত মহাপরিচালকের কর্মনিষ্ঠা ও সুআচরণের কথা স্মরণ করেন। অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ বেতারের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খাদিজা বেগমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম এবং কামরুজ্জামানের সহকর্মীবৃন্দ। পরে কামরুজ্জামানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অন্ধকারে চীন মৈত্রী সেতু, চলাচলে ঝুঁকি

  • ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়
  • সৌরবাতি নষ্ট হয়ে যায় এক বছরের মাথায়; পরে বৈদ্যুতিক বাতিও নষ্ট হয়
মাদারীপুর প্রতিনিধি
অন্ধকারে চীন মৈত্রী সেতু, চলাচলে ঝুঁকি

মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সব বাতি অকেজো থাকায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারের মধ্যে সেতুর ওপর, এমনকি নিচেও মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ফলে পথচারীরা অনেক সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণ করা হয় সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ৬৯৪ মিটার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ শেষে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধন করা হয়। চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটির ওপরে শতাধিক খুঁটি বসিয়ে সৌরবাতি লাগানো হয়। এক বছরের মাথায় বাতিগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সৌরবাতি বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর কয়েক মাস যেতেই আবার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বছরের পর বছর সেতুর বাতিগুলো অকেজো হয়েই পড়ে রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এক বছর ধরে সড়ক বিভাগই সেতুটির টোল আদায় করছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার চলাচলকারী যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করার পরও সেতুটির বাতি নেই।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ সেতুর ওপর প্রায় দুর্ঘটনাসহ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেতুর ওপরে ও নিচে নেশার আড্ডাও বসে।

অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাতি না থাকার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়ে এখন আর আগের মতো কেউ এখানে আসে না।

মাইক্রোবাসচালক ফেরদৌস ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুতে সড়কবাতি না থাকায় অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই এই সেতুতে সড়কবাতি জরুরি’

পথচারী জালালউদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়ি সেতুর কাছেই। সন্ধ্যার পর এখান দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। কারণ এখানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার নিয়োগ না থাকায় বাতিগুলো অকেজো হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন বাতিগুলো ঠিক করা হবে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সঞ্চয়পত্রের সার্ভারে জালিয়াতির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান মিম ও আল আমিন। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকি তিনজনের খোঁজে অভিযান চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা। আরিফুর রহমান মিম এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক। বাকি দুজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালিয়াতকারী চক্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সার্ভারে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর গ্রাহকের তথ্য পরিবর্তন এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একাধিক সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।

গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তিনটি সঞ্চয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের হিসাবে মোট ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্রুত পদক্ষেপে ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি খাতে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় নগদায়ন করে তা আরিফুর রহমান মিমের হিসাবে জমা হয়। পরে ঢাকার দুটি শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। যদিও তার লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেটি ১০ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।

একইভাবে রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা মারুফ এলাহী রনির নামে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। উভয় সঞ্চয়পত্রই ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র। তবে সময়মতো জালিয়াতি ধরা পড়ায় টাকা উত্তোলনের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা স্থগিত করে।

ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ ও এনআরবিসি ব্যাংক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডধারী তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিএফআইইউ সন্দেহভাজন সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে, যাতে আর কোনো অর্থ লেনদেন করা না যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।

এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস সরবরাহের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক জানান, মহাসড়কের নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাখরাবাদের কারিগরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত শেষে রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মোস্তফা ও বিএসএফের পক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে একটি দল।

ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত এসকেন তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন, চাঁদপুর সদরের লোধের গাঁও গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন গাজীর মেয়ে নাসরিন বেগম, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পূর্বচিপা বারইখালী গ্রামের আলম শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা বেগম, একই জেলার চরহোগলা বুনিয়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী শেখের ছেলে শাহিন শামীম, সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ, আবুল শেখের স্ত্রী রিমা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী সুখী বেগম ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর (৫) এবং একই এলাকার আউয়াল হালদারের স্ত্রী নাসরিন।

আরও হলো বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত সোলেমান মাঝির ছেলে রিয়াজ মাঝি, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর চর আমিরগঞ্জ গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর ছেলে হাসান ব্যাপারী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত গাহুর মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা ও তাঁর ছেলে খাইরুল মৃধা, একই এলাকার মৃত গাহুর মৃধার ছেলে জাকির মৃধা, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে লাবনী আক্তার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দ গ্রামের মৃত শওকত আলীর মেয়ে মোমেনা বেগম, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কদমতলার (গুসার গ্রাম) মৃত আতিয়ার রহমান শেখের মেয়ে অন্তরা শেখ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতিয়ার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন।

সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ সীমান্ত পিলার ২১০৪/৭-এস-এর আওতাধীন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টায় বিজেপির পক্ষ থেকে ১৮ নারী-পুরুষ, একটি শিশুসহ ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত