ঢাবি সংবাদদাতা
শহীদ শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাঁরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন তাঁরা বলেন, ১৩ মে রাতে সাম্যর হত্যাকাণ্ডকে শুধু একজন ছাত্রনেতার হত্যা নয়; বরং এটি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার প্রতিচ্ছবি হিসেবেও দেখতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টায় ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের পর সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল ছিল অরক্ষিত। শিক্ষার্থীরাই ইট দিয়ে ক্রাইম সিন ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ ও ফরেনসিক টিম যথাক্রমে ঘটনার ৬ ও ৮ ঘণ্টা পর এসে উপস্থিত হয়। এ বিলম্বকে শিক্ষার্থীরা শুধু অবহেলা নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দেরি বলেও অভিহিত করেন।
তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতির কথা তুলে ধরে তাঁরা বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ‘নেই’ বলা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন—‘এটি কি তদন্তের ব্যর্থতা, নাকি মূল অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা?’
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাম্যর পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি ‘বিচার নিশ্চিতকরণ কমিটি’ গঠন করতে। একই সঙ্গে নাগরিক ও ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধিসহ কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কারের দাবি তোলেন।
তাঁদের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের পরের ছয় দিনেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি। এমনকি জনগণের সহায়তায় দুই হামলাকারীকে আটকের পরও তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি। পরে ‘সাজানো নাটকের মতো’ গ্রেপ্তারের চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
শুধু সাম্য হত্যাই নয়, শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েক মাসে তোফাজ্জল হত্যা, ফ্যাসিবাদবিরোধী গ্রাফিতি মোছা, চারুকলার মোটিফ পোড়ানো, ক্যাম্পাসে লাশ ঝুলে থাকা—এসব ঘটনায়ও প্রশাসনের গাফিলতি স্পষ্ট। ফজলুল হক হলে তোফাজ্জলকে নির্মম নির্যাতনের সময় উপস্থিত শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল টিম নীরব থাকায় প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতার চিত্র ফুটে ওঠে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে প্রকৃত হামলাকারীদের অনেকের নাম অভিযুক্ত তালিকায় নেই, শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভ মোছার ঘটনা নিয়ে অস্পষ্টতা এবং নববর্ষে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্তেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সাম্যর মৃত্যুর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ কার্যদিবস চলেছে এবং পরে ‘প্রহসনমূলক’ অর্ধদিবস শোক পালন করা হয়—যা শহীদদের প্রতি চরম অবহেলার নজির।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস এবং অনুপ্রবেশ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভ্রাম্যমাণ মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা।
দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে মব সন্ত্রাস, সুফিপন্থী ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মাজারে আক্রমণ, খুন, অপহরণ, ডাকাতি ও নারীর প্রতি সহিংসতার মতো ঘটনাগুলো পরিসংখ্যানগতভাবে বেড়েছে, যা আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির দিকেই ইঙ্গিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে সূর্য সেন হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু, ছাত্র ইউনিয়নের মোহাম্মদ মুস্তাকিম, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ইসরাত জাহান ইমু এবং ছাত্র ফেডারেশনের রক্তবীজ অর্ক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
শহীদ শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাঁরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন তাঁরা বলেন, ১৩ মে রাতে সাম্যর হত্যাকাণ্ডকে শুধু একজন ছাত্রনেতার হত্যা নয়; বরং এটি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার প্রতিচ্ছবি হিসেবেও দেখতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টায় ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের পর সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল ছিল অরক্ষিত। শিক্ষার্থীরাই ইট দিয়ে ক্রাইম সিন ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ ও ফরেনসিক টিম যথাক্রমে ঘটনার ৬ ও ৮ ঘণ্টা পর এসে উপস্থিত হয়। এ বিলম্বকে শিক্ষার্থীরা শুধু অবহেলা নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দেরি বলেও অভিহিত করেন।
তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতির কথা তুলে ধরে তাঁরা বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ‘নেই’ বলা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন—‘এটি কি তদন্তের ব্যর্থতা, নাকি মূল অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা?’
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাম্যর পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি ‘বিচার নিশ্চিতকরণ কমিটি’ গঠন করতে। একই সঙ্গে নাগরিক ও ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধিসহ কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কারের দাবি তোলেন।
তাঁদের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের পরের ছয় দিনেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি। এমনকি জনগণের সহায়তায় দুই হামলাকারীকে আটকের পরও তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি। পরে ‘সাজানো নাটকের মতো’ গ্রেপ্তারের চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
শুধু সাম্য হত্যাই নয়, শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েক মাসে তোফাজ্জল হত্যা, ফ্যাসিবাদবিরোধী গ্রাফিতি মোছা, চারুকলার মোটিফ পোড়ানো, ক্যাম্পাসে লাশ ঝুলে থাকা—এসব ঘটনায়ও প্রশাসনের গাফিলতি স্পষ্ট। ফজলুল হক হলে তোফাজ্জলকে নির্মম নির্যাতনের সময় উপস্থিত শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল টিম নীরব থাকায় প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতার চিত্র ফুটে ওঠে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে প্রকৃত হামলাকারীদের অনেকের নাম অভিযুক্ত তালিকায় নেই, শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভ মোছার ঘটনা নিয়ে অস্পষ্টতা এবং নববর্ষে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্তেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সাম্যর মৃত্যুর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ কার্যদিবস চলেছে এবং পরে ‘প্রহসনমূলক’ অর্ধদিবস শোক পালন করা হয়—যা শহীদদের প্রতি চরম অবহেলার নজির।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস এবং অনুপ্রবেশ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভ্রাম্যমাণ মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা।
দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে মব সন্ত্রাস, সুফিপন্থী ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মাজারে আক্রমণ, খুন, অপহরণ, ডাকাতি ও নারীর প্রতি সহিংসতার মতো ঘটনাগুলো পরিসংখ্যানগতভাবে বেড়েছে, যা আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির দিকেই ইঙ্গিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে সূর্য সেন হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু, ছাত্র ইউনিয়নের মোহাম্মদ মুস্তাকিম, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ইসরাত জাহান ইমু এবং ছাত্র ফেডারেশনের রক্তবীজ অর্ক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল রোডে সাইফ হোসেন মুন্না নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ওই যুবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকা দিয়ে—এনসিপির মুখপাত্র হাসনাত আবদুল্লাহর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় তাঁকে কোনো...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরা থেকে চারটি মোবাইল ফোনসহ মোহাম্মদ শিমুল (৩০) ও মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান (৩১) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুরে তাঁদের ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেঅস্তিত্বহীন, নামসর্বস্ব দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তাঁর সহযোগী, ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৬৮ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগে