Ajker Patrika

মোবাইল অ্যাপে ক্ষুদ্রঋণের নামে প্রতারণা, চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ২৩: ০১
Thumbnail image

রাজধানীর উত্তরায় মোবাইল অ্যাপে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসা এক চক্রের মূল হোতা মাহেরসহ ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিউ) সাইবার ক্রাইম উইং। আজ মঙ্গলবার উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে বিকেলে ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

বিষয়টি সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিশ্চিত করেছেন এটিউয়ের মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে র‍্যাপিড ক্যাশ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ঋণ দেওয়ার নামে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এই চক্রটির কাছ থেকে সাধারণ মানুষ ঋণ নেওয়ার জন্য অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর সমস্ত কন্টাক্ট নম্বর, গ্যালারির তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। দেশের যেকোনো মোবাইল সিমের নম্বরের মাধ্যমে অ্যাপটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হয়।

মোবাইল অ্যাপে ক্ষুদ্রঋণের নামে প্রতারণা চক্রের সদস্যদের এটিউয়ের গাড়িতে তোলা হচ্ছেরেজিস্ট্রেশন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র‍্যাপিড ক্যাশ ব্যবহারকারীকে ৫০০ বা এক হাজার টাকার একটি ক্ষুদ্র ঋণ দেয়। ওই দিন থেকে টাকার ওপর প্রায় ১০০ টাকা হারে  সুদ বাড়তে থাকে। ঋণ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই লোন পরিশোধ করতে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেয়। কোনো গ্রাহক যদি এই উচ্চ হারের সুদ প্রদানে অস্বীকৃতি প্রদান করে তবে র‍্যাপিড ক্যাশ তাকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় তথ্য ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে।

র‍্যাপিড ক্যাশ মোবাইল অ্যাপে ক্ষুদ্রঋণের নামে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা মাহেরভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে এসপি আসলাম জানান, কোনো গ্রাহক সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরও তাঁদের আবারও ঋণ নিতে বাধ্য করে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে অভিযান শুরু করে এটিউয়ের সাইবার ক্রাইম উইং। অভিযানে চক্রের মূল হোতা মাহেরসহ ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্য ১১ জন তরুণী ও ৮ জন তরুণ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা র‍্যাপিড ক্যাশ নামের অ্যাপ ব্যবহার করে লোন দেওয়া ও টাকা আদায়ে বিভিন্ন হুমকির কথা স্বীকার করেছে। 

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, এই গ্রুপের সদস্যরা একটি অ্যাপ বেশি দিন চালাত না। যখনই কোনো অ্যাপ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসতে পারে বলে সন্দেহ হয়, তখনই তারা অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়। আবারও নতুন নামে একই কাজের একটি অ্যাপ তৈরি করে। এভাবেই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত