নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসায়নিকের গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাসায়নিক গুদামের আগুন লাগার পর যখন অক্সিজেন কমে যায়, তখন জানালা দিয়ে শিখা বেরিয়ে পোশাক কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কারখানার কর্মীরা অচেতন হয়ে পড়েন এবং মারা যান।’
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ‘ধোঁয়ার পরিমাণ এখন কমে এসেছে। গুদামের দোতলা পরিষ্কার হয়ে গেছে, নিচতলায় কিছু আছে। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পোশাক কারখানার রাসায়নিকের মধ্যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকে, ডাইং কেমিক্যাল থাকে। এগুলো ততটা বিষাক্ত নয়, তবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে এটি বিষাক্ত হয়ে গেছে। এখানে সালফার ডাই-অক্সাইড আছে, নাইট্রিক অক্সাইড আছে। এগুলোর গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে, যা বিষাক্ত। আমরা শুনেছি, মাস্ক ছাড়া কাছাকাছি যাওয়ায় দু-একজন অচেতন হয়ে গেছে। খুব কাছে গেলে রাসায়নিকের গন্ধটা পাওয়া যায়। সে জন্য কাছাকাছি না যাওয়াই ভালো।’
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এটা হলো মানুষের সৃষ্টি করা দুর্যোগ। এটা আবাসিক এলাকা, এর মধ্যেই শিল্প এলাকা রয়েছে। কারখানাগুলো খুব একটা মানসম্মত না। যেসব ভবনে কারখানা গড়ে উঠেছে, আমার মনে হয় না এগুলোর কোনো ছাড়পত্র আছে। এ রকম এলাকায় কারখানা না থাকাই উচিত। এটা যথাযথ শিল্প এলাকা নয়। শিল্প এলাকার জন্য সরকার স্থান নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এগুলো স্থানান্তরে সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে হয়তো এসব কারখানা এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।’

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসায়নিকের গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাসায়নিক গুদামের আগুন লাগার পর যখন অক্সিজেন কমে যায়, তখন জানালা দিয়ে শিখা বেরিয়ে পোশাক কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কারখানার কর্মীরা অচেতন হয়ে পড়েন এবং মারা যান।’
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ‘ধোঁয়ার পরিমাণ এখন কমে এসেছে। গুদামের দোতলা পরিষ্কার হয়ে গেছে, নিচতলায় কিছু আছে। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পোশাক কারখানার রাসায়নিকের মধ্যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকে, ডাইং কেমিক্যাল থাকে। এগুলো ততটা বিষাক্ত নয়, তবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে এটি বিষাক্ত হয়ে গেছে। এখানে সালফার ডাই-অক্সাইড আছে, নাইট্রিক অক্সাইড আছে। এগুলোর গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে, যা বিষাক্ত। আমরা শুনেছি, মাস্ক ছাড়া কাছাকাছি যাওয়ায় দু-একজন অচেতন হয়ে গেছে। খুব কাছে গেলে রাসায়নিকের গন্ধটা পাওয়া যায়। সে জন্য কাছাকাছি না যাওয়াই ভালো।’
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এটা হলো মানুষের সৃষ্টি করা দুর্যোগ। এটা আবাসিক এলাকা, এর মধ্যেই শিল্প এলাকা রয়েছে। কারখানাগুলো খুব একটা মানসম্মত না। যেসব ভবনে কারখানা গড়ে উঠেছে, আমার মনে হয় না এগুলোর কোনো ছাড়পত্র আছে। এ রকম এলাকায় কারখানা না থাকাই উচিত। এটা যথাযথ শিল্প এলাকা নয়। শিল্প এলাকার জন্য সরকার স্থান নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এগুলো স্থানান্তরে সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে হয়তো এসব কারখানা এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।’

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই তীরের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাওয়ার টিলারে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় অসাধু চক্র।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে নওগাঁয় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। এ দিকে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় মেলা বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বছরখানেক আগে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি বিএনপিও প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রচার জমে উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচারে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। ফলে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি।
৭ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভা
১৬ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই তীরের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাওয়ার টিলারে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় অসাধু চক্র।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে নওগাঁয় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। এ দিকে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় মেলা বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বছরখানেক আগে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি বিএনপিও প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রচার জমে উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচারে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। ফলে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি।
৭ ঘণ্টা আগেদেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা

কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই তীরের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাওয়ার টিলারে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় অসাধু চক্র। এসব মাটি ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় তীরের ফসলি জমি, পাশের শহর রক্ষা বাঁধ ও সেতু ঝুঁকিতে পড়বে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, আদর্শ সদর উপজেলায় নদীর উত্তর তীরে পাঁচ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ তীরে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় মাটি লুট চলছে। পাওয়ার টিলার দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইটভাটা ও বসতবাড়িতে ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়। নদীর উৎসমুখ কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কটকবাজার ও গোলাবাড়ি থেকে শুরু করে পালপাড়া পীরবাড়ির সামনে পর্যন্ত উভয় তীরে মাটি কাটার প্রক্রিয়া চলছে প্রকাশ্যে। এতে গোমতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাঁধসংলগ্ন পাকা সড়কের পিচ উঠে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দক্ষিণ তীরে দুর্গাপুর, ভাটপাড়া, পালপাড়া পীরবাড়ি, কাপ্তানবাজার, চানপুর মাস্টারবাড়ি, শালধর এবং সামারচর এলাকায় অন্তত ২০টি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি তুলতে দেখা গেছে। এসব ট্রাক্টর চলাচলের জন্য সড়কের অংশ কেটে নদীর বাঁধের ভেতর দিয়ে চলার পথ তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নদীর উত্তর পাড়ে ছত্রখিল এলাকায় থাকা পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে মাটি কাটার কাজ। বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়া ও নদীতীরের গাছের নিচ থেকেও মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। চানপুর বেইলি সেতু এবং কাপ্তান বাজার পশ্চিম অংশের মাটিও কাটতে দেখা গেছে। নদীর দুই তীরে মোট সাতটি ঘাট থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়া হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
কয়েকজন ট্রাক্টরচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি ট্রাক্টর মাটি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আরেকজন স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এই মাটি ট্রাক্টরে করে ইটভাটা ও আশপাশের বিভিন্ন নির্মাণস্থলে সরবরাহ করি। রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কিছু প্রশাসনিক লোককে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গোমতী নদীর চর দখল করে কোটি কোটি টাকার মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওড়া মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ধারী এই ব্যক্তি বিগত ১৭ বছর পার করার পর এবার স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতার যোগসাজশে গোমতীর মাটি কাটছেন।
অভিযোগ স্বীকার করে জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পাড়সংলগ্ন আমার একটি পুকুর আছে। আমি সেখান থেকে মাটি কাটছি। মাটি কাটার সঙ্গে আমি একা জড়িত না। স্থানীয় নেতারা ও প্রশাসনের কিছু লোক আমার সঙ্গে আছেন।’
জানতে চাইলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমি পাউবোকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার নির্দেশনা দিয়েছি। গোমতীর তীর থেকে মাটি কাটা বা বালু তোলার কোনো অনুমতি জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়নি।’
রেজা হাসান আরও বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসন বরাবরই এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে যেখানে মাটি কাটা হয়, সেখানে অভিযান চালানো হবে।’

কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই তীরের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাওয়ার টিলারে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় অসাধু চক্র। এসব মাটি ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় তীরের ফসলি জমি, পাশের শহর রক্ষা বাঁধ ও সেতু ঝুঁকিতে পড়বে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, আদর্শ সদর উপজেলায় নদীর উত্তর তীরে পাঁচ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ তীরে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় মাটি লুট চলছে। পাওয়ার টিলার দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইটভাটা ও বসতবাড়িতে ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়। নদীর উৎসমুখ কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কটকবাজার ও গোলাবাড়ি থেকে শুরু করে পালপাড়া পীরবাড়ির সামনে পর্যন্ত উভয় তীরে মাটি কাটার প্রক্রিয়া চলছে প্রকাশ্যে। এতে গোমতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাঁধসংলগ্ন পাকা সড়কের পিচ উঠে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দক্ষিণ তীরে দুর্গাপুর, ভাটপাড়া, পালপাড়া পীরবাড়ি, কাপ্তানবাজার, চানপুর মাস্টারবাড়ি, শালধর এবং সামারচর এলাকায় অন্তত ২০টি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি তুলতে দেখা গেছে। এসব ট্রাক্টর চলাচলের জন্য সড়কের অংশ কেটে নদীর বাঁধের ভেতর দিয়ে চলার পথ তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নদীর উত্তর পাড়ে ছত্রখিল এলাকায় থাকা পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে মাটি কাটার কাজ। বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়া ও নদীতীরের গাছের নিচ থেকেও মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। চানপুর বেইলি সেতু এবং কাপ্তান বাজার পশ্চিম অংশের মাটিও কাটতে দেখা গেছে। নদীর দুই তীরে মোট সাতটি ঘাট থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়া হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
কয়েকজন ট্রাক্টরচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি ট্রাক্টর মাটি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আরেকজন স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এই মাটি ট্রাক্টরে করে ইটভাটা ও আশপাশের বিভিন্ন নির্মাণস্থলে সরবরাহ করি। রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কিছু প্রশাসনিক লোককে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গোমতী নদীর চর দখল করে কোটি কোটি টাকার মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওড়া মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ধারী এই ব্যক্তি বিগত ১৭ বছর পার করার পর এবার স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতার যোগসাজশে গোমতীর মাটি কাটছেন।
অভিযোগ স্বীকার করে জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পাড়সংলগ্ন আমার একটি পুকুর আছে। আমি সেখান থেকে মাটি কাটছি। মাটি কাটার সঙ্গে আমি একা জড়িত না। স্থানীয় নেতারা ও প্রশাসনের কিছু লোক আমার সঙ্গে আছেন।’
জানতে চাইলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমি পাউবোকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার নির্দেশনা দিয়েছি। গোমতীর তীর থেকে মাটি কাটা বা বালু তোলার কোনো অনুমতি জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়নি।’
রেজা হাসান আরও বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসন বরাবরই এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে যেখানে মাটি কাটা হয়, সেখানে অভিযান চালানো হবে।’

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভা
১৬ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে নওগাঁয় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। এ দিকে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় মেলা বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বছরখানেক আগে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি বিএনপিও প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রচার জমে উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচারে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। ফলে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি।
৭ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে নওগাঁয় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। এ দিকে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় মেলা বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। মেলার কাজে পুলিশের নাম ব্যবহার করা হলেও কিছুই জানে না বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের কাছে মেলার অনুমতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী সিল্ক অ্যান্ড বেনারসি জামদানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি না পেলেও গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এই মেলার কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠজুড়ে মেলায় বসেছে বস্ত্র বিপণিসহ বিভিন্ন রকম দোকান। রয়েছে নানা রকম রাইডও। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নারী-পুরুষ মেলায় আসছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ঘোরাঘুরি করছে সেখানে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, মেলা শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে থেকে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। স্কুলের পুরো মাঠ টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিকল্প গেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে মাঠে খেলাধুলাও। এদিকে চলমান বার্ষিক পরীক্ষার সময় বাড়তি শব্দ ও ভিড়ের কারণে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালে স্কুলের মাঠে মেলা বসানো ঠিক হয়নি। এতে বাচ্চাদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। রাতের বেলা সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে।
হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাজমুল হাসান বলেন, মাঠ স্কুলের হলেও কোনো ভাড়া নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অনুরোধে মৌখিকভাবে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
হাট-নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় তেমন সমস্যা হয়নি। তবে অবকাঠামো নির্মাণের সময় কিছু অসুবিধা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির স্বত্বাধিকারী রহিদুল ইসলাম বলেন, এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি মেলেনি। ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষার পর মেলা পুরোপুরি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জান্নাত আরা তিথি বলেন, ‘স্কুলের মাঠে মেলা চালানোর অনুমতি প্রধান শিক্ষক দিতে পারেন না। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে আমাকে কোনো কিছু অবগত করেননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, শিল্প এবং বাণিজ্যিক মেলার সঙ্গে জেলা পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। এই মেলায় জেলা পুলিশ অথবা পুলিশ নারী কল্যাণ সংঘের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। কতিপয় মহল বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মেলার বিষয়ে একটি আবেদন এসেছে। তবে অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে নওগাঁয় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। এ দিকে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় মেলা বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। মেলার কাজে পুলিশের নাম ব্যবহার করা হলেও কিছুই জানে না বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের কাছে মেলার অনুমতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী সিল্ক অ্যান্ড বেনারসি জামদানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি না পেলেও গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এই মেলার কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠজুড়ে মেলায় বসেছে বস্ত্র বিপণিসহ বিভিন্ন রকম দোকান। রয়েছে নানা রকম রাইডও। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নারী-পুরুষ মেলায় আসছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ঘোরাঘুরি করছে সেখানে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, মেলা শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে থেকে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। স্কুলের পুরো মাঠ টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিকল্প গেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে মাঠে খেলাধুলাও। এদিকে চলমান বার্ষিক পরীক্ষার সময় বাড়তি শব্দ ও ভিড়ের কারণে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালে স্কুলের মাঠে মেলা বসানো ঠিক হয়নি। এতে বাচ্চাদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। রাতের বেলা সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে।
হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাজমুল হাসান বলেন, মাঠ স্কুলের হলেও কোনো ভাড়া নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অনুরোধে মৌখিকভাবে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
হাট-নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় তেমন সমস্যা হয়নি। তবে অবকাঠামো নির্মাণের সময় কিছু অসুবিধা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির স্বত্বাধিকারী রহিদুল ইসলাম বলেন, এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি মেলেনি। ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষার পর মেলা পুরোপুরি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জান্নাত আরা তিথি বলেন, ‘স্কুলের মাঠে মেলা চালানোর অনুমতি প্রধান শিক্ষক দিতে পারেন না। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে আমাকে কোনো কিছু অবগত করেননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, শিল্প এবং বাণিজ্যিক মেলার সঙ্গে জেলা পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। এই মেলায় জেলা পুলিশ অথবা পুলিশ নারী কল্যাণ সংঘের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। কতিপয় মহল বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মেলার বিষয়ে একটি আবেদন এসেছে। তবে অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভা
১৬ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই তীরের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাওয়ার টিলারে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় অসাধু চক্র।
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বছরখানেক আগে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি বিএনপিও প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রচার জমে উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচারে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। ফলে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি।
৭ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বছরখানেক আগে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি বিএনপিও প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রচার জমে উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচারে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। ফলে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি।
তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও একটি আসন নিয়ে বিএনপি এখনো দোদুল্যমান। অন্যদিকে জামায়াত তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে তৎপর। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বললেও তাদের তেমন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। বাম দল ও জাতীয় পার্টির (জাপা) তৎপরতাও নেই।
ঠাকুরগাঁও-১ : সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০টি সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই আসনে আওয়ামী লীগ সাতবার, বিএনপি দুবার ও জাতীয় পার্টি একবার জয়ী হয়েছে। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব গেল দুই মাসে ৮ দিন ঠাকুরগাঁওয়ে ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি ২২টি ইউনিয়নের ১৯টিতে প্রচার চালিয়েছেন। আমাদের হাজার হাজার কর্মী মাঠে রয়েছেন।’
আসনটিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর সহ-সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি এখন এলাকার নানা সামাজিক ও ধর্মীয় আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। তবে জামায়াতের প্রচার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা পয়গাম আলী অভিযোগ করেন, ‘জামায়াত মসজিদভিত্তিক গুপ্ত রাজনীতি করছে। তাদের প্রচার মূলত ফেসবুক আর টিকটকে। বাস্তবে তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি নেই।’
এ প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। আমরা তিনটি আসনেই বিজয় অর্জন করব। আমরা উঠোন বৈঠক করছি এবং নারীরাও প্রচার চালাচ্ছেন।’
এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি ইয়াকুব আলী। আর জামায়াতের সঙ্গে জোট না হলে প্রার্থী হতে পারেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাফিজ উদ্দিন। তাঁরাও রয়েছেন প্রচারে।
ঠাকুরগাঁও-২ : বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈলের একাংশ নিয়ে গঠিত এই আসন গত ৩৭ বছর আওয়ামী লীগের দবিরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের দখলে ছিল। গেল ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে আটটিতে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ বা জোটের শরিকেরা। আওয়ামী লীগের দবিরুল ইসলাম পরিবারের অনুপস্থিতিতে আসনটিতে নতুন করে শক্তি সঞ্চারের চেষ্টা করছে জামায়াত ও বিএনপি। তবে গত জুলাইয়ে বিএনপি মহাসচিবের ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করায় দলীয় কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। নির্বাচনের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বর্তমানে এই উপজেলায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই, সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেনি দলটি। জোটের জন্য ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। এর সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত। তাদের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি এ আসনে দলের প্রার্থী হয়ে আসছেন।
বিএনপি জোটের শরিক হয়ে আসনটিতে প্রার্থী হতে চান গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। সে কারণে তিনি গত সেপ্টেম্বর থেকে এলাকায় উঠান-বৈঠক ও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এই আসন নিয়ে বিএনপিতে দুটি পক্ষ সক্রিয়। একপক্ষ মহাসচিব মির্জা ফখরুল বা তাঁর পরিবারের সদস্যকে চায়, অন্যপক্ষ ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. আব্দুল সালামের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত সাবেক এমপি জেড মর্তূজা চৌধুরীও নিজের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী বলছেন, ‘এই আসনটি বারবার শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার এই আসনে বিএনপির প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও-৩: রানীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি বহুপাক্ষিক লড়াইয়ের সাক্ষী। গত ১০টি সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি চারবার, আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিএনপির প্রার্থী দুবার করে জয়ী হয়েছে। এ আসনে পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও রানীশংকৈল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিজানুর রহমান।
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন নতুন প্রার্থী হিসেবে বেশ জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক গোলাম মুর্তুজা সেলিম এবং জাকের পার্টি থেকে ছাত্রনেতা বেলায়েত হোসেন লিটনও প্রচার চালাচ্ছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বছরখানেক আগে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি বিএনপিও প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রচার জমে উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচারে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। ফলে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি।
তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও একটি আসন নিয়ে বিএনপি এখনো দোদুল্যমান। অন্যদিকে জামায়াত তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে তৎপর। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বললেও তাদের তেমন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। বাম দল ও জাতীয় পার্টির (জাপা) তৎপরতাও নেই।
ঠাকুরগাঁও-১ : সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০টি সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই আসনে আওয়ামী লীগ সাতবার, বিএনপি দুবার ও জাতীয় পার্টি একবার জয়ী হয়েছে। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব গেল দুই মাসে ৮ দিন ঠাকুরগাঁওয়ে ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি ২২টি ইউনিয়নের ১৯টিতে প্রচার চালিয়েছেন। আমাদের হাজার হাজার কর্মী মাঠে রয়েছেন।’
আসনটিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর সহ-সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি এখন এলাকার নানা সামাজিক ও ধর্মীয় আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। তবে জামায়াতের প্রচার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা পয়গাম আলী অভিযোগ করেন, ‘জামায়াত মসজিদভিত্তিক গুপ্ত রাজনীতি করছে। তাদের প্রচার মূলত ফেসবুক আর টিকটকে। বাস্তবে তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি নেই।’
এ প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। আমরা তিনটি আসনেই বিজয় অর্জন করব। আমরা উঠোন বৈঠক করছি এবং নারীরাও প্রচার চালাচ্ছেন।’
এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি ইয়াকুব আলী। আর জামায়াতের সঙ্গে জোট না হলে প্রার্থী হতে পারেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাফিজ উদ্দিন। তাঁরাও রয়েছেন প্রচারে।
ঠাকুরগাঁও-২ : বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈলের একাংশ নিয়ে গঠিত এই আসন গত ৩৭ বছর আওয়ামী লীগের দবিরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের দখলে ছিল। গেল ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে আটটিতে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ বা জোটের শরিকেরা। আওয়ামী লীগের দবিরুল ইসলাম পরিবারের অনুপস্থিতিতে আসনটিতে নতুন করে শক্তি সঞ্চারের চেষ্টা করছে জামায়াত ও বিএনপি। তবে গত জুলাইয়ে বিএনপি মহাসচিবের ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করায় দলীয় কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। নির্বাচনের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বর্তমানে এই উপজেলায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই, সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেনি দলটি। জোটের জন্য ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। এর সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত। তাদের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি এ আসনে দলের প্রার্থী হয়ে আসছেন।
বিএনপি জোটের শরিক হয়ে আসনটিতে প্রার্থী হতে চান গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। সে কারণে তিনি গত সেপ্টেম্বর থেকে এলাকায় উঠান-বৈঠক ও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এই আসন নিয়ে বিএনপিতে দুটি পক্ষ সক্রিয়। একপক্ষ মহাসচিব মির্জা ফখরুল বা তাঁর পরিবারের সদস্যকে চায়, অন্যপক্ষ ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. আব্দুল সালামের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত সাবেক এমপি জেড মর্তূজা চৌধুরীও নিজের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী বলছেন, ‘এই আসনটি বারবার শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার এই আসনে বিএনপির প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও-৩: রানীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি বহুপাক্ষিক লড়াইয়ের সাক্ষী। গত ১০টি সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি চারবার, আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিএনপির প্রার্থী দুবার করে জয়ী হয়েছে। এ আসনে পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও রানীশংকৈল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিজানুর রহমান।
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন নতুন প্রার্থী হিসেবে বেশ জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক গোলাম মুর্তুজা সেলিম এবং জাকের পার্টি থেকে ছাত্রনেতা বেলায়েত হোসেন লিটনও প্রচার চালাচ্ছেন।

রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনার তৃতীয় দিনেও গুদাম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে ধোঁয়া কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভা
১৬ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই তীরের মাটি লুটের মচ্ছব চলছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাওয়ার টিলারে ভরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় অসাধু চক্র।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে নওগাঁয় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। এ দিকে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় মেলা বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগে