Ajker Patrika

ঢাবির হলে কক্ষ দখল নিয়ে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবির হলে কক্ষ দখল নিয়ে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ৫৪০ নম্বর কক্ষে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। তাঁরা জানান, ৫৪০ নম্বর কক্ষে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা থাকতেন। রাতে সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা তালা ভেঙে কক্ষ দখল করার চেষ্টা করার একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা আরও জানান, হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পর তাঁর অনুসারী বৃহত্তর ফরিদপুরের ছাত্রলীগের কর্মীরা সাদ্দাম ও সৈকতের দলে ভাগ হয়ে যান। উভয় গ্রুপই সেই কক্ষ নিজেদের দখলে রাখতে চান। 

সাদ্দামের গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, আইন সম্পাদক রাকিবুল হাসান শিশির, উপ দপ্তর সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকা, উপ-প্রচার সম্পাদক সোহানুর রহমান। অপরদিকে সৈকতের গ্রুপে ছিলেন—হল ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাফিন হাসান ও মাসুদ শিকদার, ছাত্রলীগ কর্মী আবু বকর সিদ্দীক, হাসান সাকিব ও তামজীদ মুবিন। 

জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান শিশির বলেন, ‘ওই রুমে যারা থাকে তারা অছাত্র। আমাদের একজন ছোট ভাই সেখানে প্রশাসনিকভাবে অ্যালোটমেন্ট পেয়েছে। তাকে রুমে তুলতে গেলে ওদের (সৈকতের গ্রুপ) সঙ্গে আমাদের ধাক্কাধাক্কি হয়।’ 

জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘আমাদের গ্রুপের কয়েকজন ভাই সে রুমে থাকে। তারা (সাদ্দামের গ্রুপ) জোর করে দখল করতে স্ট্যাম্প, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলার আমাদের গ্রুপের রাফিন হাসান ও মাসুদ শিকদার গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘হলে আসন বরাদ্দ প্রশাসনের দায়িত্ব। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দখলদারিতে ছাত্রলীগ বিশ্বাস করে না। যারা এগুলো করে তারা শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করছে। আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘হলে গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা সমাধান করে নিয়েছেন। কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত