নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণে আবারও পেছাল। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮–এর বিচারক মাফরোজা পারভীন তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ জুন নতুন তারিখ ধার্য করেন। আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাদী হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর আগের ধার্য তারিখেও বাদী সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি।
আজ ট্রাইব্যুনালে আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পি পি রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৫ মার্চ আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর মামলা নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল আমিন তাঁর স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধর করার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তাঁর ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছর ২৫ আগস্ট আল-আমিন তাঁর স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। তাঁর স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল-আমিন জানান, তাঁর (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাঁকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাঁকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তাঁর সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ের সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
মামলা দায়েরের পর আল–আমিন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জামিন দেন। তবে আট সপ্তাহ জামিন দিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশে বলেন, এই সময়ের পর তাঁকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আল–আমিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে তাঁকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়।
এই মামলা ছাড়াও ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী আরও দুটি মামলা করেন। একটি হচ্ছে পারিবারিক সহিংসতার মামলা, আর অন্যটি হচ্ছে দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারের মামলা।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণে আবারও পেছাল। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮–এর বিচারক মাফরোজা পারভীন তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ জুন নতুন তারিখ ধার্য করেন। আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাদী হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর আগের ধার্য তারিখেও বাদী সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি।
আজ ট্রাইব্যুনালে আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পি পি রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৫ মার্চ আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর মামলা নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল আমিন তাঁর স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধর করার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তাঁর ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছর ২৫ আগস্ট আল-আমিন তাঁর স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। তাঁর স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল-আমিন জানান, তাঁর (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাঁকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাঁকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তাঁর সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ের সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
মামলা দায়েরের পর আল–আমিন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জামিন দেন। তবে আট সপ্তাহ জামিন দিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশে বলেন, এই সময়ের পর তাঁকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আল–আমিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে তাঁকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়।
এই মামলা ছাড়াও ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী আরও দুটি মামলা করেন। একটি হচ্ছে পারিবারিক সহিংসতার মামলা, আর অন্যটি হচ্ছে দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারের মামলা।
নরসিংদীর শিবপুরে ডোবায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের মুন্সেফেরচর (ইটাখোলা) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু দুটি হলো মুন্সেফেরচর কাঁঠালতলা এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া (০৩) ও একই এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে মায়ামনি (০৩)।
১১ মিনিট আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়ন ও কাটাবুনিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মারদোনা খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার সুবর্ণচর উপজেলা চত্বরে এই মানববন্ধন হয়। চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণির জনগণ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় বক্তারা বলেন, খাল দখলমুক্ত না হলে এলাকা
১৮ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২২ মিনিট আগেশনিবার রাতে জেলা শহরের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে আরিফকে আটকের সময় আট জোড়া হাতকড়া, কারারক্ষীদের ছয় জোড়া কাঁধের ব্যাজ, আটটি মনোগ্রাম, শীতের জ্যাকেটসহ ১০ ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে