Ajker Patrika

টিএসসিতে বসা নিয়ে ঢাবি ও ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীদের হাতাহাতি, ঢাবির নেত্রীকে শোকজ 

ঢাবি প্রতিনিধি:
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ২১: ০২
টিএসসিতে বসা নিয়ে ঢাবি ও ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীদের হাতাহাতি, ঢাবির নেত্রীকে শোকজ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রলীগের আয়োজনে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভায় বসা নিয়ে নেত্রীদের হাতাহাতির ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে সংগঠন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পদপ্রত্যাশী তানিয়া আক্তার তাপসীকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তাপসী ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তানিয়া আক্তার তাপসীর বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী তিন দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। 

গত মঙ্গলবার টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সামনের সারিতে বসা নিয়ে ঢাবি ও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের হাতাহাতি হয়। একপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, শামসুন নাহার হল ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের নেত্রীরা ছিলেন। অন্য পক্ষে ছিলেন ইডেন কলেজের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার অনুসারীরা। রিভা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নেত্রীরা ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিএসসিতে প্রথম সারির চেয়ারে বসা ছিলেন রোকেয়া হল মিহা আক্তার ও শামসুন নাহার হলের নীলম বিশ্বাস সেতুসহ কয়েকজন। এ সময় রিভাসহ কয়েকজন এসে তাঁদের পেছনের সারিতে বসতে বলেন। তবে তাঁরা ‘রিভাদের চেনেন না’ জানিয়ে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় রিভা মিহার চোয়াল ধরে ঝাঁকি দেন। পরে সভা শেষে বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী তানিয়া আক্তার তাপসীর নেতৃত্বে ঢাবি ছাত্রলীগের নেত্রীরা রিভাকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। 

তবে রিভাকে গলা টিপে ধরা ও থাপ্পড় মারার অভিযোগ করেছেন ইডেন কলেজের নেত্রীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইডেনের এক নেত্রী বলেন, ‘রিভা আপু আমাদের সিনিয়র। তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারা মানে একটা ইউনিটকে চড়-থাপ্পড় মারা। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এর বিচার হওয়া দরকার।’ 

এ ঘটনায় আজ তাপসীকে শোকজ করল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চা-দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা, বাড়ির পাশের ভিটায় মিলল মরদেহ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
চা-দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা, বাড়ির পাশের ভিটায় মিলল মরদেহ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মহিদুল ইসলাম (আলস) সরদার (৪৮) নামের এক চা-দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর বাড়ির পাশের একটি ভিটায় মরদেহ ফেলে রাখা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের নজির সরদারের ছেলে। মহিদুল স্থানীয় শিবপুর বাজারে চায়ের দোকান করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মহিদুল ইসলামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দীর্ঘ সময় বাড়িতে তাঁকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি ভিটায় মহিদুলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। মরদেহের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল আহমেদ বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। হত্যার পেছনের কারণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা চার আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার করা চার আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা

এক শিক্ষার্থীকে পিকনিকের কথা বলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে ঢাকার সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দেলোয়ার ভূঁইয়া (২৬), তাজুল ইসলাম তাজ (২৩), শ্রাবণ সাহা (২৩) এবং অন্তু দেওয়ান (২০)। তাঁরা সবাই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে পিকনিকের কথা বলে ওই ছাত্রীকে আশুলিয়ার ফুলেরটেক এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যান অভিযুক্ত প্রথম তিনজন। যাওয়ার সময় তাঁকে কোমল পানীয়র সঙ্গে অচেতন করার ওষুধ খাওয়ালে কিছুক্ষণ পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বিকেল ৫টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি ওই বাসায় তিনজনকে দেখতে পান। তিনি বুঝতে পারেন, ওই তিনজন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন ও তার ভিডিও এবং ছবি ধারণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি ডাকচিৎকার করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও অ্যাসিডে মুখ ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেন।

এরপর তাঁরা বিভিন্ন সময় একাধিক ধাপে হুমকি দিয়ে ৯৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে। সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে তাঁকে ফের আশুলিয়ার বাইশমাইল এলাকায় আটকে ৪ নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক করতে বলেন। এতে রাজি না হলে তাঁকে প্রথম তিন অভিযুক্ত ব্যক্তি মারধর করেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় পানীয় পান করান। তাঁদের কবল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে প্রথমে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাঁর পরিবারের এক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

চিকিৎসার পর তিনি ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে ২৬ নভেম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেখতে পান তিনি। একপর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে একটি কক্ষে নিয়ে দরজা আটকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন ও নতুন জীবন শুরু করতে পরামর্শ দেন। এতে সায় না দিয়ে বের হতে গেলে তাঁকে গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘চারজনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। এই ঘটনায় ১৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

ঢামেক প্রতিবেদক
এর আগে ৩০ নভেম্বর ২ ঘণ্টা ও গতকাল ৩ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এর আগে ৩০ নভেম্বর ২ ঘণ্টা ও গতকাল ৩ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশে সব সরকারি হাসপাতালে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় তাঁদের এই কর্মসূচি। চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। এর আগে, ৩০ নভেম্বর ২ ঘণ্টা ও গতকাল ৩ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছিলেন তাঁরা।

কর্মবিরতি পালনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টেরা সমবেত হন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে। আন্দোলনে নেতারা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইলটি জনপ্রশাসনে মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে বারবার উপস্থাপিত হয়ে আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন, সংগ্রাম, দাপ্তরিক চিঠি চালাচালি, জনপ্রশাসন বিধি শাখার সব চাহিদা পূরণ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নানাবিধ উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় অবিরতভাবে সময়ক্ষেপণ ও জটিলতা তৈরি করছে।

অথচ এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে এরপর কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।

তবে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এই কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান তাঁরা।

এই কর্মবিরতিতে হাসপাতালে আগত রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেছারাবাদে স্কুলঘেঁষা বালুর পাহাড়! শিক্ষার্থীদের নিত্যসঙ্গী ধুলা-দুর্ভোগ

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে বালুর স্তূপ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে বালুর স্তূপ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেছারাবাদের ৪৭ নম্বর পশ্চিম কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা করছেন এক ব্যক্তি। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে এভাবে বালুর স্তূপ করায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকেরা জানান, বাতাসে উড়ে আসা বালুর কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। শুধু তা-ই নয়, বালু ঢুকে নোংরা হচ্ছে ক্লাসরুম, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে অ্যালার্জিসহ শরীরে নানা রোগের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, প্রতিদিনই ক্লাসরুমে বালুর স্তর জমে থাকে। বারবার পরিষ্কার করেও কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম রনি বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি ভরে এখন বালুর ব্যবসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীর পাশে। বাতাস এলে বালু উড়ে এসে শ্রেণিকক্ষ ময়লা হয়। ক্লাস করতে কষ্ট হয় বাচ্চাদের। বালুর কারণে মাঠে খেলতে পারে না শিক্ষার্থীরা।’

জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই স্কুলের পাশে বালু রেখে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসার শুরুতে তিনি একটি টিনের বেড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে বেড়াটি খুলে ফেলা হয়। এতে চরম ভোগান্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের ছোট শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমীন লিটন বলেন, ‘মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি স্কুলের পাশে বালুর ব্যবসা করছেন। এতে বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের পাশে এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা শিক্ষা কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই বালু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারিতা সরমিন বলেন, ‘বালু ব্যবসার শুরুতে তারা একটি টিনের বেড়া দিয়েছিল। এখন সেই বেড়া খুলে ফেলেছে। বাতাসে বালু এসে শ্রেণিকক্ষ নষ্ট হচ্ছে। বালুর কারণে খেলার মাঠ ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে ক্রমেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।’

নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি এত দিন কেউ আমাকে জানায়নি। এভাবে বিদ্যালয়ের ক্ষতি করে ব্যবসা করতে পারবে না। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত