Ajker Patrika

ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ২২৮ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন, খসরু-পরওয়ারসহ ৩০৫৮ জনকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ৩৬
ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ২২৮ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন, খসরু-পরওয়ারসহ ৩০৫৮ জনকে অব্যাহতি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা ২২৮টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উক্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীসহ ৩ হাজার ৫৮ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গত ১৩ জুলাই থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর-লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। এসব ঘটনায় গত ১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ২৯০টি মামলা হয়। এতে বিএনপি ও জামায়াতের হাজার হাজার নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনকে আসামি করা হয়। ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। 

দায়ের করা ২৯০টি মামলার মধ্যে ৬২টি ছিল হত্যা মামলা। এই ৬২টি হত্যা মামলা ছাড়া বাকি ২২৮টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত) ফখরুজ্জামান জুয়েল আজকের পত্রিকাকে ২২৮টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দায়ের করা মামলাগুলো ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন—মামলার ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জড়িত না। এমনকি এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারাও জড়িত নয় মর্মে তদন্তে পাওয়া যায়। 

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে। তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত অহেতুক ফেলে না রেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পক্ষে মতামত দাখিল করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গ্রেপ্তারকৃত ও এজাহারনামীয় আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। তবে ভবিষ্যতে ঘটনার সংক্রান্তে অপরাধীদের অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গেলে এবং তাদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করা হবে। 

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন বিচারক পৃথক পৃথক আদেশে গত কয়েক দিনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন। আদেশে বলা হয়, যেহেতু এজাহারে বর্ণিত ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতের সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা পুনর্জীবিত করা হবে, সেহেতু চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হলো। 

এসব মামলার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগে ৪২টি, লালবাগ বিভাগে ১৭টি, মতিঝিল বিভাগে ৪০টি, ওয়ারী বিভাগে ৫৫টি, তেজগাঁও বিভাগে ৩৩টি, উত্তরা বিভাগে ৩১টি, গুলশান বিভাগে ৪২টি ও মিরপুর বিভাগে ৩০টি মামলা হয়। 

উল্লেখযোগ্য যারা অব্যাহতি পেলেন—মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ। 

বিএনপি নেতাদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২২৮টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত সব আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল এটা সত্য প্রমাণিত হলো।’ 

জামায়াত নেতাদের মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার মধ্যে ২২৮টি মামলার অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃত ও এজাহার নামীয় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হয়নি। এই কারণে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জাপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে হামলা, নারীসহ আহত চার

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুই নারীসহ চারজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাকিব নামের একজনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে আজ সকালে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন টাকিয়া কদমা গ্রামের হেলাল মিয়া, তাঁর স্ত্রী আখি আক্তার, ছেলে সাকিব ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। এই ঘটনায় হেলাল মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন লতিফপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার সিকদার, তাঁর ছেলে সিফাত সিকদার ও সিলু মিয়ার ছেলে আমজাদ মিয়া আঞ্জু।

টাঙাইল
টাঙাইল

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে পরকীয়া করতে গিয়ে সিফাত সিকদার এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক সালিসও হয়। এর পর থেকে সাকিব ও তাঁর পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হন সিফাত সিকদার। শনিবার দুপুরে হেলাল তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লতিফপুর বড় চালায় জ্বালানির লাকড়ি সংগ্রহে যান।

আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় এলোপাতাড়ি আঘাতে হেলাল, তাঁর ছেলে সাকিব ও স্ত্রীসহ অন্যরা আহত হন। তাঁদের মধ্যে ছেলে সাকিবের অবস্থা গুরুতর হলে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ রোববার সকালে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে হেলাল মিয়া জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছানোয়ার সিকদার ও ছেলে সিফাত সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সানাউল ইসলাম এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহী বোর্ডে ৮২ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তাঁরা প্রায় ৮২ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগ ছিল। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ৮২ হাজারের বেশি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে। ছুটির কারণে সবকিছু দেখা হয়নি। আমরা আজ এটা দেখছি।’

চলতি বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বছর বোর্ডের আওতাধীন ৩৫টি কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। এবার শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির ফলাফল আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশ খারাপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রিন্টারের ভেতর পাচার হচ্ছিল হেরোইন, রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রিন্টারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে হেরোইন পাচারের সময় রাজশাহীতে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের শিরোইল রেলওয়ে মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়ারমানিকচক মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. আসারুল ওরফে রনি (২১) এবং সিরাজগঞ্জের রেল কলোনির বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৫০)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৪০ গ্রাম হেরোইন, একটি নষ্ট প্রিন্টার এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহীর একটি দল এই অভিযান চালায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসারুল ও জাহানারা দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন পাচার করছিলেন। তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।

র‍্যাব জানায়, শনিবার জাহানারা বেগম ট্রেনযোগে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসেন হেরোইন নেওয়ার জন্য। আসারুলের কাছে থাকা প্রিন্টার নেওয়ার সময় দুজনকে আটক করা হয়। পরে নষ্ট প্রিন্টারটির বক্স তল্লাশি করে টোনারের মধ্যে লুকানো অবস্থায় ৬৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কাজ করছি। এর বেশি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।

মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত