নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের অশুভ পদক্ষেপের সবচেয়ে বড় শিকার বিচারব্যবস্থা বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাজা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের বিচারিক ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে এসব রায় বাতিলের দাবি জানান।
‘মিথ্যা ও সাজানো রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির মৃত ও গুম হওয়া নেতাসহ অন্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক উদ্দেশ্যমূলক রায় ও সাজা প্রদানের’ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ হলে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এখানে লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, ‘পুলিশ এতদিন গায়েবি মামলা করত। এখন দুঃখজনকভাবে নিম্ন আদালতের কিছু কিছু কোর্ট মনে হচ্ছে গায়েবি রায় দিচ্ছে।’
কায়সার কামাল বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে একের পর এক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের অশুভ পদক্ষেপের সবচেয়ে বড় শিকার বিচারব্যবস্থা। বিশেষ করে নিম্ন আদালতসমূহ। এই সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে বেছে বেছে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের একের পর এক আদালত কর্তৃক সাজা প্রদান করা হচ্ছে। এটি শুধু বিচারের নামে অবিচার বা প্রহসনই নয়, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনও বটে।
কায়সার কামাল আরও বলেন, ‘২০ নভেম্বর ঢাকার দুটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চারটি মামলায় ৪ বৎসর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা আবু তাহের দাইয়া, ১০ বছর আগে গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন এবং ৮ বছর আগে গুম হওয়া আমিনুল ইসলাম জাকির, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলীসহ ৫৪ নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২ মাসে ঢাকার আদালতে ২১ মামলায় বিএনপির ২৭১ জনক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর গত ১ বছরে ২৯ মামলায় ৩০৪ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এই মহাসচিব বলেন, ‘ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ করতে হয় সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা। অধিকাংশ মামলায় সাক্ষী হিসেবে শুধু পুলিশ সদস্যকে হাজির করিয়ে সাজা প্রদান করা হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক স্তরসমূহও অনুসরণ করা হয়নি। বিএনপি নেতাদের একের পর এক সাজা প্রদানের মাধ্যমে বিচারিক আদালতের প্রতি সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ আমরা বারংবার করে আসছিলাম, তা-ই প্রমাণ হলো।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বিচারের নামে বিরোধী দল নিধনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে এ রায়গুলো ইতিহাসে স্থান করে নিল। আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ এ রায়গুলো। আইনজীবী হিসেবে আমরা লজ্জাবোধ করছি। এ রায়গুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে যে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল তার সত্যতা প্রমাণিত হলো। যে স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য দীর্ঘদিন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছি, তারাই আজ এ অনির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের একের পর এক সাজা প্রদান করছেন। জাতির জন্য এ এক অশনিসংকেত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মানদণ্ডে আমাদের বিচারব্যবস্থার সূচক নিম্নগামী।’
এ সময় ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর সুব্রত চৌধুরীসহ কয়েক শ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
সরকারের অশুভ পদক্ষেপের সবচেয়ে বড় শিকার বিচারব্যবস্থা বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাজা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের বিচারিক ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে এসব রায় বাতিলের দাবি জানান।
‘মিথ্যা ও সাজানো রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির মৃত ও গুম হওয়া নেতাসহ অন্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক উদ্দেশ্যমূলক রায় ও সাজা প্রদানের’ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ হলে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এখানে লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, ‘পুলিশ এতদিন গায়েবি মামলা করত। এখন দুঃখজনকভাবে নিম্ন আদালতের কিছু কিছু কোর্ট মনে হচ্ছে গায়েবি রায় দিচ্ছে।’
কায়সার কামাল বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে একের পর এক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের অশুভ পদক্ষেপের সবচেয়ে বড় শিকার বিচারব্যবস্থা। বিশেষ করে নিম্ন আদালতসমূহ। এই সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে বেছে বেছে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের একের পর এক আদালত কর্তৃক সাজা প্রদান করা হচ্ছে। এটি শুধু বিচারের নামে অবিচার বা প্রহসনই নয়, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনও বটে।
কায়সার কামাল আরও বলেন, ‘২০ নভেম্বর ঢাকার দুটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চারটি মামলায় ৪ বৎসর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা আবু তাহের দাইয়া, ১০ বছর আগে গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন এবং ৮ বছর আগে গুম হওয়া আমিনুল ইসলাম জাকির, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলীসহ ৫৪ নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২ মাসে ঢাকার আদালতে ২১ মামলায় বিএনপির ২৭১ জনক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর গত ১ বছরে ২৯ মামলায় ৩০৪ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এই মহাসচিব বলেন, ‘ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ করতে হয় সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা। অধিকাংশ মামলায় সাক্ষী হিসেবে শুধু পুলিশ সদস্যকে হাজির করিয়ে সাজা প্রদান করা হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক স্তরসমূহও অনুসরণ করা হয়নি। বিএনপি নেতাদের একের পর এক সাজা প্রদানের মাধ্যমে বিচারিক আদালতের প্রতি সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ আমরা বারংবার করে আসছিলাম, তা-ই প্রমাণ হলো।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বিচারের নামে বিরোধী দল নিধনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে এ রায়গুলো ইতিহাসে স্থান করে নিল। আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ এ রায়গুলো। আইনজীবী হিসেবে আমরা লজ্জাবোধ করছি। এ রায়গুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে যে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল তার সত্যতা প্রমাণিত হলো। যে স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য দীর্ঘদিন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছি, তারাই আজ এ অনির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের একের পর এক সাজা প্রদান করছেন। জাতির জন্য এ এক অশনিসংকেত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মানদণ্ডে আমাদের বিচারব্যবস্থার সূচক নিম্নগামী।’
এ সময় ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর সুব্রত চৌধুরীসহ কয়েক শ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির তালিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। অভিযোগ ওঠেছে, এই কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে একজন মৃত ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মীর দাবি, ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করার কারণেই এমন কান্ড ঘটেছে।
১৫ মিনিট আগেলালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে দুই শিশুসহ ৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশ ইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হয়।
২৩ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ দোয়ারাবাজার উপজেলার মোকামছড়া এলাকায় চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাগড়া সীমান্তে পুশ ইন করার পর ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘাগড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৭৫৭ /২-এস এর কাছে হাড়িভাসা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী এবং ১ জন শিশু রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে