Ajker Patrika

গাজীপুরে ৫ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ৫০
গাজীপুরে ৫ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করছেন পাঁচ কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও আর্ম পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। তখন মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থেকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে গাজীপুর সদর উপজেলা দু’টি কারখানার শ্রমিক এসে আন্দোলনে যোগ দেয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেতন বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টার এলাকার মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া কারখানা গুলো হলো—এসএম ফ্যাশন, হাই ফ্যাশন, এসরোটেক্স, মেঘনা, হাওয়ার ইউ।

মেঘনা কারখানার শ্রমিক আনিছুর রহমান বলেন, সরকার ২০১৮ সালে শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করে। এরপর ২০২৩ সালে সেটি সংশোধিত আকারে প্রকাশ করে। সেখানে শ্রমিকদের দক্ষতা অনুযায়ী এ, বি, সি গ্রুপে বেতন নির্ধারিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে কারখানা মালিক আজ পর্যন্ত সরকার ঘোষিত গেজেট আকারে প্রকাশিত বেতন কার্যকর করেনি। এ জন্য আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি দাবি আদায়ের জন্য।

এসরোটেক্স কারখানার শ্রমিক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকার ঘোষিত বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছি। এগুলো বাস্তব হলে আমরা আন্দোলন করব না। আমরা চাই আমাদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি করতে। শ্রমিকদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন করে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এগুলো বন্ধ করতে হবে। আজ প্রতিবাদের পাশাপাশি দাবি আদায় করতে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়েছি।’

মেঘনা কারখানার শ্রমিক লামিয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের কথা বলতে এসেছি। কিন্তু এখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের ভাড়া করে আমাদের শ্রমিকদের সমানে পেটাচ্ছে। আমাদের কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। একজন নারী শ্রমিকের হাত ভেঙে দিয়েছে। একজন পুরুষ শ্রমিকের মাথা ফেটে গেছে। আমরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিক হাসপাতালে পাঠাইছি।’

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক জায়গায় কারখানায় আন্দোলন হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এগুলো থামানোর জন্য। ওখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত