Ajker Patrika

শেষ হলো তাজিয়া মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৪৭
শেষ হলো তাজিয়া মিছিল

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে তাজিয়া মিছিল। দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর জিগাতলায় ধানমন্ডির লেকপাড়ে মাতম, নামাজ আদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় তাজিয়া মিছিলটি। মিছিল শেষে সেখানে তবারক হিসেবে খিচুড়ি ও মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়েছে। 

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার শিয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাত হোসানি দালানের ইমামবাড়া থেকে শুরু হয় তাজিয়া মিছিলটি। মিছিলটি চকবাজার, লালবাগ, উর্দুরোড, আজিমপুর, নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হয়। 

করোনার প্রভাবে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর তাজিয়া মিছিল হওয়াও শিয়া মতাদর্শীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ স্লোগান আর বিষাদময় কাহিনি অবলম্বনে জারিগানের করুণ সুরে আহাজারিতে প্রকম্পিত হয় পুরো রাজপথ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কালো-লাল-সবুজের নিশান উড়িয়ে কারবালার শোকের মাতম তুলে খালি পায়ে মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। তাজিয়া মিছিলে শোকের প্রতীক হিসেবে খালি পায়ে পুরুষেরা কালো পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং নারীরা কালো কাপড় বা বোরকা পরে মিছিল করেছেন। বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে, চিৎকার করে মিছিল যাওয়ার সময় পথের দুই পাশে ছিল উৎসুক জনতা ভিড়। মানুষ ছাদে দাঁড়িয়ে, জানালা দিয়ে বাড়ির বারান্দা ও করিডরে দাঁড়িয়ে মিছিল উপভোগ করে। পুরো মিছিল ঘিরে ছিল পুলিশ, র‍্যাবসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল। 

মিছিলের প্রথম অংশে দুটি কালো গম্বুজ বহন করা হয়েছে বিবি ফাতেমাকে স্মরণ করে। মিছিলে কালো কাপড় দিয়ে প্রতীকী হোসেন (রা.) এর মরদেহ বহন করা হয়েছে। 

মিছিলে অংশ নেওয়া নাদিম খান নামের এক যুবক বলেন বলেন, শত শত বছর ধরে ইমাম হোসাইন (রা.) শহীদ হওয়ার দিনটিতে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল মূলত শোক মিছিল। তার মৃত্যুতে শোক জানাতেই প্রতিবছর তাজিয়া মিছিলে অংশ নেই। 

প্রসঙ্গত, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হয়। দিনব্যাপী এই কর্মসূচির মধ্যে আছে তাজিয়া মিছিল, বিশেষ মোনাজাত, কোরআনখানি, দোয়া ও মাহফিল। অনেকে দিবসটি উপলক্ষে নফল রোজাও রাখছেন। দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণও করে থাকে অনেক পরিবার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত