প্রতিনিধি, উত্তরা (ঢাকা)
ছয় মাস আগে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ২০১২ সালের দিকে তাঁর মা মারা যান। এরপর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাবা সৌদি এয়ারলাইনসের ক্যাপ্টেন এ কে এম আব্দুল কাইয়ুম মারা যান। এরপর তিনি সেই বাসা ছেড়ে চলে আসেন একই সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাসায়। বাসাটিতে তার বাবা-মা গড়ে তোলার পর থেকে মারা যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিলেন।
সোমবার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ওই বাসাটিতে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচতলা ওই ভবনের নিচ তলায় পার্কিং এ পড়ে আছে একটি হ্যারিয়ার ও একটি প্রিমিও কালো রঙের দুটি গাড়ি। পুরো বাড়িতেই বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। মনে হয় পুরো বাড়িতেই বিরাজ করছে শোকের ছায়া।
বাড়ির কেয়ারটেকার মো. দেলোয়ার হোসেনের আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'গ্যারেজে থাকা দুটি গাড়িই নওশাদ স্যারের বাবা-মায়ের ছিল। এই দুটি গাড়ির মধ্যে হ্যারিয়ার গাড়িটি স্যারের বাবা ও প্রিমিও গাড়িটি মা ব্যবহার করতেন। তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখতেই স্যার কোন গাড়ি কেনেননি। অবসর সময়ে মনের ইচ্ছে মত তিনি গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পরতেন। তবে প্রিমিও গাড়িটি ছিল স্যারের বেশি পছন্দের, তিনি সেই গাড়িটি নিয়েই বেশি বের হতেন। স্যারের বাবা-মা'র গাড়ি প্রিয় ছিল বলেই স্যার কোন গাড়িও কেনেননি।'
দেলোয়ার বলেন, 'স্যারের দুই বোন, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেই সবাই আমেরিকা প্রবাসী। তাঁরা সেখানেই বসবাস করেন। স্যার বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকতেন। আবার স্যার মাঝেমধ্যে আমেরিকা যেতেন। তবে স্যারের স্ত্রী সন্তানদের এ বাসায় কখনোই আসতে দেখি নাই।'
দেলোয়ার আরও বলেন, 'বাড়ির নিচে গ্যারেজের পাশের একটি ইউনিট এবং পুরো পঞ্চম তলার একটি ইউনিট ভাড়া দেওয়া ছিল। বাকি দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলা তিনিই ব্যবহার করতেন। থাকতেন চতুর্থ তলায়। সবকিছুই দেখভাল করতাম আমি। স্যার কোন ভাড়াটিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন না। শুধু মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতেন। গত মঙ্গলবার স্যার বের হওয়ার আগে তাকে বলেছি-স্যার গাড়ি আসছে।'
বাড়ির আশপাশের লোকজন ও দোকানদার আজকের পত্রিকাকে জানান, 'পাইলট নওশাদ আগে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি এ বাসায় আসেন। বাসার বাইরে তিনি সহজে বের হতেন না, আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন না।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি জরুরি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা চলাকালে তিনি আজ সোমবার সকালে মৃত্যু বরণ করেন।
ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের বুদ্ধিমত্তায় সবার জীবন রক্ষা পায়। এর আগেও ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন নওশাদ তাঁর বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে ১৪৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট আর সাত ক্রূর জীবন বাঁচিয়েছিলেন।
ছয় মাস আগে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ২০১২ সালের দিকে তাঁর মা মারা যান। এরপর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাবা সৌদি এয়ারলাইনসের ক্যাপ্টেন এ কে এম আব্দুল কাইয়ুম মারা যান। এরপর তিনি সেই বাসা ছেড়ে চলে আসেন একই সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাসায়। বাসাটিতে তার বাবা-মা গড়ে তোলার পর থেকে মারা যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিলেন।
সোমবার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ওই বাসাটিতে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচতলা ওই ভবনের নিচ তলায় পার্কিং এ পড়ে আছে একটি হ্যারিয়ার ও একটি প্রিমিও কালো রঙের দুটি গাড়ি। পুরো বাড়িতেই বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। মনে হয় পুরো বাড়িতেই বিরাজ করছে শোকের ছায়া।
বাড়ির কেয়ারটেকার মো. দেলোয়ার হোসেনের আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'গ্যারেজে থাকা দুটি গাড়িই নওশাদ স্যারের বাবা-মায়ের ছিল। এই দুটি গাড়ির মধ্যে হ্যারিয়ার গাড়িটি স্যারের বাবা ও প্রিমিও গাড়িটি মা ব্যবহার করতেন। তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখতেই স্যার কোন গাড়ি কেনেননি। অবসর সময়ে মনের ইচ্ছে মত তিনি গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পরতেন। তবে প্রিমিও গাড়িটি ছিল স্যারের বেশি পছন্দের, তিনি সেই গাড়িটি নিয়েই বেশি বের হতেন। স্যারের বাবা-মা'র গাড়ি প্রিয় ছিল বলেই স্যার কোন গাড়িও কেনেননি।'
দেলোয়ার বলেন, 'স্যারের দুই বোন, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেই সবাই আমেরিকা প্রবাসী। তাঁরা সেখানেই বসবাস করেন। স্যার বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকতেন। আবার স্যার মাঝেমধ্যে আমেরিকা যেতেন। তবে স্যারের স্ত্রী সন্তানদের এ বাসায় কখনোই আসতে দেখি নাই।'
দেলোয়ার আরও বলেন, 'বাড়ির নিচে গ্যারেজের পাশের একটি ইউনিট এবং পুরো পঞ্চম তলার একটি ইউনিট ভাড়া দেওয়া ছিল। বাকি দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলা তিনিই ব্যবহার করতেন। থাকতেন চতুর্থ তলায়। সবকিছুই দেখভাল করতাম আমি। স্যার কোন ভাড়াটিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন না। শুধু মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতেন। গত মঙ্গলবার স্যার বের হওয়ার আগে তাকে বলেছি-স্যার গাড়ি আসছে।'
বাড়ির আশপাশের লোকজন ও দোকানদার আজকের পত্রিকাকে জানান, 'পাইলট নওশাদ আগে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি এ বাসায় আসেন। বাসার বাইরে তিনি সহজে বের হতেন না, আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন না।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি জরুরি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা চলাকালে তিনি আজ সোমবার সকালে মৃত্যু বরণ করেন।
ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের বুদ্ধিমত্তায় সবার জীবন রক্ষা পায়। এর আগেও ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন নওশাদ তাঁর বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে ১৪৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট আর সাত ক্রূর জীবন বাঁচিয়েছিলেন।
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
৯ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
১২ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১ ঘণ্টা আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে