Ajker Patrika

হাজি সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৭: ৪৭
হাজি সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার রায়ের অনুলিপি হাইকোর্ট থেকে পাঠানো হয়। 

দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমরা অনুলিপি পেয়েছি। এখন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে (হাজি সেলিম) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর সাজা উচ্চ আদালতে বহাল থাকায় হাজি সেলিম সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’ 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০০৮ সালে হাজি সেলিমকে দুদক আইনের দুটি ধারায় মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। ২০০৯ সালে হাজি সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালে ওই সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালে মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় দুদক। শুনানিতে হাজি সেলিমের মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। ওই নথি পাওয়ার পর গত বছরের ৩১ জানুয়ারি শুরু হয় পুনঃশুনানি। এরপর গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আংশিক আপিল মঞ্জুর করে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তাঁকে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তাঁর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করব, সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত হবে। তার আগেই সংসদ সদস্য পদ চলে যাবে—এমনটি বলার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাফরুল থানার সামনে ককটেল ছুড়ে পালানোর সময় যুবক আটক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কাফরুল থানা। ছবি: সংগৃহীত
কাফরুল থানা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে কাফরুল থানার সামনে দুটি ককটেল ছুড়ে পালানোর সময় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে আটক যুবকের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, ওই যুবক কাফরুল থানার সামনে দ্রুতগতিতে এসে দুটি ককটেল ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হয়নি। ঘটনার সময় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) এলপি গেটের সামনে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি লক্ষ্য করে তৎপর হয়ে ওঠেন। আশপাশে থাকা স্থানীয়রাও সহযোগিতা করে ওই যুবককে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। পরে তাকে কাফরুল থানায় সোপর্দ করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাফরুল থানার সামনে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তবে তা বিস্ফোরিত হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে কোনো সহিংস কার্যক্রমে জড়িত চক্রের সদস্য হতে পারে। ককটেল দুটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলো পরীক্ষার জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামে জনজীবন স্বাভাবিক, নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩৩

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নি‌ষিদ্ধ আওয়ামী লী‌গের অনলাইনে ডাকা কর্মসূ‌চির কারণে কু‌ড়িগ্রা‌মে জনজীবনে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। সবকিছু স্বাভা‌বিকভাবে চলছে। আজ বৃহস্প‌তিবার (১৩ ন‌ভেম্বর) সকাল থে‌কে বি‌ভিন্ন রু‌টে মালবাহী ও গণপ‌রিবহন চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে। এ ছাড়া সরকা‌রি প্রতিষ্ঠানসহ বি‌ভিন্ন দপ্তরে দি‌নের স্বাভা‌বিক কার্যক্রম চলমান র‌য়ে‌ছে। তবে নাশকতা চেষ্টার অভি‌যো‌গে দুই দি‌নে কু‌ড়িগ্রা‌মে আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতা-কর্মী‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

জেলা শহরসহ উপ‌জেলা শহ‌রে সরকা‌রি, বেসরকা‌রি ও শ্বায়ত্তশা‌সিত প্রতিষ্ঠানগু‌লো‌তে স্বাভা‌বিক কার্যক্রম চলমান র‌য়ে‌ছে। ‌শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগু‌লো‌তে পাঠদান চল‌ছে। এ ছাড়া ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠা, বাজার ও দোকানপা‌টে বেচাকেনা ও লেন‌দেন স্বাভা‌বিক র‌য়ে‌ছে। আজ বেলা সা‌ড়ে ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রী‌তিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়‌নি।

জেলা মোটর মা‌লিক স‌মি‌তির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ক‌বির ব‌লেন, জেলার সব রু‌টে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক র‌য়ে‌ছে। প‌রিবহন সেক্টরসহ কোনো পর্যা‌য়ে কার্যক্রম নি‌ষিদ্ধ দল আওয়ামী ল‌ী‌গ ঘো‌ষিত কর্মসূ‌চির কোনো প্রভাব প‌ড়ে‌নি।

জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম বলেন, তথাকথিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃ‌ষ্টির চেষ্টার অভিযো‌গে কুড়িগ্রাম জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনসহ গত দুই দি‌নে ৩৩ জন‌কে গ্রেপ্তার করে আদাল‌তে সোপর্দ করা হ‌য়ে‌ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরকে বাসা থেকে নিয়ে নির্যাতনের পর ফেলে যায় রাস্তায়, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার কিশোর বাপ্পি (১৫) মারা গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তার মারধর করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

বাপ্পি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা পারুল বেগম একটি কারখানায় কাজ করেন। বাপ্পিও মায়ের সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করত। সে ধোলাইপাড় এলাকার প্রেমগলিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত।

বাপ্পির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার আনুমানিক দিবাগত রাত ২টার দিকে একই এলাকার কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ এবং শাকিব তাঁদের বাসায় আসে। তারা অভিযোগ করে, বাপ্পি মীরহাজীরবাগের একটি বাসা থেকে জানালা দিয়ে টাকা ও বিদ্যুতের প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে। এরপর তাকে জোর করে ধরে নিয়ে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসার নিচতলার ‘ক্লাব ঘরে’ আটকে রাখা হয়।

পারভেজ আরও বলেন, সেখানে বাপ্পিকে রাতভর পেটানো হয়। বুধবার সকাল ৬টার দিকে চুরির টাকা ও মালামাল বের করে দেওয়ার কথা বলে বাপ্পিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কিছু না পেয়ে তারা আবার বাপ্পিকে নিয়ে যায়। বাপ্পিকে ছাড়াতে তার মা পিছু পিছু গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সারা দিন নির্যাতনের পর বাপ্পি যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মীরহাজীরবাগের বড়বাড়ি প্রথম গেটের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই বাপ্পি মারা যায়।

ঢামেক মর্গে বাপ্পির বাবা মো. শাহজাহান আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করেও থাকে, তাহলে মারধর করার পর পুলিশের কাছে তুলে দিত। এইভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলল কেন? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, চোর সন্দেহে বাপ্পি নামে ওই কিশোরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসআই জুয়েল নিশ্চিত করেন, বাপ্পির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে যার বাসায় চুরির সন্দেহে বাপ্পিকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রীতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫-৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় প্রধান শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ (ভারপ্রাপ্ত) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ।

গ্রেপ্তার করা প্রধান শিক্ষক হলেন মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দোলন। তিনি সীচা উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মরত। তিনি চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সীচা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার আরেকজন হলেন হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫৫)। তিনি হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে এই অভিযান অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত