আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দুপুর ২টা ১৮ মিনিট। পুরান ঢাকার পলাশী মোড়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তেল চিনি ডাল পেঁয়াজ কেনার জন্য বহু মানুষের ভিড়। তখনো ট্রাক আসেনি। অপেক্ষা করতে করতে অনেকে সড়কের কার্নিশে বসে পড়েছেন। ক্লান্তিতে ঢুলছেন অনেকে।
নাজিম উদ্দিন রোডের চা বিক্রেতা আবদুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বেগম এসেছেন সেই সকাল ৯টায়। ছয় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছেন তিনি। দুপুর গড়িয়ে গেলেও টিসিবির ট্রাকের দেখা নেই। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বসে পড়েন তিনি। কোলেই ঘুমিয়ে পড়ে দুগ্ধপোষ্য শিশুটি। একপর্যায়ে নিজেও ঘুমিয়ে পড়েন খাদিজা।
খাদিজার মতোই শতাধিক নারী-পুরুষকে টিসিবির ট্রাকের প্রতীক্ষায় সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কথা হয় খাদিজার পাশে বসে থাকা এক নারীর সঙ্গে। তিনি জানান, এখন তো টিসিবির ট্রাকের পণ্য দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইদানীং লাইনও হচ্ছে বেশ দীর্ঘ। তাই তিনি এসেছেন সেই সকাল ৮টায়।
আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল টিসিবির সাশ্রয়ী দামে পণ্য বিক্রির শেষ দিন। সে কারণেই অনেকেই সকাল সকাল এসে ট্রাকের জন্য প্রতীক্ষা করছেন। বেলা ৩ টায়ও পলাশি মোড়ে টিসিবির ট্রাকের দেখা পাননি ক্রেতারা। অথচ আজ টিসিবির ট্রাক সেলের তালিকায় পলাশির মোড় নেই বলে জানা গেছে। ফলে খাদিজা বেগমদের নিশ্চয় আজ খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল চিনি ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের নিম্ন ও নিম্নবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। পণ্যের দাম শুধু বাড়ছেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় তো বাড়ছেই না বরং বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, কারও আয় কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। এ কারণে সাশ্রয়ী দামে টিসিবির তেল চিনি ডাল কিনতে আসা মানুষের লাইনও দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকেই দীর্ঘ অপেক্ষার পরও পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মাসখানেক ধরেই এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ শনিবার ১১৬টি ট্রাকে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এতে পলাশি মোড়ে আজকে কোনো ট্রাক ছিল না। ট্রাক যেসব স্থানে থাকবে তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রাজধানীর ৫৮টি স্থানে ট্রাকে পণ্য বিক্রি হয়েছে।’
বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৮ টাকা, চিনি ৭৫-৮০ টাকা, ডাল ৯৫-১০০ টাকা ও পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকায়। আর টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে একজন ভোক্তা জনপ্রতি ২ কেজি চিনি ২ কেজি ডাল ২ কেজি পেঁয়াজ ও দুই লিটার তেলসহ প্যাকেজ কিনলে ব্যয় হয় ৫৪০ টাকা। অথচ বাজারে একই পরিমাণ পণ্য কিনলে ভোক্তাকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৭৬০ টাকা।
দুপুর ২টা ১৮ মিনিট। পুরান ঢাকার পলাশী মোড়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তেল চিনি ডাল পেঁয়াজ কেনার জন্য বহু মানুষের ভিড়। তখনো ট্রাক আসেনি। অপেক্ষা করতে করতে অনেকে সড়কের কার্নিশে বসে পড়েছেন। ক্লান্তিতে ঢুলছেন অনেকে।
নাজিম উদ্দিন রোডের চা বিক্রেতা আবদুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বেগম এসেছেন সেই সকাল ৯টায়। ছয় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছেন তিনি। দুপুর গড়িয়ে গেলেও টিসিবির ট্রাকের দেখা নেই। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বসে পড়েন তিনি। কোলেই ঘুমিয়ে পড়ে দুগ্ধপোষ্য শিশুটি। একপর্যায়ে নিজেও ঘুমিয়ে পড়েন খাদিজা।
খাদিজার মতোই শতাধিক নারী-পুরুষকে টিসিবির ট্রাকের প্রতীক্ষায় সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কথা হয় খাদিজার পাশে বসে থাকা এক নারীর সঙ্গে। তিনি জানান, এখন তো টিসিবির ট্রাকের পণ্য দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইদানীং লাইনও হচ্ছে বেশ দীর্ঘ। তাই তিনি এসেছেন সেই সকাল ৮টায়।
আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল টিসিবির সাশ্রয়ী দামে পণ্য বিক্রির শেষ দিন। সে কারণেই অনেকেই সকাল সকাল এসে ট্রাকের জন্য প্রতীক্ষা করছেন। বেলা ৩ টায়ও পলাশি মোড়ে টিসিবির ট্রাকের দেখা পাননি ক্রেতারা। অথচ আজ টিসিবির ট্রাক সেলের তালিকায় পলাশির মোড় নেই বলে জানা গেছে। ফলে খাদিজা বেগমদের নিশ্চয় আজ খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল চিনি ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের নিম্ন ও নিম্নবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। পণ্যের দাম শুধু বাড়ছেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় তো বাড়ছেই না বরং বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, কারও আয় কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। এ কারণে সাশ্রয়ী দামে টিসিবির তেল চিনি ডাল কিনতে আসা মানুষের লাইনও দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকেই দীর্ঘ অপেক্ষার পরও পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মাসখানেক ধরেই এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ শনিবার ১১৬টি ট্রাকে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এতে পলাশি মোড়ে আজকে কোনো ট্রাক ছিল না। ট্রাক যেসব স্থানে থাকবে তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রাজধানীর ৫৮টি স্থানে ট্রাকে পণ্য বিক্রি হয়েছে।’
বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৮ টাকা, চিনি ৭৫-৮০ টাকা, ডাল ৯৫-১০০ টাকা ও পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকায়। আর টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে একজন ভোক্তা জনপ্রতি ২ কেজি চিনি ২ কেজি ডাল ২ কেজি পেঁয়াজ ও দুই লিটার তেলসহ প্যাকেজ কিনলে ব্যয় হয় ৫৪০ টাকা। অথচ বাজারে একই পরিমাণ পণ্য কিনলে ভোক্তাকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৭৬০ টাকা।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৭ মিনিট আগেটেকনাফে নাফ নদী দিয়ে মাছ ধরার ছদ্মবেশে ইয়াবা পাচারের সময় দুই মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় পাচারকারীদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
৩ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহার আগে নতুন নকশার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারে ছাড়া নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য হালনাগাদ না করায় ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন), সিআরএম (ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন) ও মেট্রোরেলের ভেন্ডিং মেশিনে নতুন নোট জমা বা ব্যবহার করত
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
৫ ঘণ্টা আগে