Ajker Patrika

ষড়যন্ত্র এখনো চলছে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ষড়যন্ত্র এখনো চলছে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্ত নিশ্চিহ্ন করে দিতে বিএনপি ও জামাত-শিবির এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকবারই কোন না কোনভাবে জিয়া পরিবার জড়িত ছিল। 

রোববার সকালে বাসাবোর ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা জেলা ইউনিট কমান্ডের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যেকবারই জিয়া পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত ছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় হাওয়া ভবনে মিটিং হয়েছে। মূল হোতা ছিল তারেক জিয়া। তাঁর বাবা খুন করেছে বঙ্গবন্ধুকে আর সে হত্যা করতে চায় শেখ হাসিনাকে। তাঁদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।' 

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কোন ব্যক্তি বা পরিবারের হত্যাকাণ্ড নয় বরং একটি আদর্শকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'ব্যক্তি শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে, দর্শনকে হত্যা করা যায়নি। খুনিদের আশা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাত-ভোট, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।' 

সকল অপরাধ ও অপরাধীদের বিচার করতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, 'সব অপরাধীদের বিচার হতে হবে ৷ আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু মদদ দাতাদের বিচার হয়নি। মরণোত্তর হলেও অপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত।' 

এ সময় তিনি সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহীত বিশেষ প্রকল্পসমূহ এবং সংগঠন পরিচালনার দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহীত উদ্যোগ ও প্রকল্পসমূহ সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প, মুজিবনগর সিটি প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ প্রকল্প, বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প বীর নিবাস, আশুগঞ্জে মিত্র বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভ, অপারেশন জ্যাকপট, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, প্রত্যেক বিভাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিনার তৈরির কাজগুলোর প্রক্রিয়া চলমান আছে। 

সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, এ বি এম সুলতান আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমনখেতে ইঁদুরের উপদ্রব, দুশ্চিন্তায় কৃষক

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
ধানখেতে ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানখেতে ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিনিয়ত ধানগাছ কেটে নষ্ট করে ফেলছে ইঁদুর। ইঁদুরনিধনে ফাঁদ পাতলেও তাতে সমস্যা কমছে না। ইঁদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৯০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে খেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে তাতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন।

সাহেবগঞ্জ গ্রামের চাষি নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন ধানের শীষ বের হচ্ছে। এই অবস্থায় খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ওষুধ ছিটিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। এখন তিনি খেতের মধ্যে পলিথিন বেঁধে দিয়েছেন। বাতাসে পলিথিন উড়লে শব্দ হয়। আর সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নুরুল আমিন, মনা মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, ধানখেতে ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়েছেন, তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। খেতের ধানগাছ ইঁদুর কেটে ফেলছে। স্প্রে করে ও ওষুধ দিয়ে উপকার মিলছে না। ইঁদুরের উপদ্রব কমছে না। কেউ কেউ খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন। তবুও ইঁদুরের উৎপাত কমছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, ইঁদুরনিধনে বিষ, টোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করলে ইঁদুর নিধন করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নভেম্বর থেকে আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার আজ সোমবার রাজশাহী সার্কিট হাউসে বিভাগের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার আজ সোমবার রাজশাহী সার্কিট হাউসে বিভাগের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী মধ্য নভেম্বর থেকে সরকারের খাদ্যগুদামের জন্য আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেছেন, দেশের খাদ্যভান্ডার রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চল। চলতি মৌসুমেও আমনের ফলন ভালো হবে। চাল সংগ্রহে এবার মানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আজ সোমবার রাজশাহী সার্কিট হাউসে বিভাগের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং আসন্ন মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে খাদ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদন খরচ ও লাভ বিবেচনা করে আমন ক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। কৃষকদের স্বার্থে সরকার কৃষিতে নিয়মিত ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এই আমন সংগ্রহ অভিযান কীভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সুবিধা-অসুবিধা চিহ্নিত করা হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, সরকার খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় থাকবে।

সরকারের খাদ্য মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে। এ সময় পর্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুত অতীতের তুলনায় বেশি থাকবে। কিছু চাল আমদানি করতে হতে পারে। তবে আগের বছরের তুলনায় তা অনেক কম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টন চাল আমদানি করা লাগবে।’

এর আগে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদসহ বিভাগের আট জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকেরা অংশ নেন। সভায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, তা বাস্তবায়ন এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীদের কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীদের কর্মবিরতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীদের কর্মবিরতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অস্থায়ী কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। আজ সোমবার সকাল থেকে দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের (গ্রেড ১১-২০) অস্থায়ী কর্মচারীরা জানান, ৫৮ জন অস্থায়ী কর্মচারী ৫ থেকে ১০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে খুব কম বেতনে কর্মরত রয়েছেন। আর কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে অস্থায়ী এসব কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা বিগত সময় থেকে বলে আসছে প্রশাসন। সর্বশেষ ২০১৯ ও ২০২২ সালে অস্থায়ী কর্মচারীদের পদের অনুকূলে স্থায়ী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো অজানা কারণে আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।

কর্মবিরতিতে থাকা কর্মচারীরা জানান, সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ অক্টোবর অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করার একটি উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ইউজিসি থেকে অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার অজুহাতে সেটিও আলোর মুখ দেখেনি। অথচ ইউজিসি চার বছর আগে এসব পদে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছিল। এই অবস্থায় কম উপার্জন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করা ৫৮ জন অস্থায়ী কর্মচারী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী কর্মচারী রাসেল আহমেদ ও ইজাজ জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

ঢামেক প্রতিনিধি
নাভিদকে সোমবার ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাভিদকে সোমবার ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ৯৭ দিন পর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ (১৩)। স্কুলটির ৭ম শ্রেণিতে পড়ে সে।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা তাকে ছাড়পত্র দেন।

ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল বলেন, ২১ জুলাই এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নাভিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সিএমএইচ থেকে পরদিন তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরপর দুইবার তার পরিবারকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল—যে কোনো সময় দুঃসংবাদ আসতে পারে! তবে চিকিৎসকেরা হাল ছাড়েনি। মোট ২২ দিন সে আইসিইউতে ভর্তি ছিল। যার মধ্যে ১০ দিন রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে। এরপর ৩৫ দিন হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়। এরপর ৪০ দিন কেবিনে থাকার পর আজ তাকে পুরোপুরি সুস্থ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, নাভিদের মোট ৩৬ বার ছোটবড় অপারেশন হয়েছে। শরীরের ক্ষতস্থানে ত্বক প্রতিস্থাপন হয়েছে আটবার। এই ঘটনার অন্য কোনো দগ্ধ রোগীর এটি লাগেনি।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নাভিদকে যেদিন এখানে নিয়ে আসা হলো, সেদিন সে বারবার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিল। সে বলছিল, আমাকে বাঁচান, আমি কি বাঁচব? দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়ার পর তার ফুসফুসে পানি জমেছিল। এ জন্য লাইফ সাপোর্টেও উপুড় করে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। সেখান থেকে সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। এখনো এই ঘটনার ৫ জন দগ্ধ শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে। তারাও ভালো আছে। সপ্তাহখানেক পর তারাও বাড়িতে চলে যাবে।’

নাভিদের বাবা মিজানুর রহমান চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর কাছে ছেলে ও এই ঘটনায় হতাহতের জন্য দোয়া চেয়েছেন।

গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে, আগুনে পুড়ে ও চাপা পড়ে প্রাণ হারায় স্কুলের বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত