ঢাবি প্রতিনিধি
সংখ্যালঘুদের ‘অস্তিত্বের’ ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের এক দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসমাবেশ করেছে সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা। আজ শনিবার বিকেলে এ গণসমাবেশ হয়। গণসমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বর, টিএসসি হয়ে রাজু ভাস্কর্য এসে শেষ হয়।
গণসমাবেশে ৮ দফা দাবি পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও।
দাবিগুলো হলো—সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা; জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ প্রয়োগে যাবতীয় আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের আলোকে জমির মালিকানা ও দখল ভুক্তভোগীদের বরাবরে অনতিবিলম্বে প্রত্যর্পণ করা; জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সরকারে, সংসদে, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সকল সংস্থায় অংশীদারত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করা (ইতিমধ্যে খসড়া বিল চূড়ান্তকৃত); দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করা হোক (ইতিমধ্যে খসড়া বিল চূড়ান্তকৃত) ; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের যথাযথভাবে কার্যকর করা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় অষ্টমী থেকে দশমী-এ ৩ দিন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় ১ দিন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডে’তে ১ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। সমাবেশ থেকে সরকারি অনুষ্ঠান ও সংসদ অধিবেশনে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের ক্ষেত্রে, সংবিধানে, ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্মীয় বাজেট ও শিক্ষায় বৈষম্য দূর করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের মহাসচিব শংকর সরকার, বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত শংকর দাস, নারী নেত্রী সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সংগঠক নিরোধ বর্মণ, সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের সুস্মিতা কর, ভক্ত সংঘের শ্যামল রঞ্জন মণ্ডল, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তন্ময় ঘোষ, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ডা. এমকে রায় প্রমুখ।
নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘দেশের সকল মুক্তির আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান সংগ্রামে আমরা সকলেই ছিলাম। মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী আমরা সকলেই একসঙ্গে অংশগ্রহণ করলেও আমরা আজ বৈষম্যের শিকার। সেই কারণেই আজ আট দফা দেওয়া হয়েছে। দফার মূল চেতনা হলো আইনের শাসন ও সকল ক্ষেত্রে সমঅধিকার, সমমর্যাদা এবং সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা। এই আট দফা গণতান্ত্রিক ভাবেই পূরণ করা যেতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতান্ত্রিক উপায়ে এটি হয়েছে এবং হচ্ছে।’
শংকর সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে গদি থেকে নামানো, গদিতে তোলার কোনো আন্দোলন নয়। আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন হওয়া রাষ্ট্রে বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। আমরা দাবি নিয়ে থাকব। প্রয়োজন ৫০ লক্ষ লোক নিয়ে ঢাকা অবরোধ করব, আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।’
শংকর দাস বলেন, ‘আমাদের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। আগের সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আপনারা (সরকার) আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে কাজ হবে না, মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখাবেন না। আমরা জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি করি না।’
নারী নেত্রী সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজপথে আনন্দ নিয়ে আসিনি। দাবি নিয়ে এসেছি। দাবি বাস্তবায়ন করুন। আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব।’
গণসমাবেশ ও মিছিলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংখ্যালঘুদের ‘অস্তিত্বের’ ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের এক দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসমাবেশ করেছে সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা। আজ শনিবার বিকেলে এ গণসমাবেশ হয়। গণসমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বর, টিএসসি হয়ে রাজু ভাস্কর্য এসে শেষ হয়।
গণসমাবেশে ৮ দফা দাবি পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও।
দাবিগুলো হলো—সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা; জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ প্রয়োগে যাবতীয় আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের আলোকে জমির মালিকানা ও দখল ভুক্তভোগীদের বরাবরে অনতিবিলম্বে প্রত্যর্পণ করা; জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সরকারে, সংসদে, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সকল সংস্থায় অংশীদারত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করা (ইতিমধ্যে খসড়া বিল চূড়ান্তকৃত); দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করা হোক (ইতিমধ্যে খসড়া বিল চূড়ান্তকৃত) ; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের যথাযথভাবে কার্যকর করা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় অষ্টমী থেকে দশমী-এ ৩ দিন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় ১ দিন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডে’তে ১ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। সমাবেশ থেকে সরকারি অনুষ্ঠান ও সংসদ অধিবেশনে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের ক্ষেত্রে, সংবিধানে, ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্মীয় বাজেট ও শিক্ষায় বৈষম্য দূর করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের মহাসচিব শংকর সরকার, বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত শংকর দাস, নারী নেত্রী সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সংগঠক নিরোধ বর্মণ, সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের সুস্মিতা কর, ভক্ত সংঘের শ্যামল রঞ্জন মণ্ডল, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তন্ময় ঘোষ, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ডা. এমকে রায় প্রমুখ।
নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘দেশের সকল মুক্তির আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান সংগ্রামে আমরা সকলেই ছিলাম। মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী আমরা সকলেই একসঙ্গে অংশগ্রহণ করলেও আমরা আজ বৈষম্যের শিকার। সেই কারণেই আজ আট দফা দেওয়া হয়েছে। দফার মূল চেতনা হলো আইনের শাসন ও সকল ক্ষেত্রে সমঅধিকার, সমমর্যাদা এবং সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা। এই আট দফা গণতান্ত্রিক ভাবেই পূরণ করা যেতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতান্ত্রিক উপায়ে এটি হয়েছে এবং হচ্ছে।’
শংকর সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে গদি থেকে নামানো, গদিতে তোলার কোনো আন্দোলন নয়। আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন হওয়া রাষ্ট্রে বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। আমরা দাবি নিয়ে থাকব। প্রয়োজন ৫০ লক্ষ লোক নিয়ে ঢাকা অবরোধ করব, আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।’
শংকর দাস বলেন, ‘আমাদের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। আগের সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আপনারা (সরকার) আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে কাজ হবে না, মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখাবেন না। আমরা জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি করি না।’
নারী নেত্রী সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজপথে আনন্দ নিয়ে আসিনি। দাবি নিয়ে এসেছি। দাবি বাস্তবায়ন করুন। আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব।’
গণসমাবেশ ও মিছিলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) টাইটাস হিল্লোল রেমার (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসা থেকে কলাবাগান থানা–পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।
২৪ মিনিট আগেপবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে (মসিক) শুরু হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন ১০টি ট্রাকের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ছাত্রসংগঠনগুলো। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নবগঠিত কমিটির ‘পরিচিত সভায়’ ৯টি ছাত্রসংগঠন এ প্রত্যাশা জানিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে দ্রুত ছাত্রসংসদ চালুর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
১ ঘণ্টা আগে‘আগে মশা বেড়ে গেলে কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতাম। কিছু না হলেও স্প্রে করত। কিন্তু এখন কিছুই দেখি না। যেখানে অভিযোগ করব, সেই কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে শুনলাম,
১ ঘণ্টা আগে