নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষের চলাচল ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চলমান লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার চলমান লকডাউনের শেষ দিনে রাজধানী আবারও আগের চিত্রে ফিরতে শুরু করেছে। প্রতিটি সড়কে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। খুলেছে অধিকাংশ দোকানপাট। বেড়েছে মানুষের চলাচল। ফলে লকডাউন শিথিলের আগেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রাজধানী।
আজ বুধবার লকডাউনের শেষ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন না চললেও সড়কে অনেক জায়গায় যানজট দেখা গেছে।
রাজধানীর সড়কে আগের চেয়ে বেড়েছে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ। একই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেলে নেওয়া হচ্ছে দুজন যাত্রী। আগের চেয়ে বাইরে মানুষের চলাফেরা বেড়েছে। অধিকাংশই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করছে।
একটি প্রাইভেট কারে চারজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সরকার তো সব লকডাউন তুলে নিয়েছে। তাই আমরা একটু জরুরি কাজে বের হয়েছি।’ কী জরুরি কাজে বের হয়েছেন, সেটা জানতে চাইলে তিনি আর কথা বলতে চাননি। রামপুরা চেকপোস্টে তাঁর গাড়ি আটকানো হয় এবং যথাযথ কারণ না বলতে পারায় তাঁকে জরিমানা করা হয়।
বেসরকারি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করেন জিয়াউল হক। তিনি মোটরসাইকেলে তাঁর প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে সহকর্মীকেও নিয়েছিলেন। ফলে পথে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'শুনলাম লকডাউন আর থাকছে না। ফলে আমি মনে করেছি সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। তাই আগের নিয়মে দুজন যাচ্ছিলাম। এ কারণেই পুলিশ ধরেছে। কাল তো সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আজ এত কড়াকড়ি করে কোনো লাভ আছে।’
লকডাউন শিথিলের খবরে রাজধানীর প্রধান সড়কের পাশের দোকানপাটগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। কিছু কিছু দোকানের অর্ধেক শাটার খোলা। কেউ আবার পুরোটাই খোলা রেখে চালাচ্ছেন দোকান।
বাড্ডায় জহুরুল ইসলাম নামের এক দোকানদার বলেন, 'কাল থেকে লকডাউন আর থাকছে না। তাই আজ দোকানটা খুলেছি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখছি। ঈদের এই কয়টা দিন এমনিতেই বেচা–বিক্রি হবে না। ঈদের পরে আবার লকডাউন। আমাদের তো মাথায় হাত।’
লকডাউনের শেষ দিন হলেও সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল আগের মতো। বেশির ভাগ সড়কে ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।
রামপুরা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের চেকপোস্টে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোহতাছিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'বেশির ভাগ মানুষ মনে করছে আজ কোনো লকডাউন নেই। সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সে কারণে মানুষ আজকে বেশি বাইরে আসছে। তা ছাড়া যারা বাইরে আসছে বেশির ভাগই মিথ্যা যুক্তি দেয়। বাইরে আসার যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারছে না। যার একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আছে সে দেখা যাচ্ছে আরও চারজন যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা বের হচ্ছে।’
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। এর ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। চলছে না বাস, ট্রেন ও লঞ্চ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষের চলাচল ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চলমান লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার চলমান লকডাউনের শেষ দিনে রাজধানী আবারও আগের চিত্রে ফিরতে শুরু করেছে। প্রতিটি সড়কে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। খুলেছে অধিকাংশ দোকানপাট। বেড়েছে মানুষের চলাচল। ফলে লকডাউন শিথিলের আগেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রাজধানী।
আজ বুধবার লকডাউনের শেষ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন না চললেও সড়কে অনেক জায়গায় যানজট দেখা গেছে।
রাজধানীর সড়কে আগের চেয়ে বেড়েছে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ। একই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেলে নেওয়া হচ্ছে দুজন যাত্রী। আগের চেয়ে বাইরে মানুষের চলাফেরা বেড়েছে। অধিকাংশই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করছে।
একটি প্রাইভেট কারে চারজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সরকার তো সব লকডাউন তুলে নিয়েছে। তাই আমরা একটু জরুরি কাজে বের হয়েছি।’ কী জরুরি কাজে বের হয়েছেন, সেটা জানতে চাইলে তিনি আর কথা বলতে চাননি। রামপুরা চেকপোস্টে তাঁর গাড়ি আটকানো হয় এবং যথাযথ কারণ না বলতে পারায় তাঁকে জরিমানা করা হয়।
বেসরকারি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করেন জিয়াউল হক। তিনি মোটরসাইকেলে তাঁর প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে সহকর্মীকেও নিয়েছিলেন। ফলে পথে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'শুনলাম লকডাউন আর থাকছে না। ফলে আমি মনে করেছি সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। তাই আগের নিয়মে দুজন যাচ্ছিলাম। এ কারণেই পুলিশ ধরেছে। কাল তো সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আজ এত কড়াকড়ি করে কোনো লাভ আছে।’
লকডাউন শিথিলের খবরে রাজধানীর প্রধান সড়কের পাশের দোকানপাটগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। কিছু কিছু দোকানের অর্ধেক শাটার খোলা। কেউ আবার পুরোটাই খোলা রেখে চালাচ্ছেন দোকান।
বাড্ডায় জহুরুল ইসলাম নামের এক দোকানদার বলেন, 'কাল থেকে লকডাউন আর থাকছে না। তাই আজ দোকানটা খুলেছি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখছি। ঈদের এই কয়টা দিন এমনিতেই বেচা–বিক্রি হবে না। ঈদের পরে আবার লকডাউন। আমাদের তো মাথায় হাত।’
লকডাউনের শেষ দিন হলেও সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল আগের মতো। বেশির ভাগ সড়কে ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।
রামপুরা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের চেকপোস্টে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোহতাছিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'বেশির ভাগ মানুষ মনে করছে আজ কোনো লকডাউন নেই। সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সে কারণে মানুষ আজকে বেশি বাইরে আসছে। তা ছাড়া যারা বাইরে আসছে বেশির ভাগই মিথ্যা যুক্তি দেয়। বাইরে আসার যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারছে না। যার একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আছে সে দেখা যাচ্ছে আরও চারজন যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা বের হচ্ছে।’
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। এর ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। চলছে না বাস, ট্রেন ও লঞ্চ।
ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান দুটি পথ বন্ধ করে শহীদ মিনার গোলচত্বর সড়কে সংস্কারকাজ চলছে। এতে অতিরিক্ত আধা থেকে এক কিলোমিটার ঘুরে শহরে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লোকজনকে।
১ ঘণ্টা আগেপাবনার ফরিদপুর উপজেলায় অন্তত আড়াই শ কারখানায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব কারখানায় অবাধে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকার তৈরি করা জাল বিক্রি করা হচ্ছে চলনবিলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য চায়না দুয়ারি জাল...
১ ঘণ্টা আগেখুলনা বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, প্রতীকী অনশন এবং ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের...
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের কৃষক মোহাম্মদ আলী (৫০) চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় মাছকারিয়া বিলে ৫ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। ধানও পেকে উঠেছে। বৈশাখের মাঝামাঝিতে ধান কাটার প্রস্তুতি ছিল তাঁর। তবে বৃষ্টিতে জমির পাশের পাহাড়ে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য এসে তাঁর অধিকাংশ পাকা..
২ ঘণ্টা আগে