Ajker Patrika

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাতিলের দাবি

দলীয় রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তৈরি এবং অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার স্থানীয়করণ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইনসহ কয়েকটি জাতীয় নীতি ও পরিকল্পনার সংস্কারের দাবি তুলেছে জলবায়ু নিয়ে কাজ করা ৩৯টি নাগরিক সংগঠনের জোট ‘জলবায়ু ন্যায্যতা জোট-বাংলাদেশ’। 

আজ শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা নীতি বা পরিকল্পনা প্রণয়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা এবং বাস্তবায়নে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের সংস্কার ভাবনা’-শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তোলা হয়। 

জোটের সমন্বয়কারী ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) প্রধান নির্বাহী মো. শামছুদ্দোহা এসব দাবির পক্ষে যুক্তি ও তথ্য উপস্থাপন করেন। 

 ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ুকে বিবেচনায় নিতে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন দেয়। 

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানিয়ে মো. শামছুদ্দোহা বলেন, বিগত সরকার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে এবং তাঁদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করেছিল। বিগত সরকারের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারীর একক তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণভাবে বিদেশি পরামর্শকদের দ্বারা এবং অংশীজনদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এ পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়। 

তিনি যোগ করেন, ‘এটি দেশের অন্যান্য পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। সর্বতোভাবেই বিদেশি ঋণনির্ভর হয়ে উঠেছে। ফলে এটি সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক না হয়ে দেশকে আরও দেনাগ্রস্ত করবে। পরিকল্পনাটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বেশ কয়েকটি লক্ষ্যমাত্রার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। ফলে অগণতান্ত্রিক উপায়ে তৈরি ও বিদেশি ঋণ নির্ভর এ পরিকল্পনাটি বাতিল ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।’ 

সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামছুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের জাতীয় তহবিল ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) ও এর আইনি কাঠামো ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট অ্যাক্ট’ দলীয় সরকার, আমলাতন্ত্র ও পেশাজীবীদের আধিপত্য সর্বতোভাবে নিশ্চিত হয়েছে এবং এটি অবাধ দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করেছে। 

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অসংগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিসিসিটিএফ পরিচালনায় তৈরি ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের ১৪ জনই মন্ত্রী, একজন সচিব এবং দুজন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। দুজন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সরকার দলীয় মন্ত্রী বা ফান্ড বোর্ডের আমন্ত্রণে বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন, যাঁরা প্রকারান্তরে দলীয় সরকারেরই অংশ। ফান্ডের অর্থ বরাদ্দে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে বিসিসিটিএফ ও এর আইনি কাঠামোর আমূল সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’ 

জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মো. শামছুদ্দোহা বলেন, ‘এটি দেশের ভৌগোলিক ভিন্নতাজনিত ঝুঁকি, বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিগ্রস্ত হওয়ার ভিন্নতা পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়নি। ফলে প্রান্তিক এসব জনগোষ্ঠীর বিশেষ অভিযোজন চাহিদা নিরূপণ ও অন্তর্ভুক্ত হয়নি।’ 

জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার স্থানীয়করণের এবং অঞ্চলভিত্তিক জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ততা নিরূপণের মাধ্যমে স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, জনবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রণীত নীতি-পরিকল্পনা ও দুর্নীতির সুযোগ চলমান রেখে এবং গতানুগতিক ধারার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কোনোভাবেই সমতা ও ন্যায্যতাভিত্তিক জলবায়ু সহনীয়তা অর্জন করা যাবে না। 

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগের আধিক্য ও তীব্রতা আগেই অনুমান করা গেলেও আমাদের প্রস্তুতি এখনো কাগুজে পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এমনকি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে বহুমাত্রিক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।’ 

সুশীলনের উপ-নির্বাহী পরিচালক নাসির উদ্দিন ফারুক বলেন, গণতন্ত্রায়ণের অগ্রযাত্রায় সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে প্রণীত জলবায়ু নীতি-পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংস্কার প্রয়োজন। 

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে নাগরিক উদ্যোগের গবেষক ফারহান হোসেন জয়, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের ক্লাইমেট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স বিষয়ক থিমেটিক লিড তামান্না রহমান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপক আহসানুল ওয়াহেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির সাবেক এমপি এনসিপি থেকে পেলেন মনোনয়ন

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি  
মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। ছবি: সংগৃহীত
মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।

এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’

আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিআইডির ট্রেনিং সেন্টার থেকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।

আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান। ‎

‎ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি মোস্তফা আরও জানান, ‎প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর আরামবাগে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় একটি বাসায় চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করতে না পারলেও পুলিশ বলছে, তাঁর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আরমান হোসেন।

কাজী আরমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে আরামবাগ করিম ভিলা, ৯৮/১ নম্বর বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মাঝের সিঁড়ি থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর দুই হাত, পা, পিঠসহ গোটা দেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কাজী আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি চুরি করার জন্য বাড়িটিতে ঢুকেছিলেন। ষষ্ঠ তলায় একটি বাসা থেকে মোবাইল ফোন চুরি করার সময় তাঁকে ধরে পেটানো হয়। এতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

নিহত ব্যক্তির মরদেহ আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ২৬ টন পলিথিন জব্দ, তিনজনের জেল-জরিমানা

বগুড়া প্রতিনিধি
পলিথিনের গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জেল-জরিমানা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পলিথিনের গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জেল-জরিমানা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ২৬ টন পলিথিন জব্দ করেছেন র‍্যাব-১২-এর সদস্যরা। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শহরের কালিতলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পলিথিনের গোডাউনের ম্যানেজারকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ মোট তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার আটাপাড়া এলাকার হেলালুজ্জামান (৪৫), নাটাইপাড়া এলাকার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং গোকুল এলাকার জাকারিয়া (২২)।

র‍্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি দল সকাল ৯টার দিকে কালিতলা এলাকায় ঝরনা হোমিও হলের পূর্ব পাশে ভান্ডারি পাইপ ফ্যাক্টরি-সংলগ্ন ওই গোডাউনে অভিযান চালায়। অভিযানকালে গোডাউন এবং একটি ট্রাকে বিপুল পরিমাণ এই নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া যায়, যার পরিমাণ ২৬ টন বা ২৬ হাজার কেজি। গোডাউনের ম্যানেজার হেলালুজ্জামানসহ আটক তিনজনই জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে পলিথিন মজুত ও বিক্রির দায়ে গোডাউনের ম্যানেজার হেলালুজ্জামানকে (৪৫) ২ লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর সহযোগী রফিকুল ইসলামকে (৪০) এক মাস এবং জাকারিয়াকে (২২) ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম জানান, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে ডিবি এর আগেও অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ টন পলিথিন জব্দ করেছিল। আমরা এসে জানতে পারলাম, আমিনুর ইসলাম শিবু নামের একজন দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন। মূল মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি। এ কারণে ম্যানেজার হেলালুজ্জামানকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তাঁর দুই সহযোগীকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, জব্দ করা ২৬ টন পলিথিন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত