Ajker Patrika

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৮: ১২
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 অতনু বর্মণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীব সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে জানান, উদয়ন স্কুলের সামনে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন মিলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যায়। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের পাদদেশ হয়ে বাইক নিয়ে আসার সময় আমার এক বন্ধু হাসিব আমাকে ডাক দেয়। আমি বাইকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ তার অনুসারীদের নিয়ে বাইক বহরে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় একটি সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে আমি বাইক থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাই। তখন উনারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমি প্রত্যুত্তরে বলি, ‘এই ভাই, খাঁড়ান!’ 

 ‘এ কথা বলার পরপরই হঠাৎ করে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের ওনার অনুসারী আনুমানিক ২০ জন আমার ওপর এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে গণহারে পিটুনি দেয়। আমার মাথা, কান, গলায়, হাত ও পায়ে, পিঠে তীব্রভাবে আঘাত করে। ‘আক্রমণের সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে বারবার বলার পর তারা মারা থামায়নি। বরং তারা আমাকে আক্রমণ আরও বেশি হারে চালিয়ে যায়।’ 

পরে তাঁর দুই বন্ধু এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বলেন জানান সজীব। একই সঙ্গে অফিশিয়ালি সব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। 

অভিযুক্ত অতনু বর্মণ বলেন, ‘উল্টোদিক থেকে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে সামন্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমার পরিচয় পাওয়ার পর ‘‘সরি’’ বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আর আমি একা ছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ ছিল না।’ 

হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হলে অতনু বর্মণ বলেন, ‘আমি চলে যাওয়ার পরে তার সঙ্গে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা আমি জানি না। তবে আমি তাকে কোনো  মারধর করিনি।’ 
 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে আইন পরিবর্তন করায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত