Ajker Patrika

গরমে ঢাকার হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৪২
গরমে ঢাকার হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। আজ রোববার রাজধানীর দুটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, গরমের কারণে অসুস্থ হয়েছে—এমন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তুলনামূলক বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা। রোগীর চাপ বাড়ায় সবাইকে ভর্তি রাখাও কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। 

ঢাকার আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে ভর্তি করিয়েছেন শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে। ফাতেমা বলেন, গরমের কারণে তাঁর মেয়ের শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। 

ফরিদপুরের সুমি বেগমের সন্তান সাফওয়ান শেখ (৯ মাস) শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি রয়েছে। সুমি বলেন, কয়েক দিন ধরে বাচ্চার জ্বর ছিল। গরম বাড়ার সঙ্গে শ্বাস কষ্টও বেড়েছে। ফুসফুস নাকি পুরো ব্লক হয়ে গেছে। অক্সিজেন খুললেই আধা ঘণ্টার মধ্যেই শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। 

শিশু হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, সাধারণত প্রতিদিন বহির্বিভাগে এক হাজারের মতো রোগী চিকিৎসাসেবা নিলেও দুই-তিন দিন ধরে রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ হয়ে যাচ্ছে। 

শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ সময় নিউমোনিয়া রোগী ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আউটডোরে পাচ্ছি, কিন্তু ভর্তি করানো লাগছে না। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ৮৫ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি আছে। কিন্তু ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে মাত্র ছয়জন। তিনি বলেন, ‘গরমের রোগীর চাপ বেড়েছে। বেড সংকটের কারণে আমরা সব রোগী ভর্তি করতে পারি না। গত দুই দিন আগে থেকে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ রোগী সেবা নিচ্ছে। গতকালও আমাদের হাসপাতালে ১২৬ রোগী ভর্তি হয়েছে।’ 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করছে। অনেক রোগীর হাতে প্লাস্টিকের হাতপাখা দেখা গেছে। খালি গায়ে শুয়ে ছিল কেউ কেউ। তবে গরমে অসুস্থ হয়েছে—এমন রোগীর ভিড় বেশি দেখা গেছে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। আনসার সদস্যের বাধার কারণে রোগীদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

মেডিসিন বিভাগের বহির্বিভাগে কর্মরত ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিউমোনিয়া, জ্বর ও কাশিতে ভুগছে—এমন রোগীও অনেক। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন বহির্বিভাগে দ্বিগুণ রোগীর চাপ রয়েছে। 

তবে গরমের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগী বাড়েনি বলে জানিয়েছেন শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত আরা শামসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে রোগী বেড়েছে এমন কোনো বিষয় নেই। সাধারণত শিশু বিভাগের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী আসে। এর মধ্যে ৫০-৬০ জন রোগী ভর্তি হয়। গরমের কারণে এখনো বাড়তি রোগীর চাপ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন চাননি সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করল শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি

ছাত্র-জনতার মিছিলের মুখে পড়েন এক মন্ত্রী

কক্সবাজারে পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকের খবর, ‘গুজব’ বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত