Ajker Patrika

নির্বাচনী পোস্টার লাগানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-গুলি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মে ২০২৪, ২৩: ২০
নির্বাচনী পোস্টার লাগানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-গুলি

পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ-মিছিল করেন। এতে উপজেলার উথুলী মোড় থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। 

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম জাহিদ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে দুই পক্ষ তাদের অবরোধ তুলে নেয়। 

এ ঘটনায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খানের কর্মী দেবাশীষ ঘোষ জয় শিবালয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেল সারে চারটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খানের নির্বাচনী ক্যাম্প এলাকা ডাক্তার খানা এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউর রহমান খান জানুর কর্মীরা পোস্টার লাগাতে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে রহিম খানের কর্মীরা জানুর কর্মীদের মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেয়। 

জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম রহমান খান রনি বিষয়টি জানার পর তাঁর চাচাতো ভাই আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোনায়েম মোস্তাকিন খান অনিককে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার খানায় যান। সেখানে যাওয়া মাত্র আব্দুর রহিম খানের ভাগনে ও শিবালয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন এবং কর্মী দেবাশীষ ঘোষ জয় তাঁদের গালিগালাজ শুরু করেন। 

একপর্যায়ে রনির কর্মীরা এগিয়ে গেলে আলাল এবং দেবাশীষ ঘোষ জয় তাঁদের লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করেন। পরে রনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন। 

জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম রহমান খান রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের জনি এবং সিয়াম নামের দুই কর্মীকে মারপিট করেছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ডাক্তার খানা এলাকায় যাওয়ার পথে মহাসড়ক এলাকায় আলাল এবং জয় ঘোষ গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাদের কর্মীরা তাদের দিকে এগিয়ে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করতে আসে। একপর্যায়ে নিজের জীবন রক্ষায় আমি এক রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করি।’ 

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দেবাশীষ ঘোষ জয় বলেন, ‘এই ঘটনা আমি কোনোভাবে অবগত ছিলাম না। আমি স্থানীয় এমপি সাহেবের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। সেখান থেকে আমার বাড়ি ডাক্তার খানায় এসে দাঁড়িয়ে কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছি। এমন সময় রনি এবং তার চাচাতো ভাই অনিক এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে আমার এলাকার মানুষ তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়।’ 

জয় বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি শিবালয় থানায় রনি এবং অনিকসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০ জনের নামে অভিযোগ দিয়েছি।’ 

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিম খানের কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রনির কর্মীদের রাস্তায় দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেবাশীষ ঘোষ জয় নামের একজন অভিযোগ দিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় দফায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম খানসহ তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। 

এর আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন এবং তেউতা ইউনিয়নে দুই দফায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রহিম খান এবং জানু একে অপরকে দোষারপ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

বৃদ্ধের চার বিয়ে, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জেরার মুখে হাসির রোল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত