Ajker Patrika

ফেল করা শিক্ষার্থীদের ‘আত্মহত্যার’ পরামর্শ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, অস্বীকার প্রধান শিক্ষকের

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঢাকার দোহারের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফেসবুক আইডি থেকে করা একটি পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই আইডি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের ‘আত্মহত্যার পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে সেটি ডিলিট করা হয়েছে এবং আইডিটি নিজের নয় বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক।

আজ মঙ্গলবার দোহারের বেশ পুরোনো বিদ্যাপীঠ বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার সরকারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি করা হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘যারা এসএসসিতে ফেল করলে তাদের উচিত আত্মহত্যা করা!’ 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন দোহার উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৯২ শতাংশের বেশি। দোহারের বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭১ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে তিনজন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৮ জন। পাসের হার প্রায় ৯০ শতাংশ। 

‘Saruj Sarkar’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই আইডিটি বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার সরকারের বলে জানা গেছে। অ্যাকাউন্টটি ঘেঁটে দেখা গেছে, এটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। আলোচনা সমালোচনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আজকের পোস্টটি মুছে ফেলা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ‘ওই আইডিটা স্যারের বলেই আমরা জানি। ওই আইডি থেকে আমাদের স্কুলের কোনো প্রোগ্রাম হলে পোস্ট করা হতো।’ 

ওই অ্যাকাউন্টটি ভুয়া বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘যে আইডি থেকে পোস্টটি দেওয়া হয়েছে সেটি আমার আইডি না। ওই আইডি কার বা কে খুলেছে, সে বিষয় আমি কিছুই জানি না।’ 

এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সরোজ কুমার বলেন, ‘আমি এখনো কোনো অভিযোগ করি নাই। তবে কালকে (বুধবার) মিটিং আছে, মিটিংয়ে রেজুলেশন করে অভিযোগ করব।’ 

প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমারের কাছে তাঁর আসল ফেসবুক আইডি চাইলে তিনি যে লিংক দেন সেই আইডির প্রোফাইল লক করা। ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে সেটিও তিনি গ্রহণ করেননি। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দোহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ‘ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। কালকে আমি এই বিষয়টা দেখব এবং তদন্ত করে দেখব। প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত