Ajker Patrika

ঝাঁপ বন্ধ দোকান খোলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২১, ১৬: ০৩
ঝাঁপ বন্ধ দোকান খোলা

দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও পুরান ঢাকায় কেউই সেই নির্দেশের তোয়াক্কা করছে না। বিধি ভঙ্গ করে অনেককেই দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। 

পুরান ঢাকার ধোলাইখালের প্রধান সড়কের আশপাশের মেশিনারিজ দোকানগুলো দূর থেকে বন্ধ মনে হলেও কাছে গেলেই প্রশ্ন আসে, `ভাই, কিছু কি লাগবে?' দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হলেও অপরিচিত মুখ দেখলেই ক্রেতা ভেবে এসব জিজ্ঞাসা করেন দোকানিরা। এ সময় দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দোকানের সামনেই বসে থাকেন।

অনেক সময় পূর্বপরিচিত ক্রেতারা এলে আশপাশের পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের অবস্থান দেখে দোকান থেকে মালামাল ডেলিভারি দিয়ে মুহূর্তেই দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশের উপস্থিতি থাকলে ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। 

এ এলাকায় মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন মোহাম্মদ হৃদয়। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, `এই দোকানের মাসিক ভাড়া ১২ হাজার টেকা। লকডাউনে দোকান বন্ধ রাখলে এই ভাড়া কেঠা জোগাড় করব? পুলিশ তেমনভাবে ডিস্ট্রাব না করলেও মাজিস্ট্রেট আসলেই কিছুই না শুনে জরিমানা করে দেয়। তাই আশপাশে তাকাইয়া সতর্ক হইয়া বিক্রি করা লাগে। এ ছাড়া আর উপায় নাই।'

এ হলো মেইন রাস্তার পাশের দোকানগুলোর চিত্র। তবে অলিগলির সব দোকানই খোলা। পুরান ঢাকার দক্ষিণ মোহন্দীর লালমোহন স্ট্রিটের অলিগলির দোকানগুলোকে দেখলে কারোরই মনে হবে না দেশে লকডাউন চলছে। হোটেল, চা, সেলুনসহ সব ধরনের দোকানপাটই খোলা। মানুষকে নির্বিঘ্নে চায়ের দোকানসহ অন্যান্য দোকানের সামনে জটলা পাকিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। প্রধান সড়কে মাঝেমধ্যে পুলিশের টহল থাকলেও অলিগলিতে পুলিশ আসে না বললেই চলে। এই সুযোগে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি মেইন রাস্তার ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোও অলিগলিতে ভিড় করেছে।

লালমোহন স্ট্রিটের আল-মাদিনা হোটেলের মালিক মিলন বলেন, `বৃষ্টি আসলে এইদিকে পুলিশ তেমন আসে না। এইটা একদিকে সুবিধা হলেও আবার বৃষ্টির দিনে কাস্টমাররা কম আসে। পুলিশ প্রথম দিকে ঝামেলা করলেও এখন আসে না, তাই ঝামেলাও কম।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত