Ajker Patrika

২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৭: ২১
২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

ঢাকা: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড হচ্ছে। টানা দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ নেই। এ পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার ।  আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট চলাচল, ব্যাংকিং কার্যক্রম কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ আগের সব বিধিনিষেধের আরোপের সময়সীমা আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

এর আগে, করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিংমল, দোকানপাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

চলমান লকডাউনে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষ দরকারে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। এছাড়া জরুরি অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যেও আগের বিধিনিষেধগুলো কার্যকর থাকবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।

অর্থাৎ বিমান, সুমদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর এবং এসবের অফিস এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভুত থাকবে। সকল প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন কৃষি উপকরণ- সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, সরকারি-বেসরকারি টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এবং তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভুত থাকবে।

অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।

খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে।

কাঁচা বাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে। সুপ্রিম কোর্ট আদালতের জন্য নির্দেশনা জারি করবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমা ও তারাবি নামাজ পড়তে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত