Ajker Patrika

কচুরিপানায় ভরে গেছে নদী, আটকে গেছে মালবাহী নৌকা

কচুরিপানায় ভরে গেছে নদী, আটকে গেছে মালবাহী নৌকা

গাজীপুরের শ্রীপুর সুতিয়া নদীর কাওরাইদ অংশের ৭ কিলোমিটার এলাকা কচুরিপানায় ভরে গেছে। এতে সুতিয়া নদী দিয়ে সকল ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে। কচুরিপানা ঠেলে কোনো পরিবহন চলাচল করতে না পারায় সুতিয়া নদীর তীরের জেলেরা কয়েক দিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছেন। অতিরিক্ত কচুরিপানার চাপ থাকায় নদী পাড়ের ধানের জমিতে তা উঠে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সোনাব গ্রাম থেকে শুরু হয়ে নান্দিয়া সাঙ্গুন পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নদীর পুরোটাই কচুরিপানায় ডেকে গেছে। কচুরিপানা এতটাই চাপা অবস্থায় রয়েছে যে একজন মানুষ সেটির ওপর ভর করে নদী পারাপার করতে পারবেন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি যেন নদী নয়, দিগন্ত জোড়া ফসলের সবুজ মাঠ।

নদীপাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে কয়েক দিন ধরে পুরো নদী কচুরিপানায় ডেকে গেছে। কচুরিপানার জন্য স্থানীয় মাঝিরা নৌকা চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলেরা নদীতে মাছ শিকার বন্ধ করেছেন। অপরদিকে, নান্দিয়া সাঙ্গুন আর নিগুয়ারী ইউনিয়নের মধ্যে খেয়া পারাপার বন্ধ রয়েছে।

কাওরাইদ জেলে পাড়ার রবিউল ইসলাম বলেন, আগের মতো নদীতে মাছ পাওয়া যায় না। তবুও কিছু কিছু মাছ শিকার করতাম। কিন্তু বর্তমানে কচুরিপানার জন্য মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করতে হয়েছে। হঠাৎ করে এত কচুরিপানা কি করে নদীতে এল বুঝতে পারছি না। নদীতে স্রোত থাকলে হয়তোবা চলে যেত। কিন্তু নদীতে স্রোত না থাকায় আরও জমাট বেঁধে আছে।

নান্দিয়া সাঙ্গুন খেয়াঘাটের মাঝি নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে সুতিয়া নদীতে খেয়া পারাপার করছি। হঠাৎ করে দুই সপ্তাহ ধরে নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকায় খেয়া পারাপার বন্ধ করে দিয়েছি। কচুরিপানা এতটাই জমাট বেঁধে আছে যে তা ঠেলে কোনোভাবেই খেয়া পারাপার করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে খেয়া পারাপার বন্ধ রেখেছি।

নৌকার মাঝি আলী নেওয়াজ বলেন, সুতিয়া নদী দিয়ে বাঁশ পরিবহন করতাম। কিন্তু নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকায় নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। কচুরিপানার জন্য আজ আমাদের উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে। আসলে নদীতে যে পরিমাণ কচুরিপানা হয়েছে তা ঠেলে কোনো নৌকা চলাচল সম্ভব নয়।

লাকরী ভর্তি আটকে থাকা নৌকার মাঝি সাইফুল ইসলাম বলেন, একই জায়গায় তিন দিন যাবৎ আটকে আছি। নদীতে প্রচুর পরিমাণ কচুরিপানা হয়েছে। এতে নৌকা চালানো কোনোভাবেই সম্ভব না।

নদীপাড়ের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাড়ের ধান জমিতে কচুরিপানা ঢুকে ফসল নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নদীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খেয়া পারাপারের স্থানের কচুরিপানা সরিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে রেখে ‘৪ কোটি টাকা আদায়’

সব কমিটি থেকে নারীদের সিস্টেমেটিক্যালি সাইড করা হয়েছে: সামান্তা শারমিন

অবরোধকারীদের ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের’ হামলা, পুলিশের লাঠিপেটায় শাহবাগ ফাঁকা

আরও বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

একে একে আট বিয়ে, নয়বারের বেলায় গ্রেপ্তার ‘লুটেরা দুলহান’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত