Ajker Patrika

সড়কে যানজট, রেল স্টেশনে ভিড় বাড়ছে মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৩, ১৪: ১১
সড়কে যানজট, রেল স্টেশনে ভিড় বাড়ছে মানুষের

এবারও ঈদের আগের দিন ভেঙে পড়েছে রেলের স্বস্তিদায়ক যাত্রাব্যবস্থা। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই ছাদভর্তি যাত্রী নিয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়েছে কয়েকটি ট্রেন। আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। দেখা গেছে একই ধরনের শঙ্কা। এর আগে গত রোজার ঈদেও একই পরিস্থিতি হয়েছে রেলে। সড়কপথে যানজটের কারণে শেষ সময়ে এসে ট্রেনের টিকিটের জন্য ভিড় করছে যাত্রীরা।

আজ বুধবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে আন্তনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা বেশি ছিল। একই সঙ্গে কমিউটার ট্রেনেও ছিল বাড়তি চাপ। এর আগে গতকাল বিকেলের পর ভেঙে পড়েছিল রেলে বিনা টিকেটের যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে না দেওয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজও তেমন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত তিন দিন ট্রেনগুলোর শিডিউল মোটামুটি ঠিক থাকলেও চতুর্থ দিন ও পঞ্চম দিনে এসে ভেঙে পড়েছে ট্রেনের শিডিউল। এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরি করে ছাড়ছে পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ ট্রেন। এর মধ্যে নীলসাগর এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা আর দ্রুতযান এক ঘণ্টা দেরি করেছে। তবে এটাকে শিডিউল বিপর্যয় মানতে রাজি নন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার।

তিনি বলেন, একদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে ঘরমুখী যাত্রীদের। আর এক দিন পরই ঈদ। শতভাগ অনলাইনে টিকিট হওয়ার কারণে বাড়ি যেতে অনলাইনে টিকিট কেটেছেন যাত্রীরা। যাঁরা অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারেননি, তাঁদের জন্য যাত্রার দুই ঘণ্টা আগে দাঁড়ানো (স্ট্যান্ডিং টিকিট) টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ট্রেনগুলোতে দেখা যায়, ট্রেনের সব সিট যাত্রীতে পরিপূর্ণ। স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরাও উঠেছেন ট্রেনগুলোতে।

স্ট্যান্ডিং টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো রংপুরের যাত্রী দুর্জয় খান বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট পাইনি। গতবার স্ট্যান্ডিং টিকিটে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সামনে যে লাইন, তাতে স্ট্যান্ডিং টিকিট পাব কি না তা নিয়ে সন্দেহ।’

নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদে উত্তরবঙ্গের মানুষ বাসে গেলে যানজটে পড়ে। এ জন্য সবাই ট্রেনে যেতে চায়। তাই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কেটেছিলাম। সহজেই টিকিট পেয়ে এখন শেষ পর্যন্ত ট্রেনে উঠেছি। যদিও দুই ঘণ্টা দেরি হয়েছে।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র বলছে, এবার বিক্রি করা মোট আসনের ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বা স্ট্যান্ডিং বিক্রি করা হচ্ছে কমলাপুর কাউন্টার থেকে। আসনবিহীন এই টিকিট পেতে ভোর থেকেই কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের। অনেক যাত্রী স্টেশনের মূল ফটক থেকেও আসনবিহীন টিকিট কাটতে পারছেন।

একই টিকিটে একাধিক যাত্রীর আসন
এদিকে অনলাইনে একই আসনের বিপরীতে একাধিক টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। আজকের পত্রিকার কাছে এমন কয়েকটি টিকিটের নমুনা রয়েছে। তাতে দেখা গেছে, দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসের একই আসনে দুইজনের নামে টিকিট কাটা হয়েছে। যিনি আগে এসেছেন তিনি আসন নিজের নামে বরাদ্দ পেয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহজের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবায়ের হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। একটি টিকিট একজনের নামে বরাদ্দ করা হচ্ছে।

তবে কেন এমন হলো তার উত্তরে তিনি বলেন, অনেকেই টিকিটের প্রিন্ট কপিতে নাম আর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর পরিবর্তন করে নিচ্ছেন কম্পিউটারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত