নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
সদ্য দেখে আসা দোতলার ভয়াবহ অবস্থার কথা বলতে গিয়ে বারবার থামছিলেন সুমন। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘দোতলায় আমার মহাজনের দুইটা দোকান। একটার নাম আয়েশা ফ্যাশন, আরেকটার নাম লেডিস স্টাইল টু। দুই দোকানেই নারীদের ওয়ান পিস বিক্রি করা হয়।’
সুমন বলেন, ‘যা মালামাল তার কতখানি বাইর করতে পারছি, হেইডা কইতে পারি না ভাই। আগুনের তাপ খুব। আর ধুমায় (ধোঁয়া) সব আন্ধার। কিছুই দেহা যাইতাছিল না। আমরা কয়েকবার ওপরে যাইতে পারছি। এহন আর যাওন সম্ভব না।’
তার পরেই আক্ষেপ করে বললেন, ‘আর কয়ডা দিন পরেই চানরাইত (চাঁদরাত)। বেচাকেনাডা তো তহনই হইব। গতকাইল রাইতে মেলা কাস্টমার আছিল। আইজও হইতো ৷ গত রাইতে একটা পর্যন্ত দোকানদারি করছি। কীসে থাইকা কী হইয়া গেল।’
বনলতা মার্কেটের সামনের রাস্তায়ও মালামাল এনে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে ৷ এমন এক স্তূপের সামনে পাহারা দিচ্ছিলেন মোস্তাকিম দেওয়ান। রাপা ফ্যাশন ও সামিয়া ফ্যাশন নামে তাঁর ভাইয়ের দুটি দোকান দোতলায় ৷ দুটিতেই বাচ্চাদের কাপড় বিক্রি করা হতো। এক দোকান থেকে কিছু মালামাল বের করতে পারলেও অন্য দোকানের কাছেই যেতে পারেননি তাঁরা। মোস্তাকিম বলেন, ‘সামিয়া ফ্যাশন থেকে কিছু কাপড় বের করতে পারলেও রাপা ফ্যাশন নামের দোকান থেকে কিছুই বের করা গেল না। ভেতরে এখন কী অবস্থা বলতে পারছি না।’
তৃতীয় তলায় বাইনর নামে একটি দোকানের মালিককে উদ্ধার করা সামান্য কিছু মালামালের সামনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখা গেল। আবুল কালাম নামের এই দোকানি তাঁর স্বজনদের বলছিলেন, ‘কইতে গেলে কিছুই বাইর করবার পারি নাই। সব শ্যাষ। চিন্তা কইরা আর কী হইব। আমার মতো সবডিরই একই অবস্থা। দোয়া কইরো আমাগো লাইগা।’
কালামের দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তৃতীয় তলায় দোকানের ওপরেই ছিল তাঁদের গোডাউন। দোকান থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করা গেলেও গোডাউনের ধারেকাছেই যেতে পারছে না। কালামের দুশ্চিন্তা মূলত গোডাউন নিয়ে।
আরও পড়ুন:

‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
সদ্য দেখে আসা দোতলার ভয়াবহ অবস্থার কথা বলতে গিয়ে বারবার থামছিলেন সুমন। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘দোতলায় আমার মহাজনের দুইটা দোকান। একটার নাম আয়েশা ফ্যাশন, আরেকটার নাম লেডিস স্টাইল টু। দুই দোকানেই নারীদের ওয়ান পিস বিক্রি করা হয়।’
সুমন বলেন, ‘যা মালামাল তার কতখানি বাইর করতে পারছি, হেইডা কইতে পারি না ভাই। আগুনের তাপ খুব। আর ধুমায় (ধোঁয়া) সব আন্ধার। কিছুই দেহা যাইতাছিল না। আমরা কয়েকবার ওপরে যাইতে পারছি। এহন আর যাওন সম্ভব না।’
তার পরেই আক্ষেপ করে বললেন, ‘আর কয়ডা দিন পরেই চানরাইত (চাঁদরাত)। বেচাকেনাডা তো তহনই হইব। গতকাইল রাইতে মেলা কাস্টমার আছিল। আইজও হইতো ৷ গত রাইতে একটা পর্যন্ত দোকানদারি করছি। কীসে থাইকা কী হইয়া গেল।’
বনলতা মার্কেটের সামনের রাস্তায়ও মালামাল এনে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে ৷ এমন এক স্তূপের সামনে পাহারা দিচ্ছিলেন মোস্তাকিম দেওয়ান। রাপা ফ্যাশন ও সামিয়া ফ্যাশন নামে তাঁর ভাইয়ের দুটি দোকান দোতলায় ৷ দুটিতেই বাচ্চাদের কাপড় বিক্রি করা হতো। এক দোকান থেকে কিছু মালামাল বের করতে পারলেও অন্য দোকানের কাছেই যেতে পারেননি তাঁরা। মোস্তাকিম বলেন, ‘সামিয়া ফ্যাশন থেকে কিছু কাপড় বের করতে পারলেও রাপা ফ্যাশন নামের দোকান থেকে কিছুই বের করা গেল না। ভেতরে এখন কী অবস্থা বলতে পারছি না।’
তৃতীয় তলায় বাইনর নামে একটি দোকানের মালিককে উদ্ধার করা সামান্য কিছু মালামালের সামনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখা গেল। আবুল কালাম নামের এই দোকানি তাঁর স্বজনদের বলছিলেন, ‘কইতে গেলে কিছুই বাইর করবার পারি নাই। সব শ্যাষ। চিন্তা কইরা আর কী হইব। আমার মতো সবডিরই একই অবস্থা। দোয়া কইরো আমাগো লাইগা।’
কালামের দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তৃতীয় তলায় দোকানের ওপরেই ছিল তাঁদের গোডাউন। দোকান থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করা গেলেও গোডাউনের ধারেকাছেই যেতে পারছে না। কালামের দুশ্চিন্তা মূলত গোডাউন নিয়ে।
আরও পড়ুন:

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১ মিনিট আগে
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক বিরোধ
মো. আরফাত হোসাইন, রাউজান (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনই রাজনৈতিক কারণে প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজানে নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৪৫)। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক আত্মীয় রিয়াদ (২৫) আহত হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে ৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের চৌধুরীবাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল, রাবারবাগান, আলিখীল, কলমপতি ও ওয়াহেদিখীল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি রাউজানে তথা তাঁর এলাকায় ডাকাত আলম বা আলইম্যা ডাকাত হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিলেন। রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এবং খুনের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেক পক্ষে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওই দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা আব্দুল মান্নানকে।
এদিকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সড়কের ওপর থামানো প্রাইভেট কারে মুহুর্মুহু গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না তাঁর। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।
এর আগে ৬ জুলাই দুপুর ১২টায় কদলপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাগানবাড়ি থেকে মো. ইউসুফ মিয়া নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের চার দিন পর ২৯ অক্টোবর উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় পাওয়া যায় আজম খান নামের একজনের লাশ। নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় ১১ নভেম্বর মেলে ওলামা লীগের সদস্য আবু তাহেরের লাশ। ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের কর্মী মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরে মা ও দুই ভাইয়ের হাতে প্রকৌশলী নূর আলম বকুল খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি দীঘি থেকে খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. জাফরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহ পাড়ার আবদুল্লাহ মানিককে। এর ঠিক তিন দিন পর ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর ইউনিয়নের শমশেরনগর গাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিমকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় পাঁচ এবং যুবলীগের কর্মী হাসান হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ধরছে না।
নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।
নিহত যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
নিহত কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেইজি আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাজারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় সন্ত্রাসী। তারা কোনো দলের হতে পারে না। আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেন না। আমরা রাউজানের বর্তমান পরিস্থিতির অবসান চাই। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে এখনো স্বৈরাচারের অনেক দোসর থেকে গেছে। যারা আগের রূপ পাল্টে চলার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা কামানো। আমরা ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। আমরা কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দিতে রাজি না।’
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো থামানো যাচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আসামিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার রাউজানে এই মুহূর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবদলের কর্মী আলম হত্যার বিচার চাই।’
তবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানে হত্যাকাণ্ডগুলোর ৬টি হয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বাকিগুলো পারিবারিক বা অন্য কারণে হয়েছে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। পরে তদন্তে দেখা যায়, এগুলো হত্যাকাণ্ড না। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৬টি হত্যা মামলায় ৩০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোট মামলায় ৮০-৯০ আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার থামানো যাচ্ছে না বলেই রাউজানে বেশি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্তঃকোন্দল ও গ্রুপিং (বিভক্তি) বারবার সামনে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে পাহাড়-টিলা রয়েছে। অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। যার কারণে পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় অপরাধীদের ধরা। তারপরও আমরা পিছিয়ে নেই। শতাধিক সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনই রাজনৈতিক কারণে প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজানে নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৪৫)। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক আত্মীয় রিয়াদ (২৫) আহত হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে ৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের চৌধুরীবাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল, রাবারবাগান, আলিখীল, কলমপতি ও ওয়াহেদিখীল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি রাউজানে তথা তাঁর এলাকায় ডাকাত আলম বা আলইম্যা ডাকাত হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিলেন। রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এবং খুনের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেক পক্ষে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওই দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা আব্দুল মান্নানকে।
এদিকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সড়কের ওপর থামানো প্রাইভেট কারে মুহুর্মুহু গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না তাঁর। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।
এর আগে ৬ জুলাই দুপুর ১২টায় কদলপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাগানবাড়ি থেকে মো. ইউসুফ মিয়া নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের চার দিন পর ২৯ অক্টোবর উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় পাওয়া যায় আজম খান নামের একজনের লাশ। নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় ১১ নভেম্বর মেলে ওলামা লীগের সদস্য আবু তাহেরের লাশ। ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের কর্মী মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরে মা ও দুই ভাইয়ের হাতে প্রকৌশলী নূর আলম বকুল খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি দীঘি থেকে খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. জাফরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহ পাড়ার আবদুল্লাহ মানিককে। এর ঠিক তিন দিন পর ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর ইউনিয়নের শমশেরনগর গাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিমকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় পাঁচ এবং যুবলীগের কর্মী হাসান হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ধরছে না।
নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।
নিহত যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
নিহত কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেইজি আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাজারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় সন্ত্রাসী। তারা কোনো দলের হতে পারে না। আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেন না। আমরা রাউজানের বর্তমান পরিস্থিতির অবসান চাই। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে এখনো স্বৈরাচারের অনেক দোসর থেকে গেছে। যারা আগের রূপ পাল্টে চলার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা কামানো। আমরা ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। আমরা কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দিতে রাজি না।’
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো থামানো যাচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আসামিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার রাউজানে এই মুহূর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবদলের কর্মী আলম হত্যার বিচার চাই।’
তবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানে হত্যাকাণ্ডগুলোর ৬টি হয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বাকিগুলো পারিবারিক বা অন্য কারণে হয়েছে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। পরে তদন্তে দেখা যায়, এগুলো হত্যাকাণ্ড না। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৬টি হত্যা মামলায় ৩০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোট মামলায় ৮০-৯০ আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার থামানো যাচ্ছে না বলেই রাউজানে বেশি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্তঃকোন্দল ও গ্রুপিং (বিভক্তি) বারবার সামনে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে পাহাড়-টিলা রয়েছে। অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। যার কারণে পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় অপরাধীদের ধরা। তারপরও আমরা পিছিয়ে নেই। শতাধিক সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।
আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’
মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।
আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’
মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
৩ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।
মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।
মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১ মিনিট আগে
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
৩ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১ মিনিট আগে
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে