Ajker Patrika

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক বিনিয়োগ

জেন্ডার বিভক্ত বাংলাদেশের সমাজে নারী ও কন্যাদের প্রতি সাইবার অপরাধ কমানো দেশের সার্বিক নারী ও কন্যাদের মানবিক মর্যাদায় উন্নীত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই কাজটির ক্ষেত্রে যথাযথ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। বিটিআরসির নীতিমালার ব্যবহার, প্যারা সোশ্যাল একটিভিটি এবং বিনিয়োগের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। শুধু আইন দিয়ে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। প্রকাশিত ভিডিও নিয়েও ট্রল করে হেনস্তা করা হয়, যতই আইন থাক আমাদের অ্যাকশনে যেতে হবে, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে হবে। 

আজ শনিবার বেলা ১১টায় সিরডাপের এটিএম শামসুল হক মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপস্থিত বক্তারা। ‘নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা: বাস্তবতা ও করণীয়’ বিষয়ে তরুণদের সঙ্গে এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। 

‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। 

উপস্থিত আলোচকবৃন্দ বলেন, নাগরিকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে স্মার্ট হতে হবে। ৬৩% শিশু-কিশোর বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় পর্নোগ্রাফিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোকে ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সবচেয়ে ভুক্তভোগীর বয়স ১৮-২০ বছরের মধ্যে। ৮০% ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নেন না আইনি সেবায় সন্তোষ না থাকার কারণে। সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহার তদারকি করতে প্যারেনটাল গাইড থাকতে হবে। 

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রোটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগম, বিপিএম বলেন, মাঠ পর্যায়ে ৬৫৯টি পুলিশি থানা আছে। এ সকল থানার কেস তদন্ত কর্মকর্তাদের সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। এতে ঢাকা সিটির চাইতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের সাইবার সহিংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আন্ডার রিপোর্টিংয়ের জন্য এক্সপ্লয়টেশন বেশি হচ্ছে। পুলিশের সাইবার সাপোর্ট টিমে মাত্র ১৫-১৬ জন জনবল রয়েছে, যারা ৭০ হাজার কমপ্লেন পেয়েছে। সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সাইবার সাপোর্ট টিমের জনবল বৃদ্ধি করতে হবে; সচেতনতা শিশুবেলা থেকেই তৈরি করতে হবে; ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকারি, বেসরকারি, তরুণদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করা সম্ভব হবে তিনি মন্তব্য করেন। 

ডিজিটাল লিটারেসি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন এর চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর শিকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের অনেক ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। সাইবার দুনিয়া একটি মুক্ত জায়গা যেখানে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই দিতে হবে। ডিজিটাল লিটারেসি বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই। অভিভাবকদের বাচ্চাদের ইন্টারনেটের ব্যবহার মনিটরিং করতে হবে, তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। তিনি এ সময় বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় বিটিআরসির নির্দেশ অনুসারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইডলাইন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের থেকে সংগ্রহ করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক এ দেশে নেই। এরপরও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিটিআরসির উদ্যোগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৩৫ হাজার আপত্তিকর কনটেন্ট ফেসবুক থেকে আলোচনার মাধ্যমে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যম নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করছে, সকলকে তিনি এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। 

সাইবার স্পেসে বেশির ভাগ নারী ভিকটিম হয় প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতার অভাবে এবং অপরাধ প্রমাণের জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকার কারণে অপরাধী মুক্তি পেয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এ এম জুলফিকার হায়াত। তিনি বলেন, বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহারের আগে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে। নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে একাধিক সিমকার্ড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমূহকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং টিকটক, ইমো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইনি নীতিমালা তৈরির ওপর জোর দেন। 

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড একটা ইনফিনিটি ওয়ার্ল্ড। এটা গ্লোবাল। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশকে নেতৃত্ব দানকারীদের সচেতনতার তৈরির কাজটা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহির ক্ষেত্র শক্তিশালী না হলে বাংলাদেশ সাইবার দুনিয়ায় ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তিনি এ সময় সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৭

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পরৈকোড়া ইউনিয়নের কালীগঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পরৈকোড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. সাকিব প্রকাশ শাকিল (২১), পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়ির মোহাম্মদ নেছার (২২), একই এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), পরৈকোড়ার বাতুয়াপাড়ার শাহাদাত হোসেন (২২), পটিয়ার গৌরনখাইন রফিক ম্যানেজারের বাড়ির মো. আরিফুল ইসলাম প্রকাশ বাবু (২৫), শান্তির হাট জমিদার বাড়ির মো. হাবিব (২৩) এবং দক্ষিণ আশিয়াইশ চৌধুরীর বাড়ির মো. রাজীব চৌধুরী (২১)। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে একটি এলজি, তাজা কার্তুজ, স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো লোহার তৈরি পাইপগান সদৃশ অস্ত্র, লোহার তৈরি বাহারি দেশীয় অস্ত্র, দুটি জম্বি বেসবল ব্যাট, একটি বেসবল ব্যাট, একটি তলোয়ার, পাঁচটি বড় রামদা, একটি কুড়াল উদ্ধার করে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আটককৃতরা পেশাদার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ উল্লিখিত স্থানে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: 
টর্চলাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
টর্চলাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের ওপর টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার উত্তর সুহিলপুরে আজিজের গোষ্ঠী ও উকিলের গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক তিন ঘণ্টা আটকে সংঘর্ষ চালায়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ আর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় ওই মহাসড়কে যান চলাচল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত চার-পাঁচ দিন আগে বিতর্কের জেরে উকিলের গোষ্ঠীর সাদ্দাম আজিজের গোষ্ঠীর আক্তারকে থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। গতকাল বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিস বসে। কিন্তু তাতে সমাধান না হওয়ায় রাতে দুই গোষ্ঠীর লোকজন মহাসড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজিজের গোষ্ঠী ও উকিল গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁ সীমান্ত থেকে যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নওগাঁর পোরশা সীমান্ত থেকে আইয়ুব আলী (৩৫) নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ২৩১ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আইয়ুব আলী উপজেলার নিতপুর গোপালগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব আলী বুধবার ভোরে ২৩১ নম্বর পিলার সীমান্তের কাছে মাঠে কাজ করতে যান। এ সময় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আইয়ুব আলীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি বিএসএফ সদস্যরা আইয়ুব আলীকে আটক করে ভারতের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁকে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে চালু হলো বিশেষায়িত ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রামেকে সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রামেকে সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটি ওয়ার্ড চালু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এটি দেশের কোনো হাসপাতালে সাপা কাটা রোগীদের জন্য প্রথম বিশেষায়িত ওয়ার্ড। এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীমিত পরিসরে স্নেকবাইট ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। মৃত্যুহার কমাতে রামেক হাসপাতাল ওয়ার্ডটি চালু করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ ওয়ার্ডটির উদ্বোধন করেন। হাসপাতালের পুরোনো ক্যানটিনের জায়গায় ১২ শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) মানের এই ওয়ার্ড করা হয়েছে। সাপে কাটা রোগীদের শ্বাসকষ্ট হয়, হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি থাকে। এসব সমস্যারও চিকিৎসা হবে এ ওয়ার্ডে।

জানা গেছে, হাসপাতালে আসা সাপে কাটা সব রোগীই চিকিৎসা পাবে। তবে শয্যা পাবে আটজন পুরুষ ও চারজন নারী। ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বর্তমানে রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের ওপর পিএইচডি করছেন, যা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রামেকে ১ হাজার ২০৫ জন সাপে কাটা রোগী এসেছে। এর মধ্যে ২৬০ জন বিষধর সাপের কামড় নিয়ে এসেছিল। অন্যরা নির্বিষ সাপের কামড় নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ৩০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে। অন্যরা কালাচ বা কেউটে ও গোখরা সাপের কামড়ে মারা গেছে। মৃত্যুহার কমিয়ে আনার জন্য ডেঙ্গু, করোনা ও নিপাহভাইরাসের মতো সাপে কাটা রোগীদের জন্যও বিশেষায়িত ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ। এ জন্য আগে চিকিৎসক ও নার্স বাছাই করা হয়। তাঁদের স্নেকবাইট ন্যাশনাল গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়।

ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুহার ছিল ২৭ শতাংশ। চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতির ফলে এই হার এখন অনেক কমে এসেছে। নতুন বিশেষায়িত ওয়ার্ডে সমন্বিত চিকিৎসা (ইন্টিগ্রেটেড ট্রিটমেন্ট) দেওয়া যাবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধান থাকবে এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনমের মজুত রাখা হবে। ফলে মৃত্যুহার আরও কমবে।

আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনমের প্রতিটি ডোজের মূল্য প্রায় ১৩ হাজার টাকা। একটি ডোজে ১০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম লাগে। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে একাধিক ডোজ প্রয়োজন হয়। রোগীরা হাসপাতাল থেকেই পুরোপুরি বিনা মূল্যে এই ওষুধ পাবে। রোগী ওয়ার্ডে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার চিকিৎসা শুরু হবে। এক মিনিটও বিলম্ব হবে না।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘সাপে কাটা রোগীরা এমনিতেই দেরি করে হাসপাতালে আসে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালেও চিকিৎসা শুরু হতে একটু দেরি হতো। দেখা যেত, বড় একটা ওয়ার্ডের এক কোণায় রোগীরা থাকত। এখন ভালো হলো। এটা একেবারেই মেডিকেল ইমার্জেন্সি ইউনিট, এইচডিইউ সুবিধাও থাকছে। এখানে ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক থাকবেন। নার্সরা তো থাকবেনই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত