Ajker Patrika

চুরির মামলা তদন্তে নেমে অস্ত্র ব্যবসায়ীর খোঁজ পেল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চুরির মামলা তদন্তে নেমে অস্ত্র ব্যবসায়ীর খোঁজ পেল পুলিশ

কেরানীগঞ্জে এক বছর আগে শাহীন নামে একজনের বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়। তবে তিনি কোনো মামলা করেননি। ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, মামলা করে কিছুই হবে না। তবে অপর একটি চুরির মামলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সেদিন স্বর্ণালংকার-নগদ টাকার সঙ্গে শাহীনের পাঁচটি অবৈধ অস্ত্রও চুরি হয়েছিল। অবশেষে শাহীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১২ এপ্রিল পুরান ঢাকার চকবাজারের পূর্ব ইসলামবাগ এলাকার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা-পুলিশ। এই চক্রের মূল হোতা ২২ মামলার আসামি মামুন। মামুনের অন্যতম সহযোগী তাঁর মা হাসিনা। মামুনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামুন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁর চক্রের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন রাজীব হোসেন রানা। সেই রানার নেতৃত্বে এক বছর আগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার একটি বাসায় চুরি হয়। ওই বাসা থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র চুরি করেছিল রানা। কিন্তু চুরি হওয়ার পরও কেরানীগঞ্জের ওই বাসার ভাড়াটিয়া থানায় কোনো মামলা করেননি। গত ২২ এপ্রিল রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। এরপর তাঁকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের সেই বাসায় যায় পুলিশ। এরপর ২৫ এপ্রিল শাহীনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ মহিদ উদ্দিন।

শাহীনের তথ্যের ভিত্তিতে আবুল হাসান সুজন, পারভেজ নূর, রশিদ মিয়া ও মানিক চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা-পুলিশ। শাহীন ঢাকা ও কেরানীগঞ্জে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা করে। চক্রের আরও দুজন সদস্য এখনো পলাতক রয়েছেন।

খ মহিদ উদ্দিন বলেন, সুজনের কাছ থেকে দুটি, রানার কাছ থেকে একটি, মানিকের কাছ থেকে একটি এবং পারভেজের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রানার বিরুদ্ধে ১০টি, সুজনের বিরুদ্ধে একটি, মানিকের বিরুদ্ধে চারটি ও পারভেজের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে রয়েছেন। এই ঘটনায় দুজন পলাতক রয়েছে।

মামুনের চোর চক্রের চুরি করে পাওয়া অস্ত্রগুলো নানা কৌশলে হাত বদল হয় উল্লেখ করে অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ বলেন, ‘মামুনের চক্রটি মূলত চুরির সঙ্গে জড়িত। সাধারণত কোনো চক্র গড়ে ওঠে তখন তারা নানা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে তখন তারা বড় ধরনের কাজ করে থাকে। তেমনি এই অস্ত্রগুলোর তেমন অপব্যবহারের সুযোগ ছিল। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তা হলো অস্ত্রগুলো একাধিকবার হাত বদল হয়েছে। কেনা-বেচা হয়েছে। তবে অস্ত্রগুলো কোনো ধরনের ব্যবহারের তথ্য পাইনি। ব্যবহারের আগেই উদ্ধার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত