নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর রামপুরায় আবারও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে লেখা বিভিন্ন ধরনের পোস্টার প্রদর্শন করেন তাঁরা।
রামপুরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সমন্বয়কারী খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা এর আগে ১১ দফা দাবি দিয়েছিলাম, তার কোনটাই বাস্তবায়িত হয়নি। আজকে আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী মারা গেছে, সেটারও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, শুধু রামপুরাতেই কর্মসূচি না করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় থানায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করব। সে ক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার আবারও মধ্য বাড্ডা এলাকায় এ ধরনের কর্মসূচি পালন করব আমরা।’
এদিকে, বিক্ষোভে অবস্থান নেওয়া সরকারি বাংলা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তার পরও কোনোভাবেই সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমছে না, যার ফলে আমাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আজ আমরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন পোস্টার লিখে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আগের ১১ দফা দাবি:
১. সড়কে নির্মম কাঠামোগত হত্যার শিকার নাঈম ও মাঈনউদ্দিনের হত্যার বিচার করতে হবে। তাঁদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
২. সারা দেশে সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ পাসের জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৩. গণপরিবহনে ছাত্রছাত্রী ও নারীর অবাধ যাত্রা এবং সৌজন্যমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালককে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিআরটিএর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. সব রাস্তায় ট্রাফিক লাইট, জেব্রা ক্রসিং নিশ্চিত করাসহ জনবহুল রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. বাসগুলোর মধ্যে বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধে এক রুটে এক বাস এবং দৈনিক আয় সব পরিবহন মালিকের মধ্যে তাঁদের অংশ অনুয়ায়ী সমানভাবে বণ্টন করার নিয়ম চালু করতে হবে।
৭. শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তির ভিত্তিতে বাস দেওয়ার বদলে টিকিট ও কাউন্টারের ভিত্তিতে গোটা পরিবহনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. গাড়িচালকের কর্মঘণ্টা একনাগাড়ে ছয় ঘণ্টার বেশি হওয়া যাবে না। প্রতিটি বাসে দুজন চালক ও দুজন সহকারী রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। পরিবহনশ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১০. ট্রাক, ময়লার গাড়িসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দিতে হবে।
১১. মাদকাসক্তি নিরসনে গোটা সমাজে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-সহকারীদের জন্য নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজধানীর রামপুরায় আবারও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে লেখা বিভিন্ন ধরনের পোস্টার প্রদর্শন করেন তাঁরা।
রামপুরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সমন্বয়কারী খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা এর আগে ১১ দফা দাবি দিয়েছিলাম, তার কোনটাই বাস্তবায়িত হয়নি। আজকে আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী মারা গেছে, সেটারও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, শুধু রামপুরাতেই কর্মসূচি না করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় থানায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করব। সে ক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার আবারও মধ্য বাড্ডা এলাকায় এ ধরনের কর্মসূচি পালন করব আমরা।’
এদিকে, বিক্ষোভে অবস্থান নেওয়া সরকারি বাংলা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তার পরও কোনোভাবেই সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমছে না, যার ফলে আমাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আজ আমরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন পোস্টার লিখে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আগের ১১ দফা দাবি:
১. সড়কে নির্মম কাঠামোগত হত্যার শিকার নাঈম ও মাঈনউদ্দিনের হত্যার বিচার করতে হবে। তাঁদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
২. সারা দেশে সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ পাসের জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৩. গণপরিবহনে ছাত্রছাত্রী ও নারীর অবাধ যাত্রা এবং সৌজন্যমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালককে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিআরটিএর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. সব রাস্তায় ট্রাফিক লাইট, জেব্রা ক্রসিং নিশ্চিত করাসহ জনবহুল রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. বাসগুলোর মধ্যে বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধে এক রুটে এক বাস এবং দৈনিক আয় সব পরিবহন মালিকের মধ্যে তাঁদের অংশ অনুয়ায়ী সমানভাবে বণ্টন করার নিয়ম চালু করতে হবে।
৭. শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তির ভিত্তিতে বাস দেওয়ার বদলে টিকিট ও কাউন্টারের ভিত্তিতে গোটা পরিবহনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. গাড়িচালকের কর্মঘণ্টা একনাগাড়ে ছয় ঘণ্টার বেশি হওয়া যাবে না। প্রতিটি বাসে দুজন চালক ও দুজন সহকারী রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। পরিবহনশ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১০. ট্রাক, ময়লার গাড়িসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দিতে হবে।
১১. মাদকাসক্তি নিরসনে গোটা সমাজে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-সহকারীদের জন্য নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
ভোলার লালমোহনে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
২৩ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত ইউএস–বাংলা মেডিকেল কলেজের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
২৫ মিনিট আগেনেছারাবাদে আরামকাঠি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমাত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার তাঁর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সমিতির ম্যানেজার-মাঠকর্মীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশের হাতে
৩২ মিনিট আগেচিরকুটে লেখা ছিল, ‘বিয়ের পর আমার বাবা-মা, স্বামীর পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। আমাদের দুজনের মরদেহ ঢাকাতে কোনো সরকারি কবরস্থানে দাফন দিয়েন। আমার এবং আমার স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার দরকার নাই।’
৩৭ মিনিট আগে