গাজীপুরের শ্রীপুরে আবু ছাঈদ নামে এক পোশাকশ্রমিককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নরসুন্দরের বিরুদ্ধে। হত্যার পর রক্তাক্ত মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় খুনি। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মাওনা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকার মেঘনা গেট সংলগ্ন জেন্টস পার্লার নামের সেলুনে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাত দুইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন।
নিহত পোশাক শ্রমিক আবু ছাঈদ (২৩) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
অভিযুক্ত নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া (২৬) সিলেটের সদর উপজেলার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার একটি দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেন্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতেন। খলিল মিয়া স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল হক বলেন, ‘আমরা কয়েকজন রাস্তার পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ পাশের দোতলা সেলুন থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর দেখি নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া রক্তাক্ত জামাকাপড় পড়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে ডাক দিই। কিন্তু সে থামেনি। এরপর হাঁটার গতি আরও বাড়িয়ে দিলে আমরা দৌড়ে তার কাছাকাছি গেলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ফেরদৌস বলেন, ‘মাত্র ১০ দিন হলো আমার ভাতিজা আবু হানিফের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে সেলুন শুরু করে খলিল। রাতে হঠাৎ করে আশপাশের মানুষ চিৎকার শুরু করে খুন হয়েছে। এরপর দোতলায় সেলুনে গিয়ে পুরো রুমে রক্তে ভেসে গেছে। ঘরের ভেতর অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে বোঝা যায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন দিয়েছি।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলা হতে নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারালো ছুরি দিয়ে গলার বেশির ভাগ অংশ কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঘরের ভেতর সবকিছু এলোমেলো ধারণা করা হচ্ছে অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে। খুনি নরসুন্দর ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। পুরো ঘর রক্তে ভেসে গেছে। ঘটনাস্থল হতে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা খুনিকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গাজীপুরের শ্রীপুরে আবু ছাঈদ নামে এক পোশাকশ্রমিককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নরসুন্দরের বিরুদ্ধে। হত্যার পর রক্তাক্ত মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় খুনি। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মাওনা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকার মেঘনা গেট সংলগ্ন জেন্টস পার্লার নামের সেলুনে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাত দুইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন।
নিহত পোশাক শ্রমিক আবু ছাঈদ (২৩) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
অভিযুক্ত নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া (২৬) সিলেটের সদর উপজেলার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার একটি দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেন্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতেন। খলিল মিয়া স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল হক বলেন, ‘আমরা কয়েকজন রাস্তার পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ পাশের দোতলা সেলুন থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর দেখি নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া রক্তাক্ত জামাকাপড় পড়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে ডাক দিই। কিন্তু সে থামেনি। এরপর হাঁটার গতি আরও বাড়িয়ে দিলে আমরা দৌড়ে তার কাছাকাছি গেলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ফেরদৌস বলেন, ‘মাত্র ১০ দিন হলো আমার ভাতিজা আবু হানিফের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে সেলুন শুরু করে খলিল। রাতে হঠাৎ করে আশপাশের মানুষ চিৎকার শুরু করে খুন হয়েছে। এরপর দোতলায় সেলুনে গিয়ে পুরো রুমে রক্তে ভেসে গেছে। ঘরের ভেতর অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে বোঝা যায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন দিয়েছি।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলা হতে নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারালো ছুরি দিয়ে গলার বেশির ভাগ অংশ কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঘরের ভেতর সবকিছু এলোমেলো ধারণা করা হচ্ছে অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে। খুনি নরসুন্দর ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। পুরো ঘর রক্তে ভেসে গেছে। ঘটনাস্থল হতে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা খুনিকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ)।
৯ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনীতে আট বছরের এক শিশুকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডল (৪৪) নামের এক ভ্যানচালককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। রোববার সকালে গাংনী শহরের একটি স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ভ্যানচালক আব্দুল খালেক মণ্ডল উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের চেতন মণ্ডলের ছেলে।
১২ মিনিট আগেপথসভায় এলাকা জ্বালিয়ে দেওয়ার বক্তব্যের জেরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক গোলাম রসুল রাজাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এলাকার নিরাপত্তা চেয়ে দরখাস্ত দেন তাঁরা।
১৫ মিনিট আগেআদালতের আদেশ অমান্য করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও দুই সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ১ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে