Ajker Patrika

পাঠ্যপুস্তকে তথ্যের ভ্রান্তি দূর করতে হবে, বিষয় প্রত্যাহার করা যাবে না: শাহরিয়ার কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৫৭
পাঠ্যপুস্তকে তথ্যের ভ্রান্তি দূর করতে হবে, বিষয় প্রত্যাহার করা যাবে না: শাহরিয়ার কবির

পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ ও তথ্যগত ভ্রান্তি থাকলে তা দূর হতে পারে বলে মনে করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তবে কোনো রচনা বা বিষয় প্রত্যাহার বা পরিবর্তন না করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা আশা করব পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ ও তথ্যগত যেসব ভ্রান্তি আছে, তা দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু কোনো অবস্থায় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবি মেনে কোনো রচনা বা বিষয় প্রত্যাহার বা পরিবর্তন করা যাবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, নাগরিক সমাজের আন্দোলনের কারণে এবং সাধারণ পাঠক্রম যুগোপযোগী করার প্রয়োজনে বর্তমান পাঠক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তা সাধারণভাবে প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু ’৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সহযোগীরা নতুন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে। এটাকে কঠোরভাবে দমন করা না হলে দেশ ও জাতির সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে। 

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘পাঠক্রম নিয়ে বিতর্ক চলছে আজ প্রায় ৮০ বছর। বঙ্গবন্ধুর সরকার ছাড়া আর কোনো সরকার শিক্ষাসংক্রান্ত নীতি বা পাঠক্রম দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। উপমহাদেশে, ভারতে এই বিতর্ক এখন চরমে। যেসব দেশে গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা পেয়েছে এবং দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি সেক্যুলার, সেই সব দেশে পাঠক্রম নিয়ে বিতর্ক হ্রাস পেয়েছে। যুগোপযোগী পাঠক্রম তৈরির জন্য সেখানে আলাদা সংস্থা আছে।’ 

দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির জিডিপি বাড়ানো প্রয়োজন জানিয়ে মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে জিডিপি যেভাবে বৃদ্ধি করেছেন, তা আগে কেউ করেননি। সেই জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ক্রমশ। এখন আমাদের দাবি, শিক্ষা-সংস্কৃতির জিডিপি বৃদ্ধির প্রকল্প গ্রহণ। সেটি করার প্রথম পদক্ষেপ সরকারের পিছু না হটা এবং যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রয়োগ করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে ঢেলে সাজানো। প্রতিবছর তারা কোনো না কোনো কেলেঙ্কারি করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম ও কলামিস্ট মমতাজ লতিফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত