নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ (বিশেষ দায়রা জজ আদালত) বিচারক আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা। খালাস পেয়েছেন ড. হাসান, তাঁর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন ও মিন্টু ওরফে মন্টু।
গত ২৫ জানুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। ডা. হাসান, তাঁর স্ত্রী ও মিন্টু জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানাসহ দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিক উদ্দিন।
বিচার চলাকালীন মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে সগিরার ভাশুরসহ চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এরপর একই বছরের ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সগিরা মোর্শেদের ভাশুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরার স্বামী সালাম চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনের কথা বললেও মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনও হয়েছিল।
এরপর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। পরে হাইকোর্ট ৬০ দিনের মধ্যে মামলার অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগসাজশে পারিবারিক কলহের জেরে ভাড়াটে খুনি দ্বারা খুনটি করান।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, একদিন সগিরার গৃহকর্মীকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ভাশুরের স্ত্রী শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তাঁর চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এই মামলায় ডা. হাসান, তার স্ত্রী, হাসানের শ্যালক ও ভাড়াটিয়া মারুফ তদন্ত চলাকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামি হাসান আলী চৌধুরী বলেছেন, তিনি ইস্কাটনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। আসামি মারুফ রেজা তার রোগী ছিলেন। তিনি শহরে মাস্তানি করতেন। সগিরা মোর্শেদকে শায়েস্তার জন্য তিনি তাঁকে ঠিক করেন। তাঁর সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। কিন্তু তিনি সগিরা মোর্শেদকে চিনতেন না। এ জন্য তার শ্যালক আনাস মাহমুদকে দায়িত্ব দেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দিতে। ঘটনার দিন, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই।
এর এক দিন আগে ২৪ জুলাই সগিরা মোর্শেদের মেজো বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসেন। এ জন্য সগিরা মোর্শেদ ও আব্দুস সালাম তাদের রাজারবাগের বাসায় অনুষ্ঠানে সগিরা মোর্শেদের ভাই ডা. নেওয়াজ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। নেওয়াজকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সগিরা মোর্শেদ পরদিন ২৫ জুলাই বড় মেয়েকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে নামিয়ে দিয়ে মেজ মেয়ে ও ছোট মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডি বাবার বাসায় যান।
সেখান থেকে বিকেল ৪টার দিকে সগিরা মোর্শেদ রাজারবাগে স্বামীর বাসায় ফিরে আসেন। সগিরা মোর্শেদের বড় মেয়ে সিদ্ধেশ্বরী ভিকারুননিসা স্কুলের ডে শিফটে (দুপুর) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তার স্কুল ছিল দুপুর সোয়া ১টা থেকে। তিনি বড় মেয়েকে রিকশায় আনা-নেওয়া করতেন। বিষয়টি হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী শাহীন ও শ্যালক আনাস মাহমুদ জানতেন। সেই অনুযায়ী হাসান আলী চৌধুরী দুপুর দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে আনাসকে মৌচাকে গিয়ে মারুফ রেজাকে যেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেন সে বিষয়ে অবহিত করেন।
সান আলী চৌধুরীর কাছ থেকে বিস্তারিত টেলিফোনে জেনে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে বাসে, পরে টেম্পোতে করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মৌচাকে পৌঁছান আনাস। সেখানে পৌঁছানোর প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর মারুফ রেজা মোটরসাইকেলে পৌঁছান।
মোটরসাইকেলে করে তাঁরা দুজনে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দিকে যান। তারা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গেটের একটু দূরে মোটরসাইকেলে বসে সগিরা মোর্শেদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
এরপর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বড় মেয়েকে স্কুল থেকে আনার জন্য বাসা থেকে বের হন সগিরা মোর্শেদ। চার টাকা ভাড়ায় ছালাম মোল্লা নামে এক চালকের রিকশা নিয়ে স্কুলের দিকে রওনা দেন। মালিবাগ মোড় পেট্রল পাম্পের সামনে দিয়ে মৌচাকের গলির ভেতরে দিয়ে রিকশাটি সিদ্ধেশ্বরীর মাঝামাঝি অতিক্রমকালে ওত পেতে থাকা আনাস মাহমুদ আঙুল দিয়ে সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেন। মারুফ রেজা তাৎক্ষণিকভাবে মোটরসাইকেলে কিছুক্ষণ রিকশা ফলো করেন। পরে রিকশার সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল দাঁড় করান। এ সময় তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে পড়েন। মারুফ রেজা সগিরা মোর্শেদের হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার টানা-হেঁচড়া করতে থাকেন।
এ সময় সগিরা মোর্শেদ সামান্য চিৎকার-চেঁচামেচি করেন এবং আনাস মাহমুদকে চিনে ফেলেন। বলেন, ‘তুমি তো রেজওয়ান, তোমাকে আমি চিনি। তুমি এখানে কেন?’ এই কথা বলার পরপরই মারুফ রেজা রিভলবার বের করে এক রাউন্ড গুলি করেন। প্রথম গুলিটি সগিরা মোর্শেদের ডান হাতের কনুইয়ের নিচে লাগে। এরপর মারুফ আরেক রাউন্ড গুলি করেন। দ্বিতীয় গুলি সগিরা মোর্শেদের বুক ভেদ করে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। বুকে গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে রিকশা থেকে পড়ে যান সগিরা মোর্শেদ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আনাস মাহমুদ বলেন, বুকে গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে রিকশার বাম দিকে হেলে পড়েন সগিরা মোর্শেদ। পুরো রিকশা রক্তাক্ত হয়ে যায়। সগিরা মোর্শেদকে দ্বিতীয় গুলি করার পর আনাস মাহমুদ মারুফ রেজাকে বলেন, চলো পালাই। এ সময় ভীতি ছড়ানোর জন্য মারুফ রেজা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এরপর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এ সময় সগিরা মোর্শেদকে বহনকারী রিকশাচালক ছালাম মোল্লা ইট হাতে হাইজ্যাকার, হাইজ্যাকার বলে ধাওয়া করতে থাকেন। শান্তিনগরের কাছে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে আনাস মাহমুদকে মারুফ রেজা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেন। রিকশাচালক ফিরে এসে দেখেন সগিরা মোর্শেদ নেই। রক্তাক্ত রিকশা পড়ে আছে। পরে তিনি বিষয়টি রমনা থানায় জানান।
মন্টুকে যেভাবে জড়ানো হয়েছিল:
এই মামলাটির তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত ১৯৯০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ছিনতাইকারী মিন্টু ওরফে মন্টুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সগিরা মোর্শেদকে খুনের ছক আসামিরা এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যে, কাজটা ছিনতাইকারীরা করেছে। পেছনে থেকে তারা তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে মিন্টু ওরফে মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করান।

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ (বিশেষ দায়রা জজ আদালত) বিচারক আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা। খালাস পেয়েছেন ড. হাসান, তাঁর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন ও মিন্টু ওরফে মন্টু।
গত ২৫ জানুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। ডা. হাসান, তাঁর স্ত্রী ও মিন্টু জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানাসহ দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিক উদ্দিন।
বিচার চলাকালীন মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে সগিরার ভাশুরসহ চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এরপর একই বছরের ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সগিরা মোর্শেদের ভাশুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরার স্বামী সালাম চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনের কথা বললেও মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনও হয়েছিল।
এরপর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। পরে হাইকোর্ট ৬০ দিনের মধ্যে মামলার অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগসাজশে পারিবারিক কলহের জেরে ভাড়াটে খুনি দ্বারা খুনটি করান।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, একদিন সগিরার গৃহকর্মীকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ভাশুরের স্ত্রী শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তাঁর চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এই মামলায় ডা. হাসান, তার স্ত্রী, হাসানের শ্যালক ও ভাড়াটিয়া মারুফ তদন্ত চলাকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামি হাসান আলী চৌধুরী বলেছেন, তিনি ইস্কাটনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। আসামি মারুফ রেজা তার রোগী ছিলেন। তিনি শহরে মাস্তানি করতেন। সগিরা মোর্শেদকে শায়েস্তার জন্য তিনি তাঁকে ঠিক করেন। তাঁর সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। কিন্তু তিনি সগিরা মোর্শেদকে চিনতেন না। এ জন্য তার শ্যালক আনাস মাহমুদকে দায়িত্ব দেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দিতে। ঘটনার দিন, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই।
এর এক দিন আগে ২৪ জুলাই সগিরা মোর্শেদের মেজো বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসেন। এ জন্য সগিরা মোর্শেদ ও আব্দুস সালাম তাদের রাজারবাগের বাসায় অনুষ্ঠানে সগিরা মোর্শেদের ভাই ডা. নেওয়াজ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। নেওয়াজকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সগিরা মোর্শেদ পরদিন ২৫ জুলাই বড় মেয়েকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে নামিয়ে দিয়ে মেজ মেয়ে ও ছোট মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডি বাবার বাসায় যান।
সেখান থেকে বিকেল ৪টার দিকে সগিরা মোর্শেদ রাজারবাগে স্বামীর বাসায় ফিরে আসেন। সগিরা মোর্শেদের বড় মেয়ে সিদ্ধেশ্বরী ভিকারুননিসা স্কুলের ডে শিফটে (দুপুর) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তার স্কুল ছিল দুপুর সোয়া ১টা থেকে। তিনি বড় মেয়েকে রিকশায় আনা-নেওয়া করতেন। বিষয়টি হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী শাহীন ও শ্যালক আনাস মাহমুদ জানতেন। সেই অনুযায়ী হাসান আলী চৌধুরী দুপুর দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে আনাসকে মৌচাকে গিয়ে মারুফ রেজাকে যেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেন সে বিষয়ে অবহিত করেন।
সান আলী চৌধুরীর কাছ থেকে বিস্তারিত টেলিফোনে জেনে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে বাসে, পরে টেম্পোতে করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মৌচাকে পৌঁছান আনাস। সেখানে পৌঁছানোর প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর মারুফ রেজা মোটরসাইকেলে পৌঁছান।
মোটরসাইকেলে করে তাঁরা দুজনে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দিকে যান। তারা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গেটের একটু দূরে মোটরসাইকেলে বসে সগিরা মোর্শেদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
এরপর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বড় মেয়েকে স্কুল থেকে আনার জন্য বাসা থেকে বের হন সগিরা মোর্শেদ। চার টাকা ভাড়ায় ছালাম মোল্লা নামে এক চালকের রিকশা নিয়ে স্কুলের দিকে রওনা দেন। মালিবাগ মোড় পেট্রল পাম্পের সামনে দিয়ে মৌচাকের গলির ভেতরে দিয়ে রিকশাটি সিদ্ধেশ্বরীর মাঝামাঝি অতিক্রমকালে ওত পেতে থাকা আনাস মাহমুদ আঙুল দিয়ে সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেন। মারুফ রেজা তাৎক্ষণিকভাবে মোটরসাইকেলে কিছুক্ষণ রিকশা ফলো করেন। পরে রিকশার সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল দাঁড় করান। এ সময় তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে পড়েন। মারুফ রেজা সগিরা মোর্শেদের হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার টানা-হেঁচড়া করতে থাকেন।
এ সময় সগিরা মোর্শেদ সামান্য চিৎকার-চেঁচামেচি করেন এবং আনাস মাহমুদকে চিনে ফেলেন। বলেন, ‘তুমি তো রেজওয়ান, তোমাকে আমি চিনি। তুমি এখানে কেন?’ এই কথা বলার পরপরই মারুফ রেজা রিভলবার বের করে এক রাউন্ড গুলি করেন। প্রথম গুলিটি সগিরা মোর্শেদের ডান হাতের কনুইয়ের নিচে লাগে। এরপর মারুফ আরেক রাউন্ড গুলি করেন। দ্বিতীয় গুলি সগিরা মোর্শেদের বুক ভেদ করে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। বুকে গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে রিকশা থেকে পড়ে যান সগিরা মোর্শেদ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আনাস মাহমুদ বলেন, বুকে গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে রিকশার বাম দিকে হেলে পড়েন সগিরা মোর্শেদ। পুরো রিকশা রক্তাক্ত হয়ে যায়। সগিরা মোর্শেদকে দ্বিতীয় গুলি করার পর আনাস মাহমুদ মারুফ রেজাকে বলেন, চলো পালাই। এ সময় ভীতি ছড়ানোর জন্য মারুফ রেজা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এরপর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এ সময় সগিরা মোর্শেদকে বহনকারী রিকশাচালক ছালাম মোল্লা ইট হাতে হাইজ্যাকার, হাইজ্যাকার বলে ধাওয়া করতে থাকেন। শান্তিনগরের কাছে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সামনে আনাস মাহমুদকে মারুফ রেজা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেন। রিকশাচালক ফিরে এসে দেখেন সগিরা মোর্শেদ নেই। রক্তাক্ত রিকশা পড়ে আছে। পরে তিনি বিষয়টি রমনা থানায় জানান।
মন্টুকে যেভাবে জড়ানো হয়েছিল:
এই মামলাটির তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত ১৯৯০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ছিনতাইকারী মিন্টু ওরফে মন্টুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সগিরা মোর্শেদকে খুনের ছক আসামিরা এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যে, কাজটা ছিনতাইকারীরা করেছে। পেছনে থেকে তারা তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে মিন্টু ওরফে মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করান।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ মিনিট আগে
চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
১২ মিনিট আগে
আসরের নামাজ শেষে মসজিদে বক্তৃতার সময় ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় শাজাহান আলী হান্নান নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগে
আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
১৮ মিনিট আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গোলাপী বেগম মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার রোডের বিশু মিয়ার মেয়ে ও পোষ্টকামুরী দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন দিন আগে গোলাপী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন থানার পাশে খালে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিআই তার দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাপী বেগম তিন দিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরনের কাপর দেখে তাঁর লাশ স্বামী কাদের মিয়া শনাক্ত করেছেন। এটি একটি হত্যা। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গোলাপী বেগম মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার রোডের বিশু মিয়ার মেয়ে ও পোষ্টকামুরী দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন দিন আগে গোলাপী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন থানার পাশে খালে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিআই তার দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাপী বেগম তিন দিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরনের কাপর দেখে তাঁর লাশ স্বামী কাদের মিয়া শনাক্ত করেছেন। এটি একটি হত্যা। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ (বিশেষ দায়রা জজ আদালত) বিচারক আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন...
১৩ মার্চ ২০২৪
চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
১২ মিনিট আগে
আসরের নামাজ শেষে মসজিদে বক্তৃতার সময় ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় শাজাহান আলী হান্নান নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগে
আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জলাভূমির দেশীয় মাছ ও জলজ প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর চায়না দুয়ারি জালের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। দেশীয় মাছের প্রজনন, বৃদ্ধি এবং জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এই জালসহ সব ক্ষতিকর মাছ ধরার বিদেশি সরঞ্জাম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ। তবু কিছু বাণিজ্যিক মৎস্যজীবী এই জাল ব্যবহার করে নদী, খালবিলের দেশীয় মাছ ধ্বংস করছেন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলে সম্প্রদায়কে জীবিকার সংকটে ফেলছেন। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এই জালের কারণে শুধু মাছ নয়, জলজ বাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য প্রাণী; যেমন ব্যাঙ, কচ্ছপ, পাখি ও জলজ উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়েছে। রাসায়নিক ও কীটনাশকের অতি ব্যবহার এবং চায়না দুয়ারি জালের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জলজ পরিবেশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, চায়না দুয়ারি বা কারেন্ট জাল বন্ধ না করলে দেশীয় মাছ এবং জলজ প্রাণবৈচিত্র্য পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গোকুল মথুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গ্রিন কোয়ালিশনের রাজশাহীর আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকী, বারসিকের রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, আদিবাসী যুব পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি উপেন রবিদাস, সমাজকর্মী সম্রাট রায়হান, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জলাভূমির দেশীয় মাছ ও জলজ প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর চায়না দুয়ারি জালের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। দেশীয় মাছের প্রজনন, বৃদ্ধি এবং জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এই জালসহ সব ক্ষতিকর মাছ ধরার বিদেশি সরঞ্জাম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ। তবু কিছু বাণিজ্যিক মৎস্যজীবী এই জাল ব্যবহার করে নদী, খালবিলের দেশীয় মাছ ধ্বংস করছেন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলে সম্প্রদায়কে জীবিকার সংকটে ফেলছেন। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এই জালের কারণে শুধু মাছ নয়, জলজ বাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য প্রাণী; যেমন ব্যাঙ, কচ্ছপ, পাখি ও জলজ উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়েছে। রাসায়নিক ও কীটনাশকের অতি ব্যবহার এবং চায়না দুয়ারি জালের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জলজ পরিবেশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, চায়না দুয়ারি বা কারেন্ট জাল বন্ধ না করলে দেশীয় মাছ এবং জলজ প্রাণবৈচিত্র্য পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গোকুল মথুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গ্রিন কোয়ালিশনের রাজশাহীর আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকী, বারসিকের রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, আদিবাসী যুব পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি উপেন রবিদাস, সমাজকর্মী সম্রাট রায়হান, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ (বিশেষ দায়রা জজ আদালত) বিচারক আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন...
১৩ মার্চ ২০২৪
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ মিনিট আগে
আসরের নামাজ শেষে মসজিদে বক্তৃতার সময় ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় শাজাহান আলী হান্নান নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগে
আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
১৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় আসরের নামাজ শেষে একটি মসজিদে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা। তখন রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় স্থানীয় বিএনপি নেতা শাজাহান আলী হান্নানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শাজাহান আলী হান্নান বটতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এ ছাড়া বরিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও তিনি।
৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টা। ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা বক্তব্য দিচ্ছেলেন। হঠাৎ শাজাহান আলী হান্নান দাঁড়িয়ে আমির হামজাকে কিছু বলার অনুমতি চান। এ সময় হান্নানকে বলতে শোনা যায়, ‘হুজুর ধর্মীয় আলোচনা যত পারেন করেন, কিন্তু রাজনৈতিক কোনো আলোচনা করবেন না।’
এরপর মসজিদে থাকা মুসল্লিরা উত্তেজিত হন। তাঁরা হান্নানের দিকে তেড়ে যান এবং ধাক্কা দিয়ে মসজিদ থেকে বাইরে বের করে দেন। এ সময় কয়েকজনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বরিয়া জামে মসজিদের সভাপতি ও বিএনপি নেতা শাজাহান আলী হান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মসজিদ কমিটির সভাপতি। মুফতি আমির হামজা মসজিদে আসবেন, সেটাও আমাকে কেউ জানায়নি। আসরের নামাজ শেষে আমির হামজা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সভাপতি হিসেবে আমি শুধু রাজনৈতিক আলোচনা বাদ দিয়ে ইসলামিক আলোচনা করতে বলেছিলাম। এতেই মসজিদের ভেতরে থাকা লোকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন। আমাকে ধাক্কা দেন।’
শাজাহান আলী হান্নান বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন ছাড়া মসজিদের ভেতর যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই অপরিচিত। জামায়াতে ইসলামীর লোকজন। যদিও এই ঘটনার পর আমির হামজা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি আমি জেলা বিএনপির সদস্যসচিবকে জানিয়েছি।’
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘হান্নান ভাই নিজেই ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি। তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ প্রতিহিংসামূলক। আর মসজিদে হবে ইসলামিক আলোচনা। সেখানে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে না।’
মুফতি আমির হামজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গণসংযোগে ছিলাম। ওই মসজিদে নামাজ পড়ার পর ইমাম সাহেব সালাম দিতে বললেন। এক থেকে দেড় মিনিটের মাথায় উনি (শাজাহান আলী হান্নান) সামনের থেকে উঠে বললেন রাজনৈতিক কোনো কথা বইলেন না।’
আমির হামজা আরও বলেন, ‘আমি তো শুরুই করিনি। তারপর সাত-আটজন তাঁকে নিষেধ করতে গেলে হট্টগোল বেধে যায়। পরে বিষয়টি আমি ঠিক করে দিয়ে চলে আসছি।’
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ারদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। মসজিদে রাজনৈতিক আলোচনা নিষেধ করতে বলা দোষের কিছু নয়। দু-একটা মসজিদের ঘটনা নিয়ে এখনই দল থেকে কোনো বিবৃতি নিয়ে ভাবছি না। তবে অবজারভেশন করছি।’
প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

কুষ্টিয়ায় আসরের নামাজ শেষে একটি মসজিদে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা। তখন রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় স্থানীয় বিএনপি নেতা শাজাহান আলী হান্নানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শাজাহান আলী হান্নান বটতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এ ছাড়া বরিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও তিনি।
৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টা। ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা বক্তব্য দিচ্ছেলেন। হঠাৎ শাজাহান আলী হান্নান দাঁড়িয়ে আমির হামজাকে কিছু বলার অনুমতি চান। এ সময় হান্নানকে বলতে শোনা যায়, ‘হুজুর ধর্মীয় আলোচনা যত পারেন করেন, কিন্তু রাজনৈতিক কোনো আলোচনা করবেন না।’
এরপর মসজিদে থাকা মুসল্লিরা উত্তেজিত হন। তাঁরা হান্নানের দিকে তেড়ে যান এবং ধাক্কা দিয়ে মসজিদ থেকে বাইরে বের করে দেন। এ সময় কয়েকজনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বরিয়া জামে মসজিদের সভাপতি ও বিএনপি নেতা শাজাহান আলী হান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মসজিদ কমিটির সভাপতি। মুফতি আমির হামজা মসজিদে আসবেন, সেটাও আমাকে কেউ জানায়নি। আসরের নামাজ শেষে আমির হামজা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সভাপতি হিসেবে আমি শুধু রাজনৈতিক আলোচনা বাদ দিয়ে ইসলামিক আলোচনা করতে বলেছিলাম। এতেই মসজিদের ভেতরে থাকা লোকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন। আমাকে ধাক্কা দেন।’
শাজাহান আলী হান্নান বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন ছাড়া মসজিদের ভেতর যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই অপরিচিত। জামায়াতে ইসলামীর লোকজন। যদিও এই ঘটনার পর আমির হামজা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি আমি জেলা বিএনপির সদস্যসচিবকে জানিয়েছি।’
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘হান্নান ভাই নিজেই ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি। তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ প্রতিহিংসামূলক। আর মসজিদে হবে ইসলামিক আলোচনা। সেখানে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে না।’
মুফতি আমির হামজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গণসংযোগে ছিলাম। ওই মসজিদে নামাজ পড়ার পর ইমাম সাহেব সালাম দিতে বললেন। এক থেকে দেড় মিনিটের মাথায় উনি (শাজাহান আলী হান্নান) সামনের থেকে উঠে বললেন রাজনৈতিক কোনো কথা বইলেন না।’
আমির হামজা আরও বলেন, ‘আমি তো শুরুই করিনি। তারপর সাত-আটজন তাঁকে নিষেধ করতে গেলে হট্টগোল বেধে যায়। পরে বিষয়টি আমি ঠিক করে দিয়ে চলে আসছি।’
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ারদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। মসজিদে রাজনৈতিক আলোচনা নিষেধ করতে বলা দোষের কিছু নয়। দু-একটা মসজিদের ঘটনা নিয়ে এখনই দল থেকে কোনো বিবৃতি নিয়ে ভাবছি না। তবে অবজারভেশন করছি।’
প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ (বিশেষ দায়রা জজ আদালত) বিচারক আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন...
১৩ মার্চ ২০২৪
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ মিনিট আগে
চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
১২ মিনিট আগে
আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদভর্তি একটি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি দল আজ বনলতা এক্সপ্রেসে অভিযান চালায়। তবে ট্রেনটি থেকে কয়টি অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হয়নি। তথ্য পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে রেলওয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ট্রলি ব্যাগে ৮টি পিস্তল, ১৪টি ম্যাগাজিন ও ২৬টি গুলি ছিল।
বনলতা এক্সপ্রেস আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি বিরতিহীন ট্রেন, যা শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করে।

রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদভর্তি একটি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি দল আজ বনলতা এক্সপ্রেসে অভিযান চালায়। তবে ট্রেনটি থেকে কয়টি অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হয়নি। তথ্য পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে রেলওয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ট্রলি ব্যাগে ৮টি পিস্তল, ১৪টি ম্যাগাজিন ও ২৬টি গুলি ছিল।
বনলতা এক্সপ্রেস আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি বিরতিহীন ট্রেন, যা শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করে।

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ (বিশেষ দায়রা জজ আদালত) বিচারক আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন...
১৩ মার্চ ২০২৪
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপী বেগম (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা-সংলগ্ন বারোখালী খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ মিনিট আগে
চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
১২ মিনিট আগে
আসরের নামাজ শেষে মসজিদে বক্তৃতার সময় ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় শাজাহান আলী হান্নান নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগে