নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রশাসনের নানামুখী প্রচেষ্টাতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকা। আজ শনিবার শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১৩টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগ থেকে আরও ৩৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে আশুলিয়ার জামগড়ায় শ্রমিক-জনতার সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
তারা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানান। এর আগে বিজিএমইএতে শ্রমিক, মালিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ সভায় শ্রমিকদের যৌক্তিক সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
জানা যায়, ক্রমাগত শ্রমিক অসন্তোষের মুখে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের ৮৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় এসব কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিনই কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকেরা।
এমন পরিস্থিতিতে পুরো শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে সেনাবাহিনী, এপিবিএন পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়। অনেক কারখানার সামনেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ায় ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৭টি কারখানা আজ (শনিবার) খুলেছে। এ ছাড়া যেসব কারখানা চালু ছিল সেসব কারখানাও যথারীতি খোলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও ১৩টি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করে বসে থাকেন।
পরে কর্তৃপক্ষ আজকের (শনিবার) জন্য কারখানাগুলো ছুটির ঘোষণা দেন। ছুটি ঘোষণার পর শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে যে যার মতে বাসায় চলে যান। কোন ভাঙচুর বা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেননি তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারখানা মালিক বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী পোশাক কারখানার শ্রমিকদের যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তার পুরোটাই তারা পাচ্ছেন। তবে কিছু কারখানায় হয়তো বা শ্রম আইন মানা হচ্ছে না। আবার শ্রমিকরাও আইনের বাইরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করছেন। মূলত এসব কারণেই প্রতিদিন কোনো কোনো কারখানায় সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি, মালিকপক্ষ উদ্যোগী হলে এই সমস্যা দূর করা বড় কোন বিষয় নয়।’
গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সহস্রাধিক পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে মুষ্টিমেয় কিছু কারখানায় সমস্যা হচ্ছে। যা পাঁচ থেকে ছয় শতাংশের বেশি নয়। জেনারেল সমস্যা থাকলে সব কারখানাতে তা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তাতো হচ্ছে না। তাই আমি মনে করি, যেসব কারখানায় সমস্যা হচ্ছে ওই সব কারখানায় মালিক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের দূরত্ব আছে। যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে সাভার–আশুলিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা ৮৬টি কারখানার মধ্যে আজ ৪৭টি খুলেছে। ১৩টি কারখানা আজ ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাকি সব কারখানা চালু ছিল।’
প্রশাসনের নানামুখী প্রচেষ্টাতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকা। আজ শনিবার শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১৩টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগ থেকে আরও ৩৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে আশুলিয়ার জামগড়ায় শ্রমিক-জনতার সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
তারা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানান। এর আগে বিজিএমইএতে শ্রমিক, মালিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ সভায় শ্রমিকদের যৌক্তিক সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
জানা যায়, ক্রমাগত শ্রমিক অসন্তোষের মুখে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের ৮৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় এসব কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিনই কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকেরা।
এমন পরিস্থিতিতে পুরো শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে সেনাবাহিনী, এপিবিএন পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়। অনেক কারখানার সামনেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ায় ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৭টি কারখানা আজ (শনিবার) খুলেছে। এ ছাড়া যেসব কারখানা চালু ছিল সেসব কারখানাও যথারীতি খোলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও ১৩টি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করে বসে থাকেন।
পরে কর্তৃপক্ষ আজকের (শনিবার) জন্য কারখানাগুলো ছুটির ঘোষণা দেন। ছুটি ঘোষণার পর শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে যে যার মতে বাসায় চলে যান। কোন ভাঙচুর বা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেননি তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারখানা মালিক বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী পোশাক কারখানার শ্রমিকদের যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তার পুরোটাই তারা পাচ্ছেন। তবে কিছু কারখানায় হয়তো বা শ্রম আইন মানা হচ্ছে না। আবার শ্রমিকরাও আইনের বাইরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করছেন। মূলত এসব কারণেই প্রতিদিন কোনো কোনো কারখানায় সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি, মালিকপক্ষ উদ্যোগী হলে এই সমস্যা দূর করা বড় কোন বিষয় নয়।’
গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সহস্রাধিক পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে মুষ্টিমেয় কিছু কারখানায় সমস্যা হচ্ছে। যা পাঁচ থেকে ছয় শতাংশের বেশি নয়। জেনারেল সমস্যা থাকলে সব কারখানাতে তা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তাতো হচ্ছে না। তাই আমি মনে করি, যেসব কারখানায় সমস্যা হচ্ছে ওই সব কারখানায় মালিক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের দূরত্ব আছে। যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে সাভার–আশুলিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা ৮৬টি কারখানার মধ্যে আজ ৪৭টি খুলেছে। ১৩টি কারখানা আজ ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাকি সব কারখানা চালু ছিল।’
দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
১৮ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার বারহাট্টায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইকে শেষ দেখা দেখলেন বাউসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আননান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা কারাগার থেকে পুলিশ আননানকে মৌয়াটি গ্রামে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায়
২ ঘণ্টা আগে